সকালের ভাবনা

শাহীন পরদেশী
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০: ৩৮

খুব ভোরে মুয়াজ্জিনের সুমধুর আজান শুনে খুকির ঘুম ভাঙে। তারপর খুকি ওজু করে। বায়না ধরে ফজরের নামাজ আদায় করতে আব্বুর সঙ্গে মসজিদে যাবে। আব্বুও খুকির কথা শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে মসজিদে নিয়ে যান। মসজিদের অন্য মুসল্লিরা বাবা-মেয়ের নামাজ পড়া দেখে খুশি হয়ে তাদের জন্য দোয়া করেন। প্রতিদিন খুকির এ রকম মসজিদে নামাজ পড়া দেখে এক বৃদ্ধা চাচা খুকির জন্য নিয়মিত ফজরের নামাজের সময় চকলেট নিয়ে আসেন এবং মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন। খুকি আল্লাহকে খুবই ভয় পায়। আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসুল (সা.) প্রদর্শিত বিধান মেনে চললে ইহকাল ও পরকালে শান্তি পাওয়া যায়। কেউ যদি মেনে না চলে তাহলে তার কঠিন শাস্তি হবে। এসব কথা খুকি তার গ্রামের এক ওয়াজ মাহফিলে শুনেছে।

বিজ্ঞাপন

একদিন খুকির আব্বু বাসায় ছিলেন না। বিশেষ একটা কাজে গাইবান্ধা গিয়েছেন। রাত বেশি হওয়ায় সেখানে থেকে যান। খুকি মুয়াজ্জিনের আজান শুনে ঘুম থেকে ওঠে। আহ্, কত সুন্দর ভালো লাগা আজানের ধ্বনি, মোরগের ডাক, পাখির কিচিরমিচির—এসব আল্লাহর নিয়ামত । এ কথা ভেবে খুকি আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করে। আগের মতো করে আজকেও ওজু করে মায়ের সঙ্গে সুন্নত নামাজ আদায় করে। ফরজ নামাজ মসজিদে গিয়ে পড়ার জন্য ছটফট শুরু করে। কারণ আজকে বাবা নেই। অবশেষে কাঁদতে শুরু করে।

তখন খুকির আম্মু বললেন, ‘খুকি, আজকে তোমার আব্বু নেই তাতে কী হয়েছে? আমার সঙ্গে ফরজ নামাজ পড়ো। তুমি ইকামাত দাও, আর আমি নিয়ত করে ইমাম হই—তোমার জামাআতে নামাজ আদায় করা হয়ে যাবে।’

তারপর খুকির কান্না থামল। নামাজ শেষ হলো। খুকি আমপারা বইটি নিয়ে সাজু মুন্সির বাড়িতে গেল মক্তবে পড়ার জন্য। মক্তবে পড়ে এসে খুকি আম্মুর শেখানো বুলি আম্মুকে বলল, সকালের সর্বপ্রথম ভাবনা হবে ফজরে ঘুম থেকে ওঠা, ফজরের নামাজ আদায় করা। তাহলেই সব কাজে শান্তি পাওয়া যাবে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত