সাইফের ওপর হামলায় বাংলাদেশিকে জড়ানোর চেষ্টা

বিনোদন ডেস্ক

ভারতের প্রথম সারির মিডিয়া এনডিটিভি জানিয়েছে, বলিউড তারকা সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুরের বাড়ি থেকে হামলাকারীর যে ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেছে, পুলিশের পরীক্ষায় সেগুলোর সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া কথিত বাংলাদেশি শরিফুল ইসলাম শেহজাদের আঙুলের ছাপের ‘কোনো মিল পাওয়া যায়নি’।
রিপোর্টে বলা হয়, সাইফ-কারিনার বাড়িতে পাওয়া ১৯টি আঙুলের ছাপের সঙ্গে শেহজাদের ১০ আঙুলের ছাপের মিল পায়নি মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা। এ নিয়ে তারা প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে আদালতে।
এখন সাইফের বাড়িতে পাওয়া আঙুলের ছাপগুলো কার, সেটি খুঁজে বের করতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যদিও মুম্বাই পুলিশ দাবি করেছে, তারা জিজ্ঞাসাবাদে এমনসব তথ্য পেয়েছে, যা প্রমাণ করেছে ওই রাতে সাইফের ওপর শেহজাদই হামলা চালিয়েছে।
এছাড়া সাইফের বাড়ির ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধরা পড়া ব্যক্তিই শেহজাদ কী না, সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শেহজাদের বাবা রুহুল আমিন ফকির বলেছেন, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি তার ছেলে শেহজাদ। তবে সিসিটিভির ভিডিওতে যাকে দেখা গেছে, সেই ছেলে অন্য কেউ, তার ছেলে নয়।
তাছাড়া ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার মহারাষ্ট্রের থানের হীরানন্দনি এস্টেট থেকে শেহজাদকে গ্রেপ্তারের পরপরই পুলিশ জানায়, তিনি ছয় মাস আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তবে শেহজাদের আইনজীবী সন্দ্বীপ শেখানি এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, তার মক্কেল পরিবারের সঙ্গে গত সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন।
আইনজীবী সন্দ্বীপ বলেন, ‘শেহজাদকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়েছে এবং আদালত এ সময়ের মধ্যে পুলিশকে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে তিনি যে বাংলাদেশি, এর পক্ষে কোনো প্রমাণ পুলিশের কাছে নেই। ছয় মাস আগে তিনি এখানে এসেছেনÑ পুলিশের এমন দাবিও মিথ্যা। এটি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩-এ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কারণ, এই মামলায় সঠিক তদন্ত করা হয়নি।’
একইসঙ্গে আলোচিত এই মামলায় পদ্ধতিগত ত্রুটিরও অভিযোগ করেছেন আইনজীবী সন্দ্বীপ শেখানি। এছাড়া যে কারণে অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয়েছে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ভারতের গণমাধ্যমকে শরিফুলের আইনজীবী সন্দ্বীপ শেখানি বলেন, ‘মামলায় ফাঁকফোকর আছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নোটিস জারি হয়নি। পুলিশি হেফাজত দেওয়া হলেও রিমান্ড কপি বা এফআইআর কপিতে জীবনের হুমকি বা হত্যার হুমকির কোনো উল্লেখ নেই। তা সত্ত্বেও ধারাগুলো যুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় হত্যার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।’
এছাড়া হামলা-পরবর্তী ঘটনা নিয়েও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। সাইফের অস্ত্রোপচারের পর লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, অভিনেতার মেরুদণ্ডের কাছ থেকে ছুরির আড়াই মিলিমিটার টুকরো তারা অস্ত্রোপচার করে বের করেছেন।
আর মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, ছুরির একটি টুকরো তারা অভিনেতার বাসভবন থেকে এবং আরো একটি টুকরো বান্দ্রা তালাওয়ের কাছ থেকে উদ্ধার করেছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘাতক এটি সেখানে ছুড়ে ফেলেছিলেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
গত ১৫ জানুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে বান্দ্রার ‘সৎগুরু শরণ’ নামের বহুতল ভবনে নিজের ফ্ল্যাটেই ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন সাইফ। ১৯ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের থানের কাছে জঙ্গল থেকে বাংলাদেশের নাগরিক শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে আটক করে সেদিনই আদালতে তোলার দাবি করে পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল। ওই রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় শেহজাদকে শনিবার আরো ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে বান্দ্রার আদালত।
পুলিশ প্রথমে জানিয়েছিল, বাংলাদেশের নাগরিক শেহজাদ চার মাস ধরে মুম্বাইয়ে থাকছেন। নাম পাল্টে রাখেন বিজয় দাস। তিনি একটি হাউজিং কোম্পানিতে চাকরি করতেন। এখন পুলিশের ভাষ্য, এক ডান্স বারে কাজ করতেন শেহজাদ।

ভারতের প্রথম সারির মিডিয়া এনডিটিভি জানিয়েছে, বলিউড তারকা সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুরের বাড়ি থেকে হামলাকারীর যে ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেছে, পুলিশের পরীক্ষায় সেগুলোর সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া কথিত বাংলাদেশি শরিফুল ইসলাম শেহজাদের আঙুলের ছাপের ‘কোনো মিল পাওয়া যায়নি’।
রিপোর্টে বলা হয়, সাইফ-কারিনার বাড়িতে পাওয়া ১৯টি আঙুলের ছাপের সঙ্গে শেহজাদের ১০ আঙুলের ছাপের মিল পায়নি মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা। এ নিয়ে তারা প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে আদালতে।
এখন সাইফের বাড়িতে পাওয়া আঙুলের ছাপগুলো কার, সেটি খুঁজে বের করতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যদিও মুম্বাই পুলিশ দাবি করেছে, তারা জিজ্ঞাসাবাদে এমনসব তথ্য পেয়েছে, যা প্রমাণ করেছে ওই রাতে সাইফের ওপর শেহজাদই হামলা চালিয়েছে।
এছাড়া সাইফের বাড়ির ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধরা পড়া ব্যক্তিই শেহজাদ কী না, সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শেহজাদের বাবা রুহুল আমিন ফকির বলেছেন, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি তার ছেলে শেহজাদ। তবে সিসিটিভির ভিডিওতে যাকে দেখা গেছে, সেই ছেলে অন্য কেউ, তার ছেলে নয়।
তাছাড়া ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার মহারাষ্ট্রের থানের হীরানন্দনি এস্টেট থেকে শেহজাদকে গ্রেপ্তারের পরপরই পুলিশ জানায়, তিনি ছয় মাস আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তবে শেহজাদের আইনজীবী সন্দ্বীপ শেখানি এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, তার মক্কেল পরিবারের সঙ্গে গত সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন।
আইনজীবী সন্দ্বীপ বলেন, ‘শেহজাদকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়েছে এবং আদালত এ সময়ের মধ্যে পুলিশকে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে তিনি যে বাংলাদেশি, এর পক্ষে কোনো প্রমাণ পুলিশের কাছে নেই। ছয় মাস আগে তিনি এখানে এসেছেনÑ পুলিশের এমন দাবিও মিথ্যা। এটি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩-এ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কারণ, এই মামলায় সঠিক তদন্ত করা হয়নি।’
একইসঙ্গে আলোচিত এই মামলায় পদ্ধতিগত ত্রুটিরও অভিযোগ করেছেন আইনজীবী সন্দ্বীপ শেখানি। এছাড়া যে কারণে অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয়েছে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ভারতের গণমাধ্যমকে শরিফুলের আইনজীবী সন্দ্বীপ শেখানি বলেন, ‘মামলায় ফাঁকফোকর আছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নোটিস জারি হয়নি। পুলিশি হেফাজত দেওয়া হলেও রিমান্ড কপি বা এফআইআর কপিতে জীবনের হুমকি বা হত্যার হুমকির কোনো উল্লেখ নেই। তা সত্ত্বেও ধারাগুলো যুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় হত্যার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।’
এছাড়া হামলা-পরবর্তী ঘটনা নিয়েও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। সাইফের অস্ত্রোপচারের পর লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, অভিনেতার মেরুদণ্ডের কাছ থেকে ছুরির আড়াই মিলিমিটার টুকরো তারা অস্ত্রোপচার করে বের করেছেন।
আর মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, ছুরির একটি টুকরো তারা অভিনেতার বাসভবন থেকে এবং আরো একটি টুকরো বান্দ্রা তালাওয়ের কাছ থেকে উদ্ধার করেছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘাতক এটি সেখানে ছুড়ে ফেলেছিলেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
গত ১৫ জানুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে বান্দ্রার ‘সৎগুরু শরণ’ নামের বহুতল ভবনে নিজের ফ্ল্যাটেই ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন সাইফ। ১৯ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের থানের কাছে জঙ্গল থেকে বাংলাদেশের নাগরিক শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে আটক করে সেদিনই আদালতে তোলার দাবি করে পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল। ওই রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় শেহজাদকে শনিবার আরো ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে বান্দ্রার আদালত।
পুলিশ প্রথমে জানিয়েছিল, বাংলাদেশের নাগরিক শেহজাদ চার মাস ধরে মুম্বাইয়ে থাকছেন। নাম পাল্টে রাখেন বিজয় দাস। তিনি একটি হাউজিং কোম্পানিতে চাকরি করতেন। এখন পুলিশের ভাষ্য, এক ডান্স বারে কাজ করতেন শেহজাদ।

১৩ নভেম্বর নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ুন আহমেদের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ভক্ত অনুরাগীদের জন্য বিশেষ আয়োজন নিয়ে আসছে স্টার সিনেপ্লেক্স। ৭ থেকে ১৩ নভেম্বর এই মাল্টিপ্লেক্সে উদযাপিত হবে ‘হুমায়ুন আহমেদ সপ্তাহ’।
১ দিন আগে
ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না। বর্তমানে তিশা ব্যস্ত রয়েছেন শাকিব খানের ‘সোলজার’ সিনেমাতে অভিনয় নিয়ে। এ ছবি মুক্তির মাধ্যমে তার সিনেমার খাতায় নাম লেখানোর কথা থাকলেও, তার আগেই তিনি জড়িয়ে গেলেন আইনি জটিলতায়।
১ দিন আগে
হাসি থেকে নাচের ভঙ্গিতে ঘায়েল হয়েছে শত দর্শক। তাঁকে কাছ থেকে দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন কত অনুরাগী। বলছি বলিউডের সুন্দরী অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের কথা। কিন্তু এবার সেই মাধুরী দীক্ষিতের উপর চটেছেন দর্শক।
১ দিন আগে
নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রান্তিক চরের মানুষের জীবন-যাপন ও মানবিকতাকে উপজীব্য করে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’। ২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বর মৌসুমী হামিদ অভিনীত চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।
১ দিন আগে