সরকারি প্রাথমিকের সাথে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ বাদ দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের ভোলা জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ আব্বাছ উদ্দিন।
তিনি বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তে দেশের ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেনের ৭০ লাখ শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
আব্বাছ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের সকল কিন্ডারগার্টেনের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যথারীতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছিল। এরপর সমাপনী পরীক্ষাও যথারীতি চলমান ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৫ জুলাই সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপনের ফলে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এটা আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীর জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। অথচ আমরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকই অনুকরণ করে থাকি। হঠাৎ করে এ ধরনের বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকরা দিশেহারা।
তিনি বলেন, এদেশে প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেনের ৭০ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে আসছে। পর্যায়ক্রমের সবাই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করবে অথচ তাদের এই অনিশ্চিত জীবনে কি ঘটবে এ নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পাশাপাশি দেশের শিক্ষার যে সাফল্য সেই সাথে কিন্ডারগার্টেনের ৬ লাখ শিক্ষক ও এর অংশীদার। এটা বাংলাদেশ সরকার অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।
আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বাতিল করে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে বৃত্তি পরীক্ষার অংশ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

