প্রতিনিধি, ঢাবি
‘ফ্যাসিবাদ-সহযোগী’ বিতর্কের জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় অনুষ্ঠিতব্য সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর আয়োজিত শরৎ উৎসব আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে অনুষ্ঠান স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী গত ১৯ বছর ধরে চারুকলার বকুলতলায় শরৎ উৎসব আয়োজন করে আসছে। এবছরও তারা যথাযথ নিয়ম মেনে অনুষদের অনুমতি নিয়ে আগামী ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ সূত্র আরো জানিয়েছে, শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ডিনের কক্ষে এক যৌথ বৈঠকে অভিযোগের প্রকৃতি, এর রাজনৈতিক প্রভাব এবং অনুষ্ঠান আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে। সেই বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শরৎ উৎসব বকুলতলায় পুনরায় আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হবে কি না।
তবে গত ৯ অক্টোবর ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী লেখক, সাংবাদিক ও শিল্পীসমাজ’-এর পক্ষ থেকে একটি অভিযোগপত্র চারুকলা অনুষদে জমা পড়ে, যেখানে আয়োজক দলের এক সদস্যের ‘ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা’ থাকার অভিযোগ আনা হয়।
এই অভিযোগের পর ‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে’ অনুষ্ঠানটি আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় চারুকলা অনুষদ। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শনিবার (১১ অক্টোবর) অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ ও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই শেষে স্থগিত অনুষ্ঠানটি ভবিষ্যতে আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টার ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কয়েকজনকে দেখা যায়- তাদের মধ্যে মানজার চৌধুরীও ছিলেন। এরপর থেকেই চারুকলা অনুষদে ‘ফ্যাসিবাদ সহযোগী’ বিতর্ক ঘিরে নানা আলোচনা শুরু হয়।
তবে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, তারা যথাযথ প্রক্রিয়ায় বকুলতলার স্থানটি ভাড়া নিয়েছেন এবং ২৬ হাজার টাকা ভাড়াও পরিশোধ করেছেন। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে চারুকলা কর্তৃপক্ষ তাদের জানায় যে, “অনুষ্ঠানটি করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা আজ রাতেই মঞ্চ তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু চারুকলার গেইটে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অথচ আমাদের কাছে লিখিত অনুমতিপত্র রয়েছে।”
সমালোচিত ছবিগুলোর ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা যেহেতু সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষ সেহেতু প্রধানমন্ত্রী কিংবা যে কারুর সাথে ছবি থাকতে পারে- এটি স্বাভাবিক। তবে আমি কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না, ভবিষ্যতেও হব না। আমি মূলত কমিউনিস্ট ধারার রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম, এখন আমাকে আওয়ামী লীগ বানিয়ে দিলে তো হবে না।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, অনেকের কাছ থেকে আপত্তি এসেছে। শিক্ষার্থীদের নানা পক্ষ থেকেও আপত্তি থাকায় অনুষ্ঠানটি আপাতত না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
‘ফ্যাসিবাদ-সহযোগী’ বিতর্কের জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় অনুষ্ঠিতব্য সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর আয়োজিত শরৎ উৎসব আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে অনুষ্ঠান স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী গত ১৯ বছর ধরে চারুকলার বকুলতলায় শরৎ উৎসব আয়োজন করে আসছে। এবছরও তারা যথাযথ নিয়ম মেনে অনুষদের অনুমতি নিয়ে আগামী ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ সূত্র আরো জানিয়েছে, শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ডিনের কক্ষে এক যৌথ বৈঠকে অভিযোগের প্রকৃতি, এর রাজনৈতিক প্রভাব এবং অনুষ্ঠান আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে। সেই বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শরৎ উৎসব বকুলতলায় পুনরায় আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হবে কি না।
তবে গত ৯ অক্টোবর ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী লেখক, সাংবাদিক ও শিল্পীসমাজ’-এর পক্ষ থেকে একটি অভিযোগপত্র চারুকলা অনুষদে জমা পড়ে, যেখানে আয়োজক দলের এক সদস্যের ‘ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা’ থাকার অভিযোগ আনা হয়।
এই অভিযোগের পর ‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে’ অনুষ্ঠানটি আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় চারুকলা অনুষদ। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শনিবার (১১ অক্টোবর) অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ ও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই শেষে স্থগিত অনুষ্ঠানটি ভবিষ্যতে আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টার ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কয়েকজনকে দেখা যায়- তাদের মধ্যে মানজার চৌধুরীও ছিলেন। এরপর থেকেই চারুকলা অনুষদে ‘ফ্যাসিবাদ সহযোগী’ বিতর্ক ঘিরে নানা আলোচনা শুরু হয়।
তবে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, তারা যথাযথ প্রক্রিয়ায় বকুলতলার স্থানটি ভাড়া নিয়েছেন এবং ২৬ হাজার টাকা ভাড়াও পরিশোধ করেছেন। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে চারুকলা কর্তৃপক্ষ তাদের জানায় যে, “অনুষ্ঠানটি করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা আজ রাতেই মঞ্চ তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু চারুকলার গেইটে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অথচ আমাদের কাছে লিখিত অনুমতিপত্র রয়েছে।”
সমালোচিত ছবিগুলোর ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা যেহেতু সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষ সেহেতু প্রধানমন্ত্রী কিংবা যে কারুর সাথে ছবি থাকতে পারে- এটি স্বাভাবিক। তবে আমি কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না, ভবিষ্যতেও হব না। আমি মূলত কমিউনিস্ট ধারার রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম, এখন আমাকে আওয়ামী লীগ বানিয়ে দিলে তো হবে না।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, অনেকের কাছ থেকে আপত্তি এসেছে। শিক্ষার্থীদের নানা পক্ষ থেকেও আপত্তি থাকায় অনুষ্ঠানটি আপাতত না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
১৮ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
২ ঘণ্টা আগেসমাবেশে জোবায়েদের সহপাঠী সজল খান বলেন, “পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা ও মাহির নয়, এই ঘটনায় বর্ষার পরিবারও জড়িত। গতকাল আদালতে আমাদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ছিল অমানবিক। আমাদের এক বান্ধবী ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
২ ঘণ্টা আগে