
প্রতিনিধি, চবি

আয়নাঘরকে মিথ্যা আখ্যা এবং বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রায় দুই শতাধিক কলাম লিখা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসাইনকে শিক্ষা ছুটি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধ্যাপক জাকির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ছাত্রজীবনে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ১৯৯৬ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
চাকরিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দলে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন। এরপর তিনি দলটির মনোনীত সিন্ডিকেট সদস্য, তিনবারের আইন অনুষদের ডিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মনোনীত সিন্ডিকেট সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
আইন অনুষদে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের ভিত্তি তৈরি করেন তিনিই। অনুষদের সভাপতি থাকাকালে তিনি ছাত্রলীগের বহু নেতা-কর্মীকে শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সদস্য থাকাকালে চিহ্নিত ছাত্রলীগ ক্যাডারদের জজ হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছেন—এমন অভিযোগও উঠেছে।
এমনই একজন ব্যক্তিকে শিক্ষা ছুটি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ১৫ তারিখ থেকে তার ছুটি কার্যকর হয়েছে। তিনি এখন ইউনিভার্সিটি উতারা মালয়েশিয়ায় পিএইচডি করছেন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার চৌধুরী আমির মোহাম্মদ মুছা আমার দেশকে বলেন, ‘তিনি (অধ্যাপক জাকির) পিএইচডি প্রোগ্রামের ছুটি নিয়ে বিদেশে গিয়েছেন। আমরা প্রথমে ১ বছরের ছুটি মঞ্জুর করেছি। তার গবেষণার ওপর ভিত্তি করে এই ছুটি বাড়ানো হবে।’
আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মু. জাফর উল্লাহ তালুকদার আমার দেশকে বলেন, ‘আওয়ামী মতাদর্শের শিক্ষকদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এখানে বেশি। এ জন্য আমি এককভাবে কিছু করতে পারিনি। তবে আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তার বিষয়ে অবগত করেছিলাম। কিন্তু তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন তাকে যেতে দিয়েছে, সেটা আমারও প্রশ্ন।’
জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আল-আমীন বলেন, ‘তিনি (অধ্যাপক জাকির) সম্ভবত শিক্ষা ছুটি নিয়ে বিদেশে পিএইচডি করতে গেছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো পর্ষদে অভিযোগ আছে কি না, সে বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে একটি বিষয় আমাকে অবাক করেছে—তিনি চাকরির শেষ বয়সে পিএইচডি করতে গেছেন; আগে কেন যাননি, তা ভাবার বিষয়।’
চবি সাদা দলের আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক শাহাদাত হোছাইন বলেন, ‘যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরোধিতা করেছিল বা গত ১৫ বছরের সুবিধাভোগী থেকে ভিন্ন মতাদর্শী শিক্ষকদেরকে বিভিন্ন ভাবে হেনেস্তা করেছিল বা পদোন্নতি বঞ্ছিত করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। বরং এ ধরনের যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং বিভিন্ন অভিযোগ তদান্তাধীন তাদের তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতির বোর্ড বসানোর বিষয়ে সাধারণ শিক্ষকরা আপত্তি জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাতে কর্ণপাত করেনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘যে সব ফ্যাসিস্টের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরাসরি মাঠে থেকে জুলাইয়ে বিরোধিতা করেছে, তাদের ছবি ও ভিডিও থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বপ্রণোদিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অধ্যাপক জাকির হোসেন এ ক্ষেত্রে একমাত্র ব্যক্তি নন—এমন আরো অনেকেই আছেন, যাদের বিরুদ্ধেও কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। গত এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রশ্ন উঠেছে—তারা আদৌ জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করছে কি না।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন আমার দেশকে বলেন, ‘অধ্যাপক জাকিরের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ জমা দেয়নি। এ ছাড়া তিনি ইতিপূর্বে শিক্ষা ছুটিও নেননি। ফলে তাকে শিক্ষা ছুটি দেয়া হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে যাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ রয়েছে, তারা আবেদন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের শিক্ষা ছুটি দেয়নি।’

আয়নাঘরকে মিথ্যা আখ্যা এবং বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রায় দুই শতাধিক কলাম লিখা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসাইনকে শিক্ষা ছুটি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধ্যাপক জাকির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ছাত্রজীবনে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ১৯৯৬ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
চাকরিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দলে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন। এরপর তিনি দলটির মনোনীত সিন্ডিকেট সদস্য, তিনবারের আইন অনুষদের ডিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মনোনীত সিন্ডিকেট সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
আইন অনুষদে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের ভিত্তি তৈরি করেন তিনিই। অনুষদের সভাপতি থাকাকালে তিনি ছাত্রলীগের বহু নেতা-কর্মীকে শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সদস্য থাকাকালে চিহ্নিত ছাত্রলীগ ক্যাডারদের জজ হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছেন—এমন অভিযোগও উঠেছে।
এমনই একজন ব্যক্তিকে শিক্ষা ছুটি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ১৫ তারিখ থেকে তার ছুটি কার্যকর হয়েছে। তিনি এখন ইউনিভার্সিটি উতারা মালয়েশিয়ায় পিএইচডি করছেন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার চৌধুরী আমির মোহাম্মদ মুছা আমার দেশকে বলেন, ‘তিনি (অধ্যাপক জাকির) পিএইচডি প্রোগ্রামের ছুটি নিয়ে বিদেশে গিয়েছেন। আমরা প্রথমে ১ বছরের ছুটি মঞ্জুর করেছি। তার গবেষণার ওপর ভিত্তি করে এই ছুটি বাড়ানো হবে।’
আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মু. জাফর উল্লাহ তালুকদার আমার দেশকে বলেন, ‘আওয়ামী মতাদর্শের শিক্ষকদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এখানে বেশি। এ জন্য আমি এককভাবে কিছু করতে পারিনি। তবে আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তার বিষয়ে অবগত করেছিলাম। কিন্তু তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন তাকে যেতে দিয়েছে, সেটা আমারও প্রশ্ন।’
জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আল-আমীন বলেন, ‘তিনি (অধ্যাপক জাকির) সম্ভবত শিক্ষা ছুটি নিয়ে বিদেশে পিএইচডি করতে গেছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো পর্ষদে অভিযোগ আছে কি না, সে বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে একটি বিষয় আমাকে অবাক করেছে—তিনি চাকরির শেষ বয়সে পিএইচডি করতে গেছেন; আগে কেন যাননি, তা ভাবার বিষয়।’
চবি সাদা দলের আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক শাহাদাত হোছাইন বলেন, ‘যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরোধিতা করেছিল বা গত ১৫ বছরের সুবিধাভোগী থেকে ভিন্ন মতাদর্শী শিক্ষকদেরকে বিভিন্ন ভাবে হেনেস্তা করেছিল বা পদোন্নতি বঞ্ছিত করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। বরং এ ধরনের যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং বিভিন্ন অভিযোগ তদান্তাধীন তাদের তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতির বোর্ড বসানোর বিষয়ে সাধারণ শিক্ষকরা আপত্তি জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাতে কর্ণপাত করেনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘যে সব ফ্যাসিস্টের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরাসরি মাঠে থেকে জুলাইয়ে বিরোধিতা করেছে, তাদের ছবি ও ভিডিও থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বপ্রণোদিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অধ্যাপক জাকির হোসেন এ ক্ষেত্রে একমাত্র ব্যক্তি নন—এমন আরো অনেকেই আছেন, যাদের বিরুদ্ধেও কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। গত এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রশ্ন উঠেছে—তারা আদৌ জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করছে কি না।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন আমার দেশকে বলেন, ‘অধ্যাপক জাকিরের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ জমা দেয়নি। এ ছাড়া তিনি ইতিপূর্বে শিক্ষা ছুটিও নেননি। ফলে তাকে শিক্ষা ছুটি দেয়া হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে যাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ রয়েছে, তারা আবেদন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের শিক্ষা ছুটি দেয়নি।’


অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বর্ষসেরা সাংবাদিক পুরস্কার প্রদান করা হয়। বর্ষসেরা অনুসন্ধানী সাংবাদিকের পুরস্কার পেয়েছেন আমার দেশ প্রতিনিধি নাহিদুল ইসলাম এবং আরটিভি প্রতিনিধি মো. রিয়াদুল ইসলাম। বর্ষসেরা বিশেষ প্রতিবেদন (প্রিন্ট) ক্যাটাগরিতে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিনিধি মোস্তাকিম সাদিক এবং অনলাইন
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫০৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এই সময়ের মধ্যে এডিস মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগে
ক্যানসারের সাধারণ কিছু লক্ষণ যা নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে ত্বকের পরিবর্তন। যেমন পিণ্ড বা ফোঁড়া যা সহজে রক্তপাত হয়, ক্ষত যা নিরাময় হয় না এবং তিলের আকার বা রঙে পরিবর্তন। এ ছাড়া অস্বাভাবিক ক্লান্তি, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, ওজন হ্রাস এবং খাবার বা পান চিবাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় অনুমোদন দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি। অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা–২০২৫ বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
৯ ঘণ্টা আগে