বিনোদন ডেস্ক
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ৩২টি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ৯ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রয়েছে ১২টি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২০টি। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। নির্মাতা, পরিবেশক ও শিল্পীদের মাঝে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
পরিচালক ও পরিবেশক অনন্য মামুন সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “শিল্পকলায় যদি অডিটোরিয়াম থাকতে পারে, তাহলে চলচ্চিত্র রক্ষায় সরকারি সিনেমা হল থাকবে না কেন? গত ১০ বছরে চলচ্চিত্রে যত অনুদান দেওয়া হয়েছে, তার প্রকৃত সুফল কতটা এসেছে? বরং অনুদানের চলচ্চিত্রগুলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়, যেখানে প্রকৃত প্রযোজকরা থেকে যান বঞ্চিত।”
তিনি আরও বলেন, ‘এই অনুদানের টাকায় যদি প্রতিটি জেলায় সরকারি সিনেমা হল গড়ে তোলা হতো, তাহলে চলচ্চিত্র শিল্পের ভীষণ উপকার হতো।’
ক্ষোভের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন জনপ্রিয় নায়ক নিরব। বিষয়টি নিয়ে নায়ক নিরব বলেন, ‘বিগত সময়ের মতো এবারও মূলধারার সিনেমাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। যদি এই অনুদানগুলো মূলধারার ছবিতে দেওয়া হতো, তাহলে সাধারণ দর্শকের কাছেও সিনেমাগুলো পৌঁছাতে পারত। কিন্তু যেসব বিকল্পধারার ছবিকে অনুদান দেওয়া হয়, সেগুলোর বেশিরভাগই ঠিকভাবে মুক্তি পায় না।’
নিরব আরও বলেন, ‘এই বিকল্প ধারার সিনেমাগুলোর লক্ষ্যই থাকে ফেস্টিভাল আর পুরস্কার। অথচ এই সিনেমাগুলো নির্মাণে যে অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি জনগণের টাকা। সেই জনগণই যদি এই ছবি দেখতে না পায়, তাহলে অনুদানের উদ্দেশ্য কী? এটা শুধু আমার একার কথা নয়, গত কয়েকদিন ধরে অনেক চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিও এই বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন।’
সরকারি অনুদানের পর নজরদারি ও তদারকি নিয়েও কথা বলেন এই অভিনেতা। তার মতে, “একটা ছবিকে অনুদান দেওয়ার পর নিয়মিত খোঁজ রাখা উচিত-ছবির অগ্রগতি কী, শুটিং শেষ হলো কি না, মুক্তির পরিকল্পনা কী? আর বড় পরিসরে ছবিগুলোর মুক্তি নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ।”
মূলধারার প্রতিনিধিত্ব নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও অনুদানের দুটি ছবিতে অভিনয় করেছি-রোজিনা পরিচালিত ‘ফিরে দেখা’ এবং বন্ধন বিশ্বাস পরিচালিত ‘ছায়াবৃক্ষ’। দুটি ছবিই মুক্তি পেয়েছে। তবে খুব খোলামেলাভাবে বলি, অভিজ্ঞতা খুব বেশি ইতিবাচক ছিল না। কারণ, যাঁরা অনুদান কমিটিতে থাকেন, তাঁদের বেশিরভাগই বিকল্পধারার ভাবনা নিয়ে কাজ করেন। আমি মনে করি, সেই কমিটিতে মূলধারার অভিজ্ঞ লোকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সরকারি চলচ্চিত্র অনুদান একটি নিয়মিত কার্যক্রম, যা ১৯৭৬ সাল থেকে চালু রয়েছে। মাঝে কিছু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এটি বন্ধ থাকলেও ২০০৭-০৮ অর্থবছর থেকে তা আবারও নিয়মিতভাবে চালু হয়। প্রথম অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ছিল ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’।
সরকারি অনুদানের প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে-সৃজনশীল ও গুণগত চলচ্চিত্র নির্মাণে সহায়তা করা। তবে বাস্তবে এই উদ্দেশ্য কতটা পূরণ হচ্ছে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ৩২টি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ৯ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রয়েছে ১২টি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২০টি। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। নির্মাতা, পরিবেশক ও শিল্পীদের মাঝে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
পরিচালক ও পরিবেশক অনন্য মামুন সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “শিল্পকলায় যদি অডিটোরিয়াম থাকতে পারে, তাহলে চলচ্চিত্র রক্ষায় সরকারি সিনেমা হল থাকবে না কেন? গত ১০ বছরে চলচ্চিত্রে যত অনুদান দেওয়া হয়েছে, তার প্রকৃত সুফল কতটা এসেছে? বরং অনুদানের চলচ্চিত্রগুলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়, যেখানে প্রকৃত প্রযোজকরা থেকে যান বঞ্চিত।”
তিনি আরও বলেন, ‘এই অনুদানের টাকায় যদি প্রতিটি জেলায় সরকারি সিনেমা হল গড়ে তোলা হতো, তাহলে চলচ্চিত্র শিল্পের ভীষণ উপকার হতো।’
ক্ষোভের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন জনপ্রিয় নায়ক নিরব। বিষয়টি নিয়ে নায়ক নিরব বলেন, ‘বিগত সময়ের মতো এবারও মূলধারার সিনেমাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। যদি এই অনুদানগুলো মূলধারার ছবিতে দেওয়া হতো, তাহলে সাধারণ দর্শকের কাছেও সিনেমাগুলো পৌঁছাতে পারত। কিন্তু যেসব বিকল্পধারার ছবিকে অনুদান দেওয়া হয়, সেগুলোর বেশিরভাগই ঠিকভাবে মুক্তি পায় না।’
নিরব আরও বলেন, ‘এই বিকল্প ধারার সিনেমাগুলোর লক্ষ্যই থাকে ফেস্টিভাল আর পুরস্কার। অথচ এই সিনেমাগুলো নির্মাণে যে অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি জনগণের টাকা। সেই জনগণই যদি এই ছবি দেখতে না পায়, তাহলে অনুদানের উদ্দেশ্য কী? এটা শুধু আমার একার কথা নয়, গত কয়েকদিন ধরে অনেক চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিও এই বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন।’
সরকারি অনুদানের পর নজরদারি ও তদারকি নিয়েও কথা বলেন এই অভিনেতা। তার মতে, “একটা ছবিকে অনুদান দেওয়ার পর নিয়মিত খোঁজ রাখা উচিত-ছবির অগ্রগতি কী, শুটিং শেষ হলো কি না, মুক্তির পরিকল্পনা কী? আর বড় পরিসরে ছবিগুলোর মুক্তি নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ।”
মূলধারার প্রতিনিধিত্ব নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও অনুদানের দুটি ছবিতে অভিনয় করেছি-রোজিনা পরিচালিত ‘ফিরে দেখা’ এবং বন্ধন বিশ্বাস পরিচালিত ‘ছায়াবৃক্ষ’। দুটি ছবিই মুক্তি পেয়েছে। তবে খুব খোলামেলাভাবে বলি, অভিজ্ঞতা খুব বেশি ইতিবাচক ছিল না। কারণ, যাঁরা অনুদান কমিটিতে থাকেন, তাঁদের বেশিরভাগই বিকল্পধারার ভাবনা নিয়ে কাজ করেন। আমি মনে করি, সেই কমিটিতে মূলধারার অভিজ্ঞ লোকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সরকারি চলচ্চিত্র অনুদান একটি নিয়মিত কার্যক্রম, যা ১৯৭৬ সাল থেকে চালু রয়েছে। মাঝে কিছু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এটি বন্ধ থাকলেও ২০০৭-০৮ অর্থবছর থেকে তা আবারও নিয়মিতভাবে চালু হয়। প্রথম অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ছিল ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’।
সরকারি অনুদানের প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে-সৃজনশীল ও গুণগত চলচ্চিত্র নির্মাণে সহায়তা করা। তবে বাস্তবে এই উদ্দেশ্য কতটা পূরণ হচ্ছে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
বাংলা ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় শিল্পী নগরবাউল জেমসের জীবনে আবারও সুখবর। ৬১ বছর বয়সে ফের বাবা হয়েছেন তিনি। ২০২৫ সালের ৮ জুন, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের হান্টিংটন হাসপাতালে তাঁর পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।
২৩ মিনিট আগেআলিয়াঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকাতে চলছে শিল্পী সদরুল রাফি-এর একক চিত্রপ্রদর্শনী ‘ইন সার্চ অব পিস’। গত ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এই প্রদর্শনী চলবে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত আলিয়াঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার ধানমন্ডির গ্যালারি জুম-এ।
২ ঘণ্টা আগেদর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক ও বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করেছেন ওটিটি মাধ্যমেও।
৩ ঘণ্টা আগেনতুন নির্মাণ নিয়ে ফিরছেন গুণী নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম । এবারের কাজটি রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের, নাম ‘পারফেক্ট ওয়াইফ’ । এটি মুক্তি পাবে দেশের জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে ।
৮ ঘণ্টা আগে