তনিমা রহমান
নতুন বছর, নতুন স্বপ্ন। নতুন করে পড়ালেখা শুরু হবে। স্কুল খুলে যাচ্ছে রোববার থেকে। পড়ালেখাও শুরু হয়ে যাবে। প্রতিটি মা-বাবাই চান তাদের সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করতে, সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে। আর শিশুরা খেলাধুলা করতে ভালোবাসে। তারা পড়ালেখায় তেমন মনোযোগী হতে চায় না। ‘বাচ্চারা পড়তে চায় না’ অভিভাবকদের থেকে প্রায়ই এ কথাটি শুনতে হয়। অধিকাংশ শিশুর পড়াশোনার প্রতি অনীহা কাজ করে।
বিশেষ করে চঞ্চল এবং দুষ্টু প্রকৃতির শিশুদের পড়তে বসানো তো আরও মুশকিল। বই-খাতার গণ্ডির ভেতরে শিশুদের আটকে রাখতে চাইলেও বাঁধাধরা নিয়ম তাদের পছন্দ হবে না- এটাই স্বাভাবিক। তবে পড়াশোনা তো করতেই হবে। তবে পড়াশোনায় অমনোযোগী হলে শাসনের নামে অযথা বকাঝকা, রাগারাগি, আঘাত, উচ্চৈঃস্বরে ধমকানি বা চেঁচামেচি করলে শিশুর মনের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
অভিভাবকরা বকুনি না দিয়ে বাচ্চাদের অন্যভাবে পড়ায় মনযোগী করার চেষ্টা করতে হবে। কিছু জিনিসের ভঙ্গি বদলে বা কৌশল অবলম্বন করলে পড়াশোনা শিশুদের কাছে আনন্দময় হয়ে উঠতে পারে!
তারা যেন এই পড়াশোনা বিরক্তিকর না ভেবে আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করে, তার কিছু পরামর্শ বা উপায়ও আছে। সে উপায়গুলো কী? চলুন জেনে নিই, কীভাবে সন্তানের পড়ার সময়টাকে সুন্দর করে মনোযোগ ধরে রাখা যায়।
সুন্দর পড়ার পরিবেশ তৈরি: প্রথমেই শিশুর পড়ার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করুন। শান্ত নিরিবিলি পরিবেশই পড়ালেখার জন্য উপযুক্ত। পড়ার ঘরটি পরিপাটি এবং স্থানটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। যে সব বাচ্চাদের বয়স কম, ৫-৭ বছরের মধ্যে তাদের কিন্তু পাঠ্যবইয়ের পড়া পড়ানোর চেয়ে মানসিক শিক্ষা ও বিকাশের প্রয়োজন অনেক বেশি। তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা, সুস্থ স্বাভাবিক বিনোদনমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করুন। পাশপাশি সামাজিকতা ও নৈতিকতা শিক্ষাও দিতে হবে।
অমনোযোগ ও অপছন্দের কারণ বুঝুন : পড়াশোনার অমনোযোগিতার কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। গল্পচ্ছলে জানার চেষ্টা করুন, কেন আপনার সন্তান পড়াশোনা অপছন্দ করে? যেসব কাজ তাকে পড়া থেকে দূরে রাখছে বলে মনে হয়, সেগুলো থেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে আনুন। যদি তা টেলিভিশন বা মোবাইল হয়, তাহলে আস্তে আস্তে নিয়মের মাঝে নিয়ে আসুন। তাকে ছোট ছোট উপহার দিন। দেখবেন মনোযোগী হবে।
তা ছাড়া কোন বিষয়টি তার কাছে কঠিন বলে মনে হয় তার খোঁজ নিন। সন্তানের কাছ থেকে কিছু শেখার অভিনয় করে আপনি মাঝে মাঝে ছাত্র হয়ে যান। তাদের শিক্ষক হতে বলুন। আপনাকে পড়ানোর মাধ্যমে তাদের পড়া নির্ভুল হবে।
খেলতে খেলতেই পড়া শেখানো : শিশুদের সায়েন্স কিট বা এ জাতীয় শিক্ষণীয় উপকরণ দিতে পারেন। এতে করে সে এক্সপেরিমেন্টগুলো করবে, ম্যানুয়াল বই পড়বে, সেই সঙ্গে খেলতে খেলতেই শিখে যাবে। এটা একদম ম্যাজিকের মতো কাজ করে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে চেষ্টা করেই দেখুন।
পড়ার সময়টাকে আনন্দময় করে তুলুন : সন্তান পড়াশোনায় মনোযোগী না হলে তাদের বকা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। জোর না করে তাদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করুন। পড়া শেষ হলে প্রিয় খেলা বা কার্টুন দেখানোর আশ্বাস দেন। কিংবা তার পছন্দের কোনো খাবার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন এবং পড়া শেষে অবশ্যই অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে দেওয়া আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন। এতে শিশুরা পড়ালেখা শেখার পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করাও শিখবে।
পড়ার মাঝে বিরতি নিতে দিন : একটানা পড়ালেখা করা শিশুদের জন্য বিরক্তিকর। শিশুরা স্বভাবগতভাবেই কিছুটা চঞ্চল হয়ে থাকে। তাই শিশুরা পড়তে না চাইলে বই নিয়ে তাদের একটানা বসিয়ে রাখবেন না। পড়ার মাঝে কিছু সময় বিরতি দিন। ক্লাস টেনে পড়া একজন শিক্ষার্থী টানা এক ঘণ্টা মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারে, তবে একজন কিন্ডারগার্টেনে পড়া শিশুর পক্ষে টানা পনেরো মিনিট পড়াটাই অনেক। তাই এ কথা মাথা রেখে তার চঞ্চলতাকে কিছুটা প্রশ্রয় দিতেই হবে।
পাঠ্যবইয়ের পড়াশোনা বাচ্চার ওপর চাপিয়ে না দিয়ে বরং তার আনন্দের উৎস হিসেবে দেখান। সে যদি কোনো পড়া মুখস্থ করতে না পারে তাহলে বকাঝকা না করে, তার মনোযোগে পরিবর্তন আনুন। কিছুটা বিরতি দিয়ে কিছু সময় পরে আবার তাকে সহজ উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করুন।
টিভি দেখার সঠিক সময় রাখুন : এটা ঠিক যে টেলিভিশনে আসক্তি পড়ার ক্ষতি করে, তাই বলে টেলিভিশন দেখা বন্ধ করে দেওয়া মোটেও কোনো সমাধান নয়। প্রিয় অনুষ্ঠানটি দেখে ওর মন ভালো হয়ে যাবে, তখন আপনি পড়তে বসতে বললে খুব একটু আপত্তি করবে না হয়তো।
হোমওয়ার্ক হোক সঠিক নিয়মে : কোনোরকমে হোমওয়ার্ক শেষ করাটাই সব নয়। অনীহা বা অমনোযোগ থেকে তা করলে মোটেও ভালো ফল এনে দেবে না। এ জন্য এ কাজগুলো করতে পারেন-
* প্রতিটি অধ্যায় পড়া শেষে ছোট্ট নোট নিতে বলতে পারেন।
* বড় কোনো কিছু করতে না দিয়ে স্রেফ বইটি উল্টেপাল্টে দেখতে বলুন।
* টেবিল এবং চার্ট আকারে তার পড়া প্রস্তুত করে দিন।
* সুন্দর নকশা করা কার্ডে সূত্র, বানান, গুরুত্বপূর্ণ তারিখ, ইত্যাদি লিখে দিলে শিশুদের জন্য তা আয়ত্ত করা সহজ হবে।
* পড়া শেষে সে কী শিখল? তাকে নিজের মতো করে বলতে দিন, মোটেও গতানুগতিক কেতাবি ভঙ্গিতে নয়।
অবসরে সন্তানকে বেড়াতে নিয়ে যান : সব সময় পড়ালেখা শিশুর মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে। একঘেয়েমি কাটাতে পড়শোনার জগৎ থেকে বের হয়ে আপনার সন্তানকে নিয়ে সপ্তাহের যেকোনো একটি দিন ঘুরতে বের হোন। প্রকৃতির কাছে গেলে যেমন মন বড় হয়, তেমনি অনেক কিছু শেখার আছে। স্কুলে শেখানো বিষয়টি বোঝানোর জন্য বাস্তব জিনিসের সঙ্গে তাদের পরিচিত হতে সহায়তা করুন।
নতুন বছর, নতুন স্বপ্ন। নতুন করে পড়ালেখা শুরু হবে। স্কুল খুলে যাচ্ছে রোববার থেকে। পড়ালেখাও শুরু হয়ে যাবে। প্রতিটি মা-বাবাই চান তাদের সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করতে, সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে। আর শিশুরা খেলাধুলা করতে ভালোবাসে। তারা পড়ালেখায় তেমন মনোযোগী হতে চায় না। ‘বাচ্চারা পড়তে চায় না’ অভিভাবকদের থেকে প্রায়ই এ কথাটি শুনতে হয়। অধিকাংশ শিশুর পড়াশোনার প্রতি অনীহা কাজ করে।
বিশেষ করে চঞ্চল এবং দুষ্টু প্রকৃতির শিশুদের পড়তে বসানো তো আরও মুশকিল। বই-খাতার গণ্ডির ভেতরে শিশুদের আটকে রাখতে চাইলেও বাঁধাধরা নিয়ম তাদের পছন্দ হবে না- এটাই স্বাভাবিক। তবে পড়াশোনা তো করতেই হবে। তবে পড়াশোনায় অমনোযোগী হলে শাসনের নামে অযথা বকাঝকা, রাগারাগি, আঘাত, উচ্চৈঃস্বরে ধমকানি বা চেঁচামেচি করলে শিশুর মনের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
অভিভাবকরা বকুনি না দিয়ে বাচ্চাদের অন্যভাবে পড়ায় মনযোগী করার চেষ্টা করতে হবে। কিছু জিনিসের ভঙ্গি বদলে বা কৌশল অবলম্বন করলে পড়াশোনা শিশুদের কাছে আনন্দময় হয়ে উঠতে পারে!
তারা যেন এই পড়াশোনা বিরক্তিকর না ভেবে আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করে, তার কিছু পরামর্শ বা উপায়ও আছে। সে উপায়গুলো কী? চলুন জেনে নিই, কীভাবে সন্তানের পড়ার সময়টাকে সুন্দর করে মনোযোগ ধরে রাখা যায়।
সুন্দর পড়ার পরিবেশ তৈরি: প্রথমেই শিশুর পড়ার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করুন। শান্ত নিরিবিলি পরিবেশই পড়ালেখার জন্য উপযুক্ত। পড়ার ঘরটি পরিপাটি এবং স্থানটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। যে সব বাচ্চাদের বয়স কম, ৫-৭ বছরের মধ্যে তাদের কিন্তু পাঠ্যবইয়ের পড়া পড়ানোর চেয়ে মানসিক শিক্ষা ও বিকাশের প্রয়োজন অনেক বেশি। তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা, সুস্থ স্বাভাবিক বিনোদনমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করুন। পাশপাশি সামাজিকতা ও নৈতিকতা শিক্ষাও দিতে হবে।
অমনোযোগ ও অপছন্দের কারণ বুঝুন : পড়াশোনার অমনোযোগিতার কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। গল্পচ্ছলে জানার চেষ্টা করুন, কেন আপনার সন্তান পড়াশোনা অপছন্দ করে? যেসব কাজ তাকে পড়া থেকে দূরে রাখছে বলে মনে হয়, সেগুলো থেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে আনুন। যদি তা টেলিভিশন বা মোবাইল হয়, তাহলে আস্তে আস্তে নিয়মের মাঝে নিয়ে আসুন। তাকে ছোট ছোট উপহার দিন। দেখবেন মনোযোগী হবে।
তা ছাড়া কোন বিষয়টি তার কাছে কঠিন বলে মনে হয় তার খোঁজ নিন। সন্তানের কাছ থেকে কিছু শেখার অভিনয় করে আপনি মাঝে মাঝে ছাত্র হয়ে যান। তাদের শিক্ষক হতে বলুন। আপনাকে পড়ানোর মাধ্যমে তাদের পড়া নির্ভুল হবে।
খেলতে খেলতেই পড়া শেখানো : শিশুদের সায়েন্স কিট বা এ জাতীয় শিক্ষণীয় উপকরণ দিতে পারেন। এতে করে সে এক্সপেরিমেন্টগুলো করবে, ম্যানুয়াল বই পড়বে, সেই সঙ্গে খেলতে খেলতেই শিখে যাবে। এটা একদম ম্যাজিকের মতো কাজ করে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে চেষ্টা করেই দেখুন।
পড়ার সময়টাকে আনন্দময় করে তুলুন : সন্তান পড়াশোনায় মনোযোগী না হলে তাদের বকা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। জোর না করে তাদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করুন। পড়া শেষ হলে প্রিয় খেলা বা কার্টুন দেখানোর আশ্বাস দেন। কিংবা তার পছন্দের কোনো খাবার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন এবং পড়া শেষে অবশ্যই অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে দেওয়া আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন। এতে শিশুরা পড়ালেখা শেখার পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করাও শিখবে।
পড়ার মাঝে বিরতি নিতে দিন : একটানা পড়ালেখা করা শিশুদের জন্য বিরক্তিকর। শিশুরা স্বভাবগতভাবেই কিছুটা চঞ্চল হয়ে থাকে। তাই শিশুরা পড়তে না চাইলে বই নিয়ে তাদের একটানা বসিয়ে রাখবেন না। পড়ার মাঝে কিছু সময় বিরতি দিন। ক্লাস টেনে পড়া একজন শিক্ষার্থী টানা এক ঘণ্টা মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারে, তবে একজন কিন্ডারগার্টেনে পড়া শিশুর পক্ষে টানা পনেরো মিনিট পড়াটাই অনেক। তাই এ কথা মাথা রেখে তার চঞ্চলতাকে কিছুটা প্রশ্রয় দিতেই হবে।
পাঠ্যবইয়ের পড়াশোনা বাচ্চার ওপর চাপিয়ে না দিয়ে বরং তার আনন্দের উৎস হিসেবে দেখান। সে যদি কোনো পড়া মুখস্থ করতে না পারে তাহলে বকাঝকা না করে, তার মনোযোগে পরিবর্তন আনুন। কিছুটা বিরতি দিয়ে কিছু সময় পরে আবার তাকে সহজ উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করুন।
টিভি দেখার সঠিক সময় রাখুন : এটা ঠিক যে টেলিভিশনে আসক্তি পড়ার ক্ষতি করে, তাই বলে টেলিভিশন দেখা বন্ধ করে দেওয়া মোটেও কোনো সমাধান নয়। প্রিয় অনুষ্ঠানটি দেখে ওর মন ভালো হয়ে যাবে, তখন আপনি পড়তে বসতে বললে খুব একটু আপত্তি করবে না হয়তো।
হোমওয়ার্ক হোক সঠিক নিয়মে : কোনোরকমে হোমওয়ার্ক শেষ করাটাই সব নয়। অনীহা বা অমনোযোগ থেকে তা করলে মোটেও ভালো ফল এনে দেবে না। এ জন্য এ কাজগুলো করতে পারেন-
* প্রতিটি অধ্যায় পড়া শেষে ছোট্ট নোট নিতে বলতে পারেন।
* বড় কোনো কিছু করতে না দিয়ে স্রেফ বইটি উল্টেপাল্টে দেখতে বলুন।
* টেবিল এবং চার্ট আকারে তার পড়া প্রস্তুত করে দিন।
* সুন্দর নকশা করা কার্ডে সূত্র, বানান, গুরুত্বপূর্ণ তারিখ, ইত্যাদি লিখে দিলে শিশুদের জন্য তা আয়ত্ত করা সহজ হবে।
* পড়া শেষে সে কী শিখল? তাকে নিজের মতো করে বলতে দিন, মোটেও গতানুগতিক কেতাবি ভঙ্গিতে নয়।
অবসরে সন্তানকে বেড়াতে নিয়ে যান : সব সময় পড়ালেখা শিশুর মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে। একঘেয়েমি কাটাতে পড়শোনার জগৎ থেকে বের হয়ে আপনার সন্তানকে নিয়ে সপ্তাহের যেকোনো একটি দিন ঘুরতে বের হোন। প্রকৃতির কাছে গেলে যেমন মন বড় হয়, তেমনি অনেক কিছু শেখার আছে। স্কুলে শেখানো বিষয়টি বোঝানোর জন্য বাস্তব জিনিসের সঙ্গে তাদের পরিচিত হতে সহায়তা করুন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে