গণমাধ্যমকে কনকচাঁপা
বিনোদন রিপোর্টার
গতকাল শনিবার রাতে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেছেন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। শিল্পীকে শেষবারের মতো বিদায় জানাতে রাতেই হাসপাতালে ছুটে আসেন আধুনিক গানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা। সেখানে সংবাদকর্মীদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে ফরিদা পারভীনকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগ প্রবণ হয়ে পরেন এই শিল্পী।
তিনি জানান, ‘সত্যি সত্যি আমরা অনেককেই হারিয়ে ফেলছি। সংগীতাঙ্গনে আমাদের মাথার উপর যারা বটবৃক্ষের মতো ছিলেন তাদের প্রায় সবাইকে আমরা হারিয়ে ফেলছি। আমরা খুব অসহায় হয়ে যাচ্ছি। আমি যে ভরাট একটি সংগীতাঙ্গন দেখে বড় হয়েছি, ঋদ্ধ হয়েছি, তারমধ্যে অনেকগুলো মানুষকে হারিয়ে ফেলেছি। আজকে ফরিদা আপাও চলে গেলেন। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল’- যোগ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তার ভেতরে ক্রোধেরও বহিঃপ্রকাশ ঘটান। শিল্পীদের নিয়ে ফেসবুকে নেটিজেনদের নানা মন্তব্য তাকে আহত করে বলে জানান তিনি। তার মতে, একজন শিল্পী মারা যাওয়ার সাথে সাথে নেটিজনরাই তাদের দোজখ নির্ধারণ করে থাকেন।
তিনি বলেন, ‘একজন শিল্পী মারা যাওয়ার পর তার লাশ দাফন করার আগেই তিনি দোজখের কয় নাম্বারে যাবেন, সেগুলো নিয়ে কথা বলা শুরু করে মানুষ। সারাজীবন কিন্তু তারাই আমাদের গান শোনেন, লালনের গান শুনতে ফরিদা পারভীনকেই শুনতে হতো। সাধারণ মানুষ যারা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন তাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আমাদের শিল্পীদের এতো পাপী ভাববেন না। পাপ শুধু শিল্পীদের না, পাপ আমাদের দেশে আরও অনেক জায়গাতেই আছে, অনেক ক্ষেত্রেই আছে। শিল্পীরা আমরা শুধু গানই করে যাই, আমরা গানের শিল্পীরাই একমাত্র জাতি যাদের কোন ঘুষ খাওয়ার জায়গা নাই, দুর্নীতি করার জায়গা নাই, মিথ্যাচার করার জায়গা নাই, অন্যায় করার জায়গা নাই। অথচ আমরা মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কয় নম্বর দোজখে যাবো মানুষ তা নির্ধারণ করে ফেলে। একদম বেহেশতের টিকিট যেন সবার হাতে! মাওলানা দিয়ে ভর্তি যেন ফেসবুক।
ক্রোধ না সামলাতে পেরে সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে কনকচাঁপা বলেন, ‘দয়া করে আমার কথাগুলো কাটবেন না, সবাইকে প্রচার করার জন্য অনুরোধ করছি একটা কথা। তা হলো- সাধারণ জনগণ নিজেদের সময়ে আনন্দময় করতে, সুললিত করতে সারাক্ষণ গান শোনেন, সিনেমা-নাটকে শিল্পীদের অভিনয় দেখেন। কিন্তু একজন শিল্পী যখন চলে যায় তখন তারা পাপ-পূণ্য, বেহেশত-দোজখ এগুলো নিয়ে এতো কথা বলে সেই কমেন্টগুলো দেখলে আসলে আমরা খুব ভীত হয়ে যাই। আমরা খুব ভেঙে পড়ি, আমাদের খুব খারাপ লাগে।’
সবশেষে এই জনপ্রিয় শিল্পী বলেন, ‘সত্যি সত্যি আমি আবেগপ্রবণ হয়ে অনেক অপ্রিয় সত্যি কথা বলে ফেললাম। আপনার সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। শিল্পীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন।’
এর আগে ফরিদা পারভীন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনার কণ্ঠে যে মায়া, শুধু লালনসংগীত কেন বলব? তিনি দেশের গান কিছু গেয়েছেন ‘এই পদ্মা এই মেঘনা এই যমুনা সুরমা নদী তটে’সহ আরও কিছু, কিছু আধুনিক গান গেয়েছেন তা অতুলনীয়। আমি যদি উদাহরণস্বরূপ ‘তোমরা ভুলেই গেছ মল্লিকা দি’র নাম’ গানটির কথা বলি, ওই গান অনবদ্য। উনার কণ্ঠ অনবদ্য, উনার সুর একদম তীরের মতো সোজা অন্তরে এসে লাগে। এইসব স্মৃতিচারণ করতে গেলে আমি আসলে এখন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছি।’
গতকাল শনিবার রাতে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেছেন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। শিল্পীকে শেষবারের মতো বিদায় জানাতে রাতেই হাসপাতালে ছুটে আসেন আধুনিক গানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা। সেখানে সংবাদকর্মীদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে ফরিদা পারভীনকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগ প্রবণ হয়ে পরেন এই শিল্পী।
তিনি জানান, ‘সত্যি সত্যি আমরা অনেককেই হারিয়ে ফেলছি। সংগীতাঙ্গনে আমাদের মাথার উপর যারা বটবৃক্ষের মতো ছিলেন তাদের প্রায় সবাইকে আমরা হারিয়ে ফেলছি। আমরা খুব অসহায় হয়ে যাচ্ছি। আমি যে ভরাট একটি সংগীতাঙ্গন দেখে বড় হয়েছি, ঋদ্ধ হয়েছি, তারমধ্যে অনেকগুলো মানুষকে হারিয়ে ফেলেছি। আজকে ফরিদা আপাও চলে গেলেন। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল’- যোগ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তার ভেতরে ক্রোধেরও বহিঃপ্রকাশ ঘটান। শিল্পীদের নিয়ে ফেসবুকে নেটিজেনদের নানা মন্তব্য তাকে আহত করে বলে জানান তিনি। তার মতে, একজন শিল্পী মারা যাওয়ার সাথে সাথে নেটিজনরাই তাদের দোজখ নির্ধারণ করে থাকেন।
তিনি বলেন, ‘একজন শিল্পী মারা যাওয়ার পর তার লাশ দাফন করার আগেই তিনি দোজখের কয় নাম্বারে যাবেন, সেগুলো নিয়ে কথা বলা শুরু করে মানুষ। সারাজীবন কিন্তু তারাই আমাদের গান শোনেন, লালনের গান শুনতে ফরিদা পারভীনকেই শুনতে হতো। সাধারণ মানুষ যারা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন তাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আমাদের শিল্পীদের এতো পাপী ভাববেন না। পাপ শুধু শিল্পীদের না, পাপ আমাদের দেশে আরও অনেক জায়গাতেই আছে, অনেক ক্ষেত্রেই আছে। শিল্পীরা আমরা শুধু গানই করে যাই, আমরা গানের শিল্পীরাই একমাত্র জাতি যাদের কোন ঘুষ খাওয়ার জায়গা নাই, দুর্নীতি করার জায়গা নাই, মিথ্যাচার করার জায়গা নাই, অন্যায় করার জায়গা নাই। অথচ আমরা মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কয় নম্বর দোজখে যাবো মানুষ তা নির্ধারণ করে ফেলে। একদম বেহেশতের টিকিট যেন সবার হাতে! মাওলানা দিয়ে ভর্তি যেন ফেসবুক।
ক্রোধ না সামলাতে পেরে সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে কনকচাঁপা বলেন, ‘দয়া করে আমার কথাগুলো কাটবেন না, সবাইকে প্রচার করার জন্য অনুরোধ করছি একটা কথা। তা হলো- সাধারণ জনগণ নিজেদের সময়ে আনন্দময় করতে, সুললিত করতে সারাক্ষণ গান শোনেন, সিনেমা-নাটকে শিল্পীদের অভিনয় দেখেন। কিন্তু একজন শিল্পী যখন চলে যায় তখন তারা পাপ-পূণ্য, বেহেশত-দোজখ এগুলো নিয়ে এতো কথা বলে সেই কমেন্টগুলো দেখলে আসলে আমরা খুব ভীত হয়ে যাই। আমরা খুব ভেঙে পড়ি, আমাদের খুব খারাপ লাগে।’
সবশেষে এই জনপ্রিয় শিল্পী বলেন, ‘সত্যি সত্যি আমি আবেগপ্রবণ হয়ে অনেক অপ্রিয় সত্যি কথা বলে ফেললাম। আপনার সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। শিল্পীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন।’
এর আগে ফরিদা পারভীন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনার কণ্ঠে যে মায়া, শুধু লালনসংগীত কেন বলব? তিনি দেশের গান কিছু গেয়েছেন ‘এই পদ্মা এই মেঘনা এই যমুনা সুরমা নদী তটে’সহ আরও কিছু, কিছু আধুনিক গান গেয়েছেন তা অতুলনীয়। আমি যদি উদাহরণস্বরূপ ‘তোমরা ভুলেই গেছ মল্লিকা দি’র নাম’ গানটির কথা বলি, ওই গান অনবদ্য। উনার কণ্ঠ অনবদ্য, উনার সুর একদম তীরের মতো সোজা অন্তরে এসে লাগে। এইসব স্মৃতিচারণ করতে গেলে আমি আসলে এখন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছি।’
আলিয়াঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকাতে চলছে শিল্পী সদরুল রাফি-এর একক চিত্রপ্রদর্শনী ‘ইন সার্চ অব পিস’। গত ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এই প্রদর্শনী চলবে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত আলিয়াঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার ধানমন্ডির গ্যালারি জুম-এ।
৫ মিনিট আগেদর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক ও বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করেছেন ওটিটি মাধ্যমেও।
২২ মিনিট আগেনতুন নির্মাণ নিয়ে ফিরছেন গুণী নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম । এবারের কাজটি রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের, নাম ‘পারফেক্ট ওয়াইফ’ । এটি মুক্তি পাবে দেশের জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে ।
৬ ঘণ্টা আগেশিক্ষকতা পেশা এবং আবৃত্তি, বিতর্ক, বক্তৃতা, অভিনয়ের প্রতি কতটা ভালোবাসা থাকলে, নিজে স্বাধীনমতো কাজ করার জন্য এক জীবনে বিয়েই করলেন না সাভার সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শাহানা জাহান সিদ্দিকা।
৬ ঘণ্টা আগে