আজ ৯ সেপ্টেম্বর, নজরুল সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগমের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৪ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পীকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে সংগীতপ্রেমী মহল। তবে রাজধানীতে তাঁর স্মরণে কোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজন নেই। পারিবারিকভাবে নীরবেই দিনটি কাটাবেন তাঁর স্বজনরা।
ফিরোজা বেগমের পুত্র ও বাংলাদেশ মিউজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বাবমা)এর সভাপতি হামিন আহমেদ জাতীয় এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রতিবারের মতো পারিবারিকভাবেই মায়ের জন্ম ও মৃত্যুদিন আমরা স্মরণ করি। এবারও তাই হবে। দুঃখের বিষয়, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এ দিনটি স্মরণ করা হয় না। অথচ গুণী মানুষদের স্মরণ করা রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব। আমার মায়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’
এই নজরুল সঙ্গীত শিল্পীর জন্ম ১৯৩০ সালে ফরিদপুরে। মাত্র ১২ বছর বয়সে ইসলামি গান দিয়ে ফিরোজা বেগমের প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করেছিল গ্রামোফোন কোম্পানি এইচ এম ভি। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীন অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গান গেয়ে শ্রোতাদের মন জয় করেন। খুব অল্প বয়সেই কাজী নজরুল ইসলামের সান্নিধ্যে আসেন এবং তাঁর কাছ থেকে সরাসরি সংগীতের তালিম নেন। ১৯৪৯ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর নজরুলগীতির প্রথম রেকর্ড। এরপর থেকে ফিরোজা বেগমের জীবনজুড়ে নজরুলগীতি হয়ে ওঠে মূল শক্তি।
তাঁর সঙ্গীত জীবনে ফিরোজা বেগম পেয়েছেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের দুর্লভ সান্নিধ্য। নজরুল সঙ্গীতে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, নজরুল আকাদেমি পদক।

