বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে, সুন্দরবনের নিকটে, ময়ূর নদীর তীরে এক বিস্তীর্ণ সবুজাভ ভূমিতে দাঁড়িয়ে আছে একটি স্বপ্নের প্রতীক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। মাত্র তিন দশকের ব্যবধানে এটি আজ দেশের অন্যতম অগ্রণী ও সৃজনশীল উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।
প্রতিষ্ঠার ইতিহাস: আঞ্চলিক স্বপ্ন থেকে জাতীয় গৌরব
খুলনা অঞ্চলে একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি ওঠে স্বাধীনতার পর থেকেই। দীর্ঘ আন্দোলন ও স্থানীয় জনগণের প্রত্যাশার পর ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৯৯০ সালের ৪ জুলাই পাস হয় 'খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯০' এবং ১৯৯১ সালের ৩১ আগস্ট প্রথম ক্লাস শুরু হয়। একই বছরের ২৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয় মাত্র ৪টি ডিসিপ্লিন (স্থাপত্য, নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ও ৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে।
প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান। তার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি শান্তিপূর্ণ, রাজনীতি-মুক্ত ও গবেষণামুখী একাডেমিক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেকে আলাদা করে তোলে। এ নীতির ধারাবাহিকতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এখনও পর্যন্ত দেশের একমাত্র সেশনজটমুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, যা প্রশাসনিক দক্ষতা ও একাডেমিক শৃঙ্খলার অনন্য উদাহরণ।
একাডেমিক পরিধি ও মানোন্নয়ন
প্রতিষ্ঠার সময় চারটি ডিসিপ্লিন থেকে আজ বিশ্ববিদ্যালয়টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮টি স্কুল ও ২৯টি ডিসিপ্লিনে, যেখানে অধ্যয়ন করছে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী, যার মধ্যে ৩৭ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ৫টি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন ৫২০-এর বেশি শিক্ষক, যাদের মধ্যে ২০০-এর বেশি পিএইচডি ডিগ্রিধারী। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত (১:১৮), যা দেশের অন্যতম সেরা। কারিকুলাম নিয়মিতভাবে হালনাগাদ করা হয় যাতে তা যুগোপযোগী, বাস্তবমুখী ও গবেষণাভিত্তিক হয়। বিজ্ঞান, প্রকৌশল, সমাজবিজ্ঞান, ব্যবসা প্রশাসন, আইন, মানবিক ও চারুকলার সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা পরিবেশ গড়ে উঠেছে এখানে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায় থেকেই শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করে তুলতে থিসিস বাধ্যতামূলক করেছে, যা বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এক ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ। পোস্টগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে রয়েছে কোর্সওয়ার্ক, মিক্সড মোড উইথ রিসার্চ, ইন্টার্নশিপ ও প্রজেক্ট, এবং মাস্টার্স বাই রিসার্চ পদ্ধতি-যা শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী দক্ষতা ও গবেষণা-চেতনা উভয়ই বিকশিত করে। বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, বায়োটেকনোলজি, আরবান অ্যান্ড রুরাল প্ল্যানিং ইত্যাদি বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ে প্রথম একাডেমিক প্রোগ্রাম চালু করার কৃতিত্বও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের।
গবেষণা ও উদ্ভাবনের নতুন দিগন্ত
গবেষণা হলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন ১০,০০০-এর বেশি গবেষণা প্রবন্ধ, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নালে এবং ক্রসরেফ ও স্কোপাসে সূচিকৃত। এই গবেষণাগুলো মূলত জলবায়ু পরিবর্তন, উপক‚লীয় ইকোসিস্টেম, বায়োটেকনোলজি, ম্যানগ্রোভ বন ব্যবস্থাপনা, কৃষি, জলজসম্পদ, নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক।
উপকূলীয় বিশেষায়ন: স্থানিক জ্ঞানে বৈশ্বিক অবদান
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানগত সুবিধা এর সবচেয়ে বড় শক্তি। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন ও বাংলাদেশের উপক‚লীয় বেল্টের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে এখানে গড়ে উঠেছে অনন্য গবেষণা দক্ষতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিন যেমন- নভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্সেস টেকনোলজি, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি, আরবান অ্যান্ড রুরাল প্ল্যানিং, এবং সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিন উপক‚লীয় জীববৈচিত্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও টেকসই জীবিকায় গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করছে। এই গবেষণাগুলো শুধুমাত্র বাংলাদেশের নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও নীতিনির্ধারণে অবদান রাখছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের লক্ষ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়টিকে একটি "ইমপ্যাক্টফুল বিশ্ববিদ্যালয়" হিসেবে গড়ে তোলা-একটি এমন প্রতিষ্ঠান, যেখানে প্রতিটি গবেষণা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাস্তব ভ‚মিকা রাখবে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যেই এক দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন, গবেষণা ও মানোন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন একাডেমিক ভবন, আবাসিক সুবিধা ও ল্যাবরেটরি নির্মাণের পাশাপাশি ক্যাম্পাসকে আরও সবুজ, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে। শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক দক্ষতা বাড়াতে ফিল্ড ল্যাব ও সহায়ক সাপোর্ট সার্ভিস বৃদ্ধি এবং উচ্চগতির ইন্টারনেটসহ স্মার্ট ক্লাসরুম স্থাপনও এই পরিকল্পনার অংশ। শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের স্বীকৃতি অর্জনের পথে এগিয়ে চলেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যৌথ প্রোগ্রাম সম্প্রসারণ, টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ প্রোগ্রাম চালু এবং আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা অনুদান প্রদানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে তারা প্রাথমিক পর্যায় থেকেই গবেষণা ও উদ্ভাবনে সম্পৃক্ত হতে পারে।

গবেষণার পরিসর আরও প্রসারিত করতে মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি রিসার্চের সুযোগ বৃদ্ধি, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা জোরদার করা এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর আঞ্চলিক হাব হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়কে এক বৈশ্বিক গবেষণানির্ভর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবে, যার প্রতিটি গবেষণাই হবে দেশের উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে নিবেদিত।
শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বিকাশ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি এই পরিকল্পনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল, উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, যাতে তারা ভবিষ্যতের কর্মবাজারে আত্মনির্ভর ও প্রতিযোগিতামূলক হতে পারে। পাশাপাশি কমিউনিটি এনগেজমেন্ট ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে, যাতে তারা সমাজের সঙ্গে বাস্তব সংযোগ স্থাপন করতে পারে এবং স্থানীয় উন্নয়ন সমস্যার সমাধানে নিজেদের জ্ঞান ও গবেষণা প্রয়োগ করতে পারে।
এই সার্বিক পরিকল্পনার পেছনে রয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম-যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে প্রবীণ শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক যাত্রার প্রথম দিন থেকেই এর সঙ্গে যুক্ত। প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্নে তরুণ শিক্ষক হিসেবে যাত্রা শুরু করে আজ তিনি নিজ হাতে গড়ে তোলা এই প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
২০২৪ সালের ২০ আগস্ট প্রশাসনিক শূন্যতার সময়ে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব ছিল না, তখন প্রফেসর ড. রেজাউল করিম দায়িত্ব গ্রহণ করেন অন্তর্বর্তী প্রশাসক হিসেবে। তিনি দ্রæত ক্যাম্পাসে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐক্য ও আস্থা পুনর্গঠন করেন, এবং একাডেমিক কার্যক্রমকে সচল রাখেন। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর তিনি উপাচার্য হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
উপাচার্য হিসেবে তার দর্শন খুব স্পষ্ট খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় হবে একটি শিক্ষার্থী-বান্ধব, জ্ঞানচর্চা ও মানবিক মূল্যবোধনির্ভর প্রতিষ্ঠান। তাঁর মতে, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল পাঠদান বা গবেষণার জায়গা নয়, বরং এটি এমন এক পরিসর, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সমাজ ও দেশের প্রতি দায়িত্ববোধের সঙ্গে গড়ে ওঠে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, প্রশাসনের অংশ হিসেবে উপাচার্য হিসেবে আমার ভ‚মিকাও স্পষ্ট আমি এমন একটি সক্ষম ও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই, যেখানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের যে কোন উদ্যোগ যা জ্ঞানচর্চা, উদ্ভাবন ও সমাজে ইতিবাচক অবদান ও প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে, তা সুপরিপূর্ণভাবে লালন ও বিকশিত হতে পারে।
প্রফেসর করিমের স্বপ্ন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় একদিন এমন একটি ইমপ্যাক্টফুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে, যার প্রতিটি গবেষণা বাংলাদেশের উন্নয়নে বাস্তব প্রভাব ফেলবে, যার প্রতিটি স্নাতক নিজ পেশায় যোগ্যতার পাশাপাশি সততা, উদ্ভাবন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতীক হয়ে উঠবে। তাঁর ভাষায়-"আমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এর জন্মলগ্ন থেকেই আছি। এক সময় তরুণ শিক্ষক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলাম, আজ এই পরিবারের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার স্বপ্ন হলো এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা, যা শুধু জ্ঞান সৃষ্টি করবে না, বরং সেই জ্ঞানকে সমাজ ও মানবকল্যাণে প্রয়োগ করবে। প্রতিটি গবেষণা হবে উন্নয়নের হাতিয়ার, প্রতিটি শিক্ষার্থী হবে আলোকিত বাংলাদেশের প্রতিনিধি।"
এই দৃষ্টিভঙ্গি ও নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আজ নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে-একটি আধুনিক, শান্তিপূর্ণ, গবেষণানির্ভর ও বৈশ্বিক প্রভাবসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পথে।
চ্যালেঞ্জ ও প্রয়োজনীয়তা
তবে সব সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়টি কয়েকটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, যা হলো, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, সীমিত আবাসিক সুবিধা, আধুনিক গবেষণাগার ও আইটি ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ঘাটতি। বিশেষত নতুন ভবন নির্মাণ, ল্যাব সম্প্রসারণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি সহায়তা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের জমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুক‚লে হস্তান্তরের জন্য, যা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের পথ আরও সুগম হবে। এর পাশাপাশি একটি ডিপিপি জমাদানের প্রক্রিয়া চলমান, যা অনুমোদিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো সংকট কিছুটা হলেও দূর করা যাবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আজ কেবল দক্ষিণ-পশ্চিম উপক‚লের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়-এটি বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার অগ্রযাত্রার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। শান্তিপূর্ণ একাডেমিক পরিবেশ, শিক্ষার মান, গবেষণার গভীরতা, আন্তর্জাতিক সংযোগ ও মানবিক মূল্যবোধের কারণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠেছে তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ ও প্রেরণার প্রতীক।
লেখক : পরিচালক, দি অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স।

