হোসাইন নূরের অর্ধশত 'নাশিদ' মিলিয়ন ভিউর মাইলফলকে

বিনোদন রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১৪: ২৬

সংগীত অঙ্গনে নতুন রেকর্ড গড়েছেন তরুণ গীতিকার হোসাইন নূর। তার লেখা ৫০টি নাশিদ ইউটিউবে মিলিয়ন ভিউর মাইলফলক ছুঁয়েছে। কোনো কোনো গান দেখেছেন কোটির ওপরে দর্শক, যা দেশের ইসলামি সংগীত ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে মনে করছেন নাশিদপ্রেমীরা। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বেড়ে ওঠা নূর অল্প সময়েই ইসলামি সংগীত রচনায় অন্যতম আলোচিত নাম হয়ে উঠেছেন। তার লেখা গান শুধু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেই নয়, দেশের গ্রামগঞ্জ, হাটে-মাঠেও সমানভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

ইউটিউবের তথ্য অনুযায়ী, নূরের জনপ্রিয় নাশিদগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘বন্ধু আমার তুই’ দেখেছেন ২৮ মিলিয়ন তথা দুই কোটি আট লাখ দর্শক। এছাড়া ‘শোনো শোনো মুসলমান’ দেখেছেন ১৬ মিলিয়ন তথা এক কোটি ছয় লাখ, ‘প্রার্থনা’ ১৩ মিলিয়ন তথা এক কোটি তিন লাখ, ‘মামা-ভাগ্নী’ এক কোটি, ‘রিমঝিমাঝিম বৃষ্টি’ ৭.৭ মিলিয়ন, ‘নবীর উম্মত দাবি করো কী করে তুমি’ সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন, ‘ঈদ মোবারক ঈদ’ ৪.৮ মিলিয়ন, ‘আরশের ঠিকানায়’ ৩.৩ মিলিয়ন, ‘বাদলা দিন’ ৩.১ মিলিয়ন এবং ‘বাংলার নববীর’ দেখেছেন ২.৫ মিলিয়ন দর্শক। এ পর্যন্ত ১৭০ জনেরও বেশি শিল্পী তার লেখা ৩২৩টি নাশিদে কণ্ঠ দিয়েছেন। জনপ্রিয় শিল্পী থেকে শুরু করে নতুন প্রজন্মের তারকারাও কণ্ঠে তুলেছেন তার লেখা নাশিদ।

বিজ্ঞাপন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সাফল্য নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করছেন, বাংলা ইসলামি সংগীতে ধারাবাহিকভাবে এমন সাফল্য খুব কম গীতিকারই অর্জন করেছেন। বিশেষ করে এত অল্প সময়ে। নিজের অনুভূতি জানিয়ে হোসাইন নূর বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্‌, এই অর্জন শুধু আমার নয়, এটা আমাদের সবার। যারা গেয়েছেন, সুর করেছেন, সাউন্ড ডিজাইন ও ভিডিও নির্মাণ করেছেন, আর যারা শুনে ছড়িয়ে দিয়েছেনÑসবাই এ সাফল্যের অংশীদার। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা।’

তিনি মনে করেন, এই অর্জন বাংলাদেশের ইসলামি সংগীতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা ভবিষ্যতে তরুণ গীতিকারদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত