প্রতিনিধি, জবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ক্যান্টিনে সুপেয় পানি না পেয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। খাবারের পর পানি পেতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে প্রতিদিন। আর এই পানি সংকটের মূল কারণ—পুরোনো টয়লেট ভাঙার সময় অসাবধানতাবশত পানির পাইপলাইন ফেটে গেছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে ক্যান্টিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ক্যান্টিনের পাশের পুরোনো টয়লেটগুলো সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভাঙা জায়গার পাশেই মাটির নিচে পানির পাইপলাইন ফেটে যাওয়ার চিহ্ন স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এই লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্যান্টিনে সুপেয় পানির সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে।
ফলে ক্যান্টিনে স্থাপন করা তিনটি পানির ফিল্টারের মধ্যে বর্তমানে দুটি অকেজো হয়ে আছে। এর মধ্যে একটি ফিল্টার আগে থেকেই নষ্ট ছিল, আর বাকি একটি টয়লেট ভাঙার সময় পাইপলাইন ফেটে যাওয়ায় অচল হয়ে পড়ে। এখন কয়েক শত শিক্ষার্থীকে মাত্র একটি ফিল্টারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী দেবাশীষ চন্দ্র দুর্লভ বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এটিই একমাত্র ক্যান্টিন, প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থী আসে। কিন্তু পানি ফিল্টার খুবই অল্পসংখ্যক এবং তার অর্ধেকই অচল। খাবার শেষে এক গ্লাস পানি পেতেও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়। এটা খুবই অমানবিক। দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।”
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নুজাইমা জামান বলেন, “পুরান ঢাকার পানি দূষিত হওয়ায় আমরা ক্যাম্পাসে থাকা ফিল্টারযুক্ত পানির ওপর নির্ভর করি। কিন্তু এখন সেই পানিও পাওয়া যাচ্ছে না। এতে করে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”
পানি লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রভাব শুধু শিক্ষার্থীদের নয়, কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও ভোগান্তি তৈরি করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী বলেন, “টয়লেট ভাঙার সময় পাইপ ফেটে যায়, এরপর থেকেই পানি সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো—বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করেই টয়লেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখন কাছাকাছি কোনো টয়লেট নেই, আর ডিপার্টমেন্টের টয়লেট সবসময় খোলা থাকে না। অফিসের কাজ রেখে দূরের মসজিদে যাওয়া কষ্টকর হয়ে গেছে।”
এই বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক কে. এ. এম. রিফাত হাসান বলেন, “ওয়াশরুম ভাঙার সময় প্রকৌশল দপ্তর পানির পাইপলাইন ফাটিয়ে ফেলেছে। আমরা তাদের দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দিয়েছি। কয়েকদিন আগে তারা সাময়িকভাবে তা মেরামত করেছিল। কিন্তু আবার সমস্যা হওয়ায় প্রকৌশল দপ্তরের সঙ্গে নতুন করে বসা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের যেন আর ভোগান্তিতে না পড়তে হয়, সে জন্য দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।”
পানি সংকট ও অব্যবস্থাপনার দায় নিয়ে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী। তিনি বলেন, “আমি বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, টয়লেট ভাঙার সময় অসাবধানতাবশত পানির লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারা দায়ী এবং কীভাবে এমন হলো, তা খতিয়ে দেখছি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা দ্রুত টেকনিক্যাল টিম পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় মেরামত করব। প্রয়োজনে নতুন পাইপ বসানো হবে। শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানির মতো একটি মৌলিক চাহিদা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়া খুবই দুঃখজনক। এমনটি যেন ভবিষ্যতে আর না হয়, সে জন্যও নজরদারি বাড়ানো হবে।”
পুরনো টয়লেটগুলো ভাঙা থেকে শুরু হওয়া পাইপলাইন ক্ষতি এবং তা থেকে উদ্ভূত সুপেয় পানি সংকট—সব মিলিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন এলাকার ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের ত্রুটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের দায়িত্বশীল পদক্ষেপ না থাকলে শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবন এমন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ভোগে জর্জরিত হতেই থাকবে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা দ্রুত সমাধানের প্রত্যাশায় রয়েছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ক্যান্টিনে সুপেয় পানি না পেয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। খাবারের পর পানি পেতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে প্রতিদিন। আর এই পানি সংকটের মূল কারণ—পুরোনো টয়লেট ভাঙার সময় অসাবধানতাবশত পানির পাইপলাইন ফেটে গেছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে ক্যান্টিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ক্যান্টিনের পাশের পুরোনো টয়লেটগুলো সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভাঙা জায়গার পাশেই মাটির নিচে পানির পাইপলাইন ফেটে যাওয়ার চিহ্ন স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এই লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্যান্টিনে সুপেয় পানির সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে।
ফলে ক্যান্টিনে স্থাপন করা তিনটি পানির ফিল্টারের মধ্যে বর্তমানে দুটি অকেজো হয়ে আছে। এর মধ্যে একটি ফিল্টার আগে থেকেই নষ্ট ছিল, আর বাকি একটি টয়লেট ভাঙার সময় পাইপলাইন ফেটে যাওয়ায় অচল হয়ে পড়ে। এখন কয়েক শত শিক্ষার্থীকে মাত্র একটি ফিল্টারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী দেবাশীষ চন্দ্র দুর্লভ বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এটিই একমাত্র ক্যান্টিন, প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থী আসে। কিন্তু পানি ফিল্টার খুবই অল্পসংখ্যক এবং তার অর্ধেকই অচল। খাবার শেষে এক গ্লাস পানি পেতেও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়। এটা খুবই অমানবিক। দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।”
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নুজাইমা জামান বলেন, “পুরান ঢাকার পানি দূষিত হওয়ায় আমরা ক্যাম্পাসে থাকা ফিল্টারযুক্ত পানির ওপর নির্ভর করি। কিন্তু এখন সেই পানিও পাওয়া যাচ্ছে না। এতে করে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”
পানি লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রভাব শুধু শিক্ষার্থীদের নয়, কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও ভোগান্তি তৈরি করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী বলেন, “টয়লেট ভাঙার সময় পাইপ ফেটে যায়, এরপর থেকেই পানি সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো—বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করেই টয়লেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখন কাছাকাছি কোনো টয়লেট নেই, আর ডিপার্টমেন্টের টয়লেট সবসময় খোলা থাকে না। অফিসের কাজ রেখে দূরের মসজিদে যাওয়া কষ্টকর হয়ে গেছে।”
এই বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক কে. এ. এম. রিফাত হাসান বলেন, “ওয়াশরুম ভাঙার সময় প্রকৌশল দপ্তর পানির পাইপলাইন ফাটিয়ে ফেলেছে। আমরা তাদের দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দিয়েছি। কয়েকদিন আগে তারা সাময়িকভাবে তা মেরামত করেছিল। কিন্তু আবার সমস্যা হওয়ায় প্রকৌশল দপ্তরের সঙ্গে নতুন করে বসা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের যেন আর ভোগান্তিতে না পড়তে হয়, সে জন্য দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।”
পানি সংকট ও অব্যবস্থাপনার দায় নিয়ে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী। তিনি বলেন, “আমি বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, টয়লেট ভাঙার সময় অসাবধানতাবশত পানির লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারা দায়ী এবং কীভাবে এমন হলো, তা খতিয়ে দেখছি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা দ্রুত টেকনিক্যাল টিম পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় মেরামত করব। প্রয়োজনে নতুন পাইপ বসানো হবে। শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানির মতো একটি মৌলিক চাহিদা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়া খুবই দুঃখজনক। এমনটি যেন ভবিষ্যতে আর না হয়, সে জন্যও নজরদারি বাড়ানো হবে।”
পুরনো টয়লেটগুলো ভাঙা থেকে শুরু হওয়া পাইপলাইন ক্ষতি এবং তা থেকে উদ্ভূত সুপেয় পানি সংকট—সব মিলিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন এলাকার ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের ত্রুটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের দায়িত্বশীল পদক্ষেপ না থাকলে শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবন এমন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ভোগে জর্জরিত হতেই থাকবে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা দ্রুত সমাধানের প্রত্যাশায় রয়েছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
২৩ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
১ ঘণ্টা আগেসমাবেশে জোবায়েদের সহপাঠী সজল খান বলেন, “পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা ও মাহির নয়, এই ঘটনায় বর্ষার পরিবারও জড়িত। গতকাল আদালতে আমাদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ছিল অমানবিক। আমাদের এক বান্ধবী ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
১ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইনের মামলায় বুয়েটের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জামিনের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন বিচার
২ ঘণ্টা আগে