ঢাকা কলেজ সাইকোলজি সোসাইটি (DCPS)-এর আয়োজনে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা কলেজের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজ মনোবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. আখতারা বানু এবং সহকারী অধ্যাপক নাজমুন নাহার। তারা আত্মহত্যা প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা, পারিবারিক সহযোগিতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ডা. আখতারা বানু বলেন, আত্মহত্যা শুধু ব্যক্তির ক্ষতি নয়, এটি পরিবার ও সমাজের জন্যও গভীর আঘাত। সচেতনতা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও পারিবারিক সহযোগিতা বাড়াতে পারলেই এই সমস্যা অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সহকারী অধ্যাপক নাজমুন নাহার বলেন, যুব সমাজ মানসিক চাপে সহজেই ভেঙে পড়ে। তাদের পাশে থেকে মানসিক শক্তি জোগানোই আমাদের দায়িত্ব। এ ধরনের অনুষ্ঠান সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিসিপিএস সভাপতি আহমেদ আরাফাত ফারদিন। তিনি বলেন, আমাদের এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা তৈরি করা। আমরা চাই, কেউ যেন একাকীত্ব বা মানসিক চাপে ভেঙে না পড়ে। প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন জানে, তার পাশে বন্ধু, পরিবার এবং শিক্ষকরা আছেন।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ডিসিপিএস সাধারণ সম্পাদক ইমন হোসেন। তিনি বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আমরা চাই, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে একে অপরের পাশে দাঁড়াক। এই সমাজ গড়ে উঠুক সহযোগিতা, সহমর্মিতা আর ভালোবাসার ভিত্তিতে।
মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী শাহিদ আহমেদ মাহি বলেন, আমরা তরুণরা অনেক সময় বিভিন্ন চাপ, ব্যর্থতা কিংবা হতাশায় ডুবে যাই। কিন্তু মনে রাখতে হবে, জীবনই সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা। এমন অনুষ্ঠান আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সমস্যার সমাধান আছে, শুধু কথা বলতে হবে এবং সাহায্য চাইতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত ডকুমেন্টারিতে আত্মহত্যার কারণ, প্রতিরোধের উপায় এবং মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। শিক্ষার্থীরা মনোযোগ সহকারে তা উপভোগ করেন এবং এ বিষয়ে নিজেদের মতামত শেয়ার করেন।
আয়োজন শেষে ঢাকা কলেজ সাইকোলজি সোসাইটির টিম ডিসিপিএসকে ধন্যবাদ জানায় অনুষ্ঠানে আসা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

