
সুমাইয়া ইয়াসমিন সুম্মু

বর্তমান স্মার্ট যুগে ব্লুটুথ ছাড়া জীবন কল্পনা করা কঠিন। তারবিহীন হেডফোন, স্পিকার, স্মার্টওয়াচ কিংবা গাড়ির অডিও সিস্টেম—সব জায়গায় ব্লুটুথ এখন অপরিহার্য সংযোগের মাধ্যম। কিন্তু আমরা অনেকেই সহজ ব্যবহারের জন্য এটি সবসময় অন রাখি, যা একদিকে সুবিধাজনক হলেও অন্যদিকে অজানা এক বিপদের দরজাও খুলে দেয়। ব্লুটুথ মূলত স্বল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানের প্রযুক্তি হলেও এটি সবসময় সক্রিয় থাকলে মোবাইল বা ল্যাপটপে এক ধরনের ‘খোলা দরজা’ তৈরি হয়। যতক্ষণ ব্লুটুথ চালু থাকে, ততক্ষণ ফোন থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সিগন্যাল ছড়াতে থাকে, যা আশেপাশে থাকা হ্যাকারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।
আধুনিক সাইবার অপরাধীরা বিশেষ টুল ব্যবহার করে এই সিগন্যালের মাধ্যমে ডিভাইসে অননুমোদিতভাবে প্রবেশ করতে পারে। এতে ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, কন্টাক্ট লিস্ট, এমনকি মেসেজ পর্যন্ত চুরি হয়ে যেতে পারে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘ব্লুস্নারফিং’ বা ‘ব্লুবাগিং’, যা অনেকের কাছেই অজানা একটি হুমকি।
এছাড়া ব্লুটুথ সবসময় অন থাকলে ব্যবহারকারীর অবস্থানও শনাক্ত করা সম্ভব। হ্যাকাররা ফোনের ‘MAC Address’ শনাক্ত করে চলাচলের রুট বা উপস্থিতির জায়গা নির্ণয় করতে পারে। একে বলা হয় ‘ব্লুটুথ ট্র্যাকিং’। অনেক সময় ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট বা বিমানবন্দরের মতো জায়গায় এই পদ্ধতিতে মানুষজনের অবস্থান বা অভ্যাস বিশ্লেষণ করা হয়, যা গোপনীয়তার জন্য ভয়ানক হুমকি।
শুধু নিরাপত্তাই নয়, ব্লুটুথ অন রাখলে ফোনের ব্যাটারিও দ্রুত শেষ হয়ে যায়। ফোন বারবার আশপাশের ডিভাইস খুঁজে সিগন্যাল পাঠায়। ফলে প্রসেসর ও সেন্সরগুলো ব্যস্ত থাকে। এতে ডিভাইস গরম হয়, পারফরম্যান্স কমে যায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাটারির আয়ু হ্রাস পায়। অর্থাৎ একটি ছোট অভ্যাস ধীরে ধীরে আপনার স্মার্টফোনের স্থায়িত্ব নষ্ট করে দেয়।
আরেকটি বড় সমস্যা হলো বর্তমানে স্মার্টওয়াচ, ফিটনেস ব্যান্ড ও, ইয়ারবাডের মতো অনেক গ্যাজেট ব্লুটুথনির্ভর হলেও এগুলোর নিরাপত্তা মান অনেক সময় দুর্বল থাকে। ফলে মূল ফোনে প্রবেশ না করেই হ্যাকাররা এসব ডিভাইসের মাধ্যমে ডেটা টেনে নিতে পারে। এমনকি ভয়েস কমান্ড বা অডিও রেকর্ডিংও দূর থেকে শুনে ফেলার মতো ঘটনাও ঘটছে। তাহলে কীভাবে নিরাপদ থাকা যায়? সহজ নিয়ম হলো—যখন ব্লুটুথের প্রয়োজন নেই, তখন সেটি বন্ধ রাখুন। পাবলিক জায়গায় কখনো নতুন ডিভাইস পেয়ার করবেন না। এবং ‘ডিসকভারেবল মোড’ সবসময় বন্ধ রাখুন যেন অন্যরা আপনার ডিভাইস খুঁজে না পায়। অপরিচিত কোনো ডিভাইস থেকে আসা ‘পেয়ার রিকোয়েস্ট’ সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করা উচিত। এছাড়া ফোন বা গ্যাজেটের সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট রাখা জরুরি, কারণ এসব আপডেটে থাকে নতুন নিরাপত্তা সুরক্ষা।
প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করেছে, কিন্তু নিরাপত্তার প্রশ্নে অবহেলা মানেই বিপদ। ব্লুটুথ একটি দারুণ উদ্ভাবন, তবে এটি সবসময় চালু রাখলে সেই সুবিধাই একসময় দুর্বলতার কারণ হয়ে উঠতে পারে। সচেতনভাবে ব্যবহার করাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সুরক্ষা। মনে রাখবেন, সবসময় অন থাকা মানে নিরাপদ থাকা নয়; বরং তা হতে পারে অজান্তে নিজের গোপন দরজা খোলা রেখে দেওয়া।

বর্তমান স্মার্ট যুগে ব্লুটুথ ছাড়া জীবন কল্পনা করা কঠিন। তারবিহীন হেডফোন, স্পিকার, স্মার্টওয়াচ কিংবা গাড়ির অডিও সিস্টেম—সব জায়গায় ব্লুটুথ এখন অপরিহার্য সংযোগের মাধ্যম। কিন্তু আমরা অনেকেই সহজ ব্যবহারের জন্য এটি সবসময় অন রাখি, যা একদিকে সুবিধাজনক হলেও অন্যদিকে অজানা এক বিপদের দরজাও খুলে দেয়। ব্লুটুথ মূলত স্বল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানের প্রযুক্তি হলেও এটি সবসময় সক্রিয় থাকলে মোবাইল বা ল্যাপটপে এক ধরনের ‘খোলা দরজা’ তৈরি হয়। যতক্ষণ ব্লুটুথ চালু থাকে, ততক্ষণ ফোন থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সিগন্যাল ছড়াতে থাকে, যা আশেপাশে থাকা হ্যাকারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।
আধুনিক সাইবার অপরাধীরা বিশেষ টুল ব্যবহার করে এই সিগন্যালের মাধ্যমে ডিভাইসে অননুমোদিতভাবে প্রবেশ করতে পারে। এতে ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, কন্টাক্ট লিস্ট, এমনকি মেসেজ পর্যন্ত চুরি হয়ে যেতে পারে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘ব্লুস্নারফিং’ বা ‘ব্লুবাগিং’, যা অনেকের কাছেই অজানা একটি হুমকি।
এছাড়া ব্লুটুথ সবসময় অন থাকলে ব্যবহারকারীর অবস্থানও শনাক্ত করা সম্ভব। হ্যাকাররা ফোনের ‘MAC Address’ শনাক্ত করে চলাচলের রুট বা উপস্থিতির জায়গা নির্ণয় করতে পারে। একে বলা হয় ‘ব্লুটুথ ট্র্যাকিং’। অনেক সময় ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট বা বিমানবন্দরের মতো জায়গায় এই পদ্ধতিতে মানুষজনের অবস্থান বা অভ্যাস বিশ্লেষণ করা হয়, যা গোপনীয়তার জন্য ভয়ানক হুমকি।
শুধু নিরাপত্তাই নয়, ব্লুটুথ অন রাখলে ফোনের ব্যাটারিও দ্রুত শেষ হয়ে যায়। ফোন বারবার আশপাশের ডিভাইস খুঁজে সিগন্যাল পাঠায়। ফলে প্রসেসর ও সেন্সরগুলো ব্যস্ত থাকে। এতে ডিভাইস গরম হয়, পারফরম্যান্স কমে যায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাটারির আয়ু হ্রাস পায়। অর্থাৎ একটি ছোট অভ্যাস ধীরে ধীরে আপনার স্মার্টফোনের স্থায়িত্ব নষ্ট করে দেয়।
আরেকটি বড় সমস্যা হলো বর্তমানে স্মার্টওয়াচ, ফিটনেস ব্যান্ড ও, ইয়ারবাডের মতো অনেক গ্যাজেট ব্লুটুথনির্ভর হলেও এগুলোর নিরাপত্তা মান অনেক সময় দুর্বল থাকে। ফলে মূল ফোনে প্রবেশ না করেই হ্যাকাররা এসব ডিভাইসের মাধ্যমে ডেটা টেনে নিতে পারে। এমনকি ভয়েস কমান্ড বা অডিও রেকর্ডিংও দূর থেকে শুনে ফেলার মতো ঘটনাও ঘটছে। তাহলে কীভাবে নিরাপদ থাকা যায়? সহজ নিয়ম হলো—যখন ব্লুটুথের প্রয়োজন নেই, তখন সেটি বন্ধ রাখুন। পাবলিক জায়গায় কখনো নতুন ডিভাইস পেয়ার করবেন না। এবং ‘ডিসকভারেবল মোড’ সবসময় বন্ধ রাখুন যেন অন্যরা আপনার ডিভাইস খুঁজে না পায়। অপরিচিত কোনো ডিভাইস থেকে আসা ‘পেয়ার রিকোয়েস্ট’ সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করা উচিত। এছাড়া ফোন বা গ্যাজেটের সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট রাখা জরুরি, কারণ এসব আপডেটে থাকে নতুন নিরাপত্তা সুরক্ষা।
প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করেছে, কিন্তু নিরাপত্তার প্রশ্নে অবহেলা মানেই বিপদ। ব্লুটুথ একটি দারুণ উদ্ভাবন, তবে এটি সবসময় চালু রাখলে সেই সুবিধাই একসময় দুর্বলতার কারণ হয়ে উঠতে পারে। সচেতনভাবে ব্যবহার করাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সুরক্ষা। মনে রাখবেন, সবসময় অন থাকা মানে নিরাপদ থাকা নয়; বরং তা হতে পারে অজান্তে নিজের গোপন দরজা খোলা রেখে দেওয়া।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) যেন এক টুকরো ছোট শহরযেখানে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মিলেমিশে গড়ে তুলেছে এক অনন্য স্বতন্ত্র বিশ্ব। কুমিল্লা শহর থেকে মাত্র ৯ দশমিক ৬ কিলোমিটার দূরে, সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের সালমানপুর ও রাজারখোলা এলাকায় বিস্তৃত ২৫০ একরের এই সবুজ ক্যাম্পাস।
৪০ মিনিট আগে
দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে অকার্যকর অবস্থায় পড়ে থাকা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) ভবনে ঝুলছে ব্যতিক্রমী এক ব্যানার- ‘সেন্ট্রাল ভাতের হোটেল’। বছরের পর বছর ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া ও গণতান্ত্রিক চর্চার অনুপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গত রোববার র
৭ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে থাকা ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের নিয়োগ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ২০২৩ সালের ১৫ মার্চের পর থেকে তিনি যে অর্থ নিয়েছেন, তা ফেরত দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হল প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে ধূমপান করতে দেখা গেলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এছাড়া ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইনসহ যে কোনো প্রকার মাদকদ্রব্য সেবন বা সংরক্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে অভিভাবকের উপস্থিতিতে হল
২০ ঘণ্টা আগে