শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেছেন, আমরা চাই, উচ্চশিক্ষার প্রশাসনিক কাঠামো যেন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়।
তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির মধ্যে নিয়মিত যৌথ কনসালটেশন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয়।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমের গতিশীলতা ও পারস্পরিক কর্মসম্পর্ক জোরদার’ শীর্ষক স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন ওয়ার্কপে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আজকের কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অভিজ্ঞতা ও পরামর্শকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করছি। এই আলোচনা এখানেই শেষ নয়— এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে আমরা কাঠামোগত ও নীতিগত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে টেকসই সমাধানের পথে এগিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, যদি কোথাও নীতিমালা বা আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে থাকে, তা দ্রুত যাচাই ও সংশোধনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা চাই, উচ্চশিক্ষার প্রশাসনিক কাঠামো যেন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়।
ওয়ার্কশপে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রতিনিধি, উপাচার্য ও রেজিস্ট্রাররা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ওয়ার্কশপে উচ্চশিক্ষার বর্তমান চ্যালেঞ্জ, প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রিতা, নীতিগত সমন্বয়, যোগাযোগ ঘাটতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বক্তারা বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় ও নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপিত হলে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাপনা আরও গতিশীল, জবাবদিহিমূলক ও মানসম্মত হবে।
সভা শেষে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন— এ কর্মশালার আলোচনাসমূহ উচ্চশিক্ষা খাতে নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশক ভূমিকা রাখবে।

