ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার ১৪৫ দিন পার হয়েছে। হত্যার বিচার চেয়ে ফের মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে সম্মতি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইবি ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন এবং সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান, জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, গ্রিন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দীন ছাড়াও অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
এছাড়াও ছাত্রনেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইবি শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, ছাত্রশিবির সেক্রেটারি ইউসুফ আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক এস এম সুইট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, তালাবায়ে আরাবিয়ার সেক্রেটারি শামীম, শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দিনসহ অন্যান্যরা ।
ইবি ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর এ ধরণের ঘটনা ঘটবে আর সেটার জন্য আমাদের শিক্ষকদের মাঠে নামতে হবে এটা কখনো ভাবিনি। সাজিদ আব্দুল্লাহ নিজেও একজন জুলাই যোদ্ধা, আমরাও জুলাই যোদ্ধা। এরকম একটা ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমরা চুপ থাকতে পারিনা৷ ফ্যাসিস্ট আমলেও দিনে-দুপুরে খুন হতে পারে নাই, আমরা সবসময় সোচ্চার ছিলাম। আমাদের একটাই দাবি, অনতিবিলম্বে সাজিদের হত্যাকারীর বিচার করতে হবে।
সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, ১৪৫ দিন আগে হত্যাকাণ্ড হলেও অধ্যাবদি দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি চোখে পড়ে নাই। হয় ইচ্ছাকৃতভাবে এটিকে বিলম্বিত করা হচ্ছে অথবা বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসন ব্যর্থ। যদি প্রশাসন ব্যর্থ হয় তাহলে দায়ভার স্বীকার করতে হবে। যারা চিহ্নিত হয়েছে তাদের নাম প্রকাশে গড়িমসি করলে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির সাথে আমরা সবসময় থাকব। বিশ্ববিদ্যালয়ের চরম সংকটকালীন সময়ে আমি প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করেছি৷ আমি জানি প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে এদের শনাক্ত করা বেশি সময়ের ব্যাপার নয়।
জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র মাটিতে সাজিদ আব্দুল্লাহর মতো একজন কুরআনের হাফেজকে হত্যা করা হয়েছে। আমি দায়িত্বে থাকায় হত্যার বিচারের প্রত্যাশায় দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্ট জমা দেই। আমাদের আশা ছিল যত দ্রুত আমাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে সাজিদ হত্যার বিচারও তত দ্রুতই হবে। হত্যার খুনিকে ধরতে ৬ মাস লাগা অনেক লম্বা সময়। একারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভাবছে আদৌ বিচার হবে কিনা৷ হত্যাকারীদের ধরতে দেশের কোন সংস্থারই এতদিন সময় লাগার কথা না। আমাদের ধরে নিতে হবে কেউ বা কারা তাদের স্বার্থে নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে।

