ডাকসু নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ ঢাবি ভিসির

প্রতিনিধি, ঢাবি
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৮
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৪১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় শিক্ষার্থী, প্রার্থী, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন-পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় উপাচার্য বলেন, “ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি ছিলো। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা এই নির্বাচন আয়োজন করেছি। এটি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও এর মূল্যবোধের প্রতি সম্মান জানানোরও একটি সুযোগ।”

বিজ্ঞাপন

তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি গণতান্ত্রিক চর্চার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এ সময় তিনি কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী চ্যানেল এস-এর সাংবাদিক তারিকুল ইসলাম শিবলীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

উপাচার্য বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রকৃত অর্থেই দিন-রাত এক করে কাজ করেছে। এমনকি কমিশনের একজন সদস্য তাঁর সন্তানকে মুমূর্ষু অবস্থায় আইসিইউতে রেখে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি যোগ করেন, “এই উদাহরণ প্রমাণ করে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে কত মানুষের পরিশ্রম জড়িত ছিলো। গত এগারো মাস আমার সহকর্মীরা প্রতিটি পদক্ষেপ সুচারুভাবে বাস্তবায়ন করেছেন, তাদের ভূমিকা নিঃসন্দেহে অনবদ্য।”

এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যবেক্ষকদল, শিক্ষক ফোরাম এবং বিভিন্ন অভিভাবক-অংশীজনদের সক্রিয় ভূমিকা তিনি স্মরণ করেন এবং কৃতজ্ঞতা জানান।

ড. নিয়াজ আহমদ খান বিজয়ী ও বিজিত প্রার্থীদের শুভকামনা জানিয়ে বলেন, তারা ডাকসু পুনঃসক্রিয়করণে ভূমিকা রেখেছেন। ভিন্নমতের হলেও নির্বাচনী প্রস্তুতি থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত পরমতসহিষ্ণুতা প্রদর্শনের মাধ্যমে তারা সংঘাত এড়াতে সক্ষম হয়েছেন। “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের প্রতি মমত্ববোধের কারণে ভিন্ন দল-মতের মানুষও এক হতে পারে—এর দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে এই নির্বাচনে,”বলেন তিনি।

উপাচার্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ প্রশাসন, পুলিশের বিভিন্ন শাখা ও গোয়েন্দা দপ্তরের ভূমিকা নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি দেশবাসীর আগ্রহ ও সমর্থনকে ‘একটি বড় প্রাপ্তি’ উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, “ডাকসু সক্রিয়করণের মাধ্যমে আমরা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ববিদ্যালয় গঠন এবং বাংলাদেশ পুনর্গঠনের কাজে জাতির সঙ্গে থাকতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, ডাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের মতামত ও স্বার্থকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়নে কাজ করবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত