তুর্জয় শাকিল
নিধির বয়স আট বছর। সে মাইলস্টোন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। হাসিখুশি মেয়ে নিধি তার মা-বাবার একমাত্র সন্তান। সেদিন ছিল ২০ জুলাই। স্কুল ছুটির পর মায়ের সঙ্গে বাসার উদ্দেশে রওনা দিল নিধি। যাওয়ার সময় ও মনে মনে ভাবল, বাসায় গিয়ে উপরতলার সামিয়ার সঙ্গে পুতুল খেলবে। কিন্তু বাসায় ফিরে খাওয়া-দাওয়ার পর ওর মা বললেন, আজ তোমার নতুন ম্যাডাম আসবেন। তিনি তোমাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পড়াবেন। তারপর তো তোমার আগের যে ম্যাডাম আসবেনই।
নিধি মন খারাপ করে বলল, মা, আমি আজকে সামিয়ার সঙ্গে পুতুল খেলব।
ওর মা রেগে বললেন, পড়াশোনায় এত ফাঁকিবাজি করবে না। আগে পড়াশোনা তারপর খেলা।
নিধি আর কিছু না বলে পড়তে বসে। পড়ার সময় ও জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখে মাঠে বাচ্চারা
খেলছে। ওর নিজেকে খাঁচায় বন্দি পাখির মতো মনে হলো। রাতে একের পর এক হোমওয়ার্ক করে শেষে ক্লান্ত নিধি শুয়ে পড়ল।
পরদিন খুব ভোরে ওর মা ওকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে দিলেন। নিধি বলল, মা, আজকে স্কুলে যাব না। শরীর ভালো লাগছে না।
ওর মা ওকে একটা থাপ্পড় দিয়ে বললেন, মিথ্যা কথা বলো কেন? ভালোই তো মিথ্যা বলা শিখছো?
নিধি তখন কেঁদে কেঁদে বলল, একদিন আমি অনেক দূরে চলে যাব। তখন আর আমাকে মারতে পারবে না। সেখানে হোমওয়ার্ক থাকবে না, স্কুল থাকবে না, ম্যাম থাকবে না। তখন আমাকে আর খুঁজে পাবে না।
ওর মা রেগে বললেন, অনেক পাকা কথা শিখছো। তাড়াতাড়ি হোমওয়ার্ক শেষ করে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হও।
স্কুলের সময় হলে ওর মা ওকে স্কুলে পৌঁছে দিলেন। একটায় যখন স্কুল ছুটি হলো, তখন নিধি ওর বান্ধবীর সঙ্গে স্কুলের মাঠে দোলনায় বসল। মা এলে ওকে নিয়ে যাবেন তাই নিধি মায়ের জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। তখনই আকাশে একটা ফাইটার বিমান দেখা গেল। নিধি বিমানের দিকে তাকিয়ে বান্ধবীকে বলল, আমি বড় হয়ে পাইলট হব। তখন তোকেও বিমানে ওঠাব...
নিধির কথা শেষ হওয়ার আগেই বিমানটা আকাশ থেকে ওদের দিকে আসতে লাগল। নিধি কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিমানটা স্কুলের মাঠে এসে পড়ল। বুমমম শব্দ করে চারদিকে আগুন লেগে গেল। স্কুলের বাচ্চারা ছোটাছুটি করতে লাগল। নিধি শেষবারের মতো একবার চোখ খুলে
দেখল ওর সামনে আগুনের কুণ্ডলী। মুহূর্তের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে গেল নিধির ছোট্ট শরীরটা।
বিমানের নিচে পড়ায় ওর লাশের কোনো অস্তিত্ব থাকল না। এদিকে ওর মাও তখন স্কুলে ঢুকলেন। চারদিকে আগুন দেখে নিধির মা পাগলের মতো তার মেয়েকে খুঁজতে লাগলেন। কিন্তু কোথায়ও খুঁজে পেলেন না। পুরো স্কুল তন্নতন্ন করে খোঁজার পর মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে তিনি বিভিন্ন হাসপাতালেও খুঁজলেন। কিন্তু কোথাও নিধিকে পাওয়া গেল না। নিধি আর ফিরে এলো না। দুদিন পরের কথা। রাত ১২টা। নিধির পড়ার টেবিলের পাশে বসে ওর মা কাঁদছেন । তখনই কে যেন দরজায় কলিংবেল চাপল। নিধির মা দরজা খুলে দেখলেন নিধি স্কুলের ব্যাগ কাঁধে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। মা তো ওকে দেখে অবাক। তিনি নিধিকে কোলে তুলে চুমু দিয়ে বললেন, নিধি, সোনামণি আমার। কোথায় ছিলে তুমি? তোমাদের স্কুলে তো আগুন লেগেছিল। তুমি কোথায় ছিলে?
নিধি সেই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলল, ক্ষুধা লেগেছে আম্মু, খাবার দাও।
নিধির মা নিধিকে নিজ হাতে খাইয়ে দিলেন। তারপর ওকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে ওর পাশে বসে বললেন, আর কখনো পড়াশোনার জন্য তোমাকে বকা দেব না। বিকালে তোমার কোনো ম্যাম থাকবেন না। বিকালে সামিয়ার সঙ্গে পুতুল খেলবে। আর কাল তো স্কুল বন্ধ। আমি তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাব ।
নিধি হাসিমুখে বলল, আম্মু, আগে তো কখনো ঘুরতে নিতে চাওনি, কখনো খেলার সময় দাওনি। শুধু পড়ালেখার জন্য বকা দিতে, মারতে।
: আগে তো বুঝিনি মা, তোমাকে হারিয়ে ফেলার পর বুঝেছি তোমার সঙ্গে যা করেছি ঠিক করিনি। তুমি তো ওইদিন স্কুলে যেতে চাওনি, তবু আমি জোর করে তোমাকে স্কুলে পাঠিয়েছি। তাই নিজেকে ধিক্কার দিয়েছি বারবার। সোনামণি, তুমি শুধু আমার কাছে থেকো, আমার বুক খালি করে কখনো যেও না।
নিধির চোখে তখন পানি চলে এলো। ওর সুন্দর চেহারাটা মুহূর্তের মধ্যেই পাল্টে গেল। আগুনে
পোড়া বীভৎস কালো মুখ। পুরো শরীরে চামড়া নেই। চুলগুলোও পুড়ে গেছে। ওর মা নিধির
এমন বীভৎস রূপ দেখে চিৎকার দিয়ে উঠলেন। নিধি বলল, মা, আমি আর কখনো তোমার বুকে ফিরতে পারব না। এই পৃথিবী থেকে আমার ছুটি হয়ে গেছে। আমাকে এমনিতেই আর কখনো হোমওয়ার্ক করতে হবে না, স্কুলে যেতে হবে না। ওইদিন বলেছিলাম না একদিন অনেক দূরে চলে যাব। আমি ঠিকই দূরে চলে গেছি আম্মু। ওই যে দূর আকাশ, ওখানে আমাকে চলে যেতে হবে। আমার অনেক বন্ধুও সেখানে আছে। ওদের সঙ্গেই এখন থেকে থাকব। তবে কী জানো মা, আমার শরীর যখন পুড়ছিল, তখন আমি একবার তোমাকে দেখতে চাইছিলাম। আম্মু আম্মু বলে ডেকেছি। দেখা পাইনি। তাই আমার শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য তোমার কাছে একবার আসার সুযোগ পেয়েছি।
নিধির মা নিধির হাত শক্ত করে ধরে কেঁদে বললেন, না, আমি তোমাকে কোথাও যেতে দেব না। আমাকে ছেড়ে যেও না সোনামণি।
নিধি একগাল হেসে বলল, আমার ছুটি হয়ে গেছে আম্মু। আমাকে যে যেতেই হবে। ছুটির পর কেউ কী আর স্কুলে বসে থাকে বলো তো!
কথা শেষ করতেই নিধির শরীর ধোঁয়ায় পরিণত হলো। তারপর সেই ধোঁয়া আকাশের দিকে উড়ে গেল।
নিধির মা শূন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে কেঁদে কেঁদে বললেন, ভালো থেকো সোনামণি। তোমার জ্বলন্ত শরীর যেন আল্লাহতাআলা জান্নাতের ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে-মুছে দেন, এই দোয়া করি।
মা-বাবাদের উদ্দেশে কিছু কথা
আপনার সন্তানকে শুধু পড়াশোনার জন্য প্রেশার দেবেন না। ওদের ভালোবাসা দিন। খেলার সময় দিন। মাঝে মাঝে দূরে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যান। শুধু পড়াশোনাই জীবনে সব নয়। পড়াশোনার ফাঁকে বাইরের পৃথিবী সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে দিন। সবশেষে মাইলস্টোন স্কুলের যত শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষিকা মারা গেছেন, তাদের সবার জন্য দোয়া থাকল, তারা যেন পরপারে শান্তিতে থাকেন।
নিধির বয়স আট বছর। সে মাইলস্টোন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। হাসিখুশি মেয়ে নিধি তার মা-বাবার একমাত্র সন্তান। সেদিন ছিল ২০ জুলাই। স্কুল ছুটির পর মায়ের সঙ্গে বাসার উদ্দেশে রওনা দিল নিধি। যাওয়ার সময় ও মনে মনে ভাবল, বাসায় গিয়ে উপরতলার সামিয়ার সঙ্গে পুতুল খেলবে। কিন্তু বাসায় ফিরে খাওয়া-দাওয়ার পর ওর মা বললেন, আজ তোমার নতুন ম্যাডাম আসবেন। তিনি তোমাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পড়াবেন। তারপর তো তোমার আগের যে ম্যাডাম আসবেনই।
নিধি মন খারাপ করে বলল, মা, আমি আজকে সামিয়ার সঙ্গে পুতুল খেলব।
ওর মা রেগে বললেন, পড়াশোনায় এত ফাঁকিবাজি করবে না। আগে পড়াশোনা তারপর খেলা।
নিধি আর কিছু না বলে পড়তে বসে। পড়ার সময় ও জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখে মাঠে বাচ্চারা
খেলছে। ওর নিজেকে খাঁচায় বন্দি পাখির মতো মনে হলো। রাতে একের পর এক হোমওয়ার্ক করে শেষে ক্লান্ত নিধি শুয়ে পড়ল।
পরদিন খুব ভোরে ওর মা ওকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে দিলেন। নিধি বলল, মা, আজকে স্কুলে যাব না। শরীর ভালো লাগছে না।
ওর মা ওকে একটা থাপ্পড় দিয়ে বললেন, মিথ্যা কথা বলো কেন? ভালোই তো মিথ্যা বলা শিখছো?
নিধি তখন কেঁদে কেঁদে বলল, একদিন আমি অনেক দূরে চলে যাব। তখন আর আমাকে মারতে পারবে না। সেখানে হোমওয়ার্ক থাকবে না, স্কুল থাকবে না, ম্যাম থাকবে না। তখন আমাকে আর খুঁজে পাবে না।
ওর মা রেগে বললেন, অনেক পাকা কথা শিখছো। তাড়াতাড়ি হোমওয়ার্ক শেষ করে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হও।
স্কুলের সময় হলে ওর মা ওকে স্কুলে পৌঁছে দিলেন। একটায় যখন স্কুল ছুটি হলো, তখন নিধি ওর বান্ধবীর সঙ্গে স্কুলের মাঠে দোলনায় বসল। মা এলে ওকে নিয়ে যাবেন তাই নিধি মায়ের জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। তখনই আকাশে একটা ফাইটার বিমান দেখা গেল। নিধি বিমানের দিকে তাকিয়ে বান্ধবীকে বলল, আমি বড় হয়ে পাইলট হব। তখন তোকেও বিমানে ওঠাব...
নিধির কথা শেষ হওয়ার আগেই বিমানটা আকাশ থেকে ওদের দিকে আসতে লাগল। নিধি কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিমানটা স্কুলের মাঠে এসে পড়ল। বুমমম শব্দ করে চারদিকে আগুন লেগে গেল। স্কুলের বাচ্চারা ছোটাছুটি করতে লাগল। নিধি শেষবারের মতো একবার চোখ খুলে
দেখল ওর সামনে আগুনের কুণ্ডলী। মুহূর্তের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে গেল নিধির ছোট্ট শরীরটা।
বিমানের নিচে পড়ায় ওর লাশের কোনো অস্তিত্ব থাকল না। এদিকে ওর মাও তখন স্কুলে ঢুকলেন। চারদিকে আগুন দেখে নিধির মা পাগলের মতো তার মেয়েকে খুঁজতে লাগলেন। কিন্তু কোথায়ও খুঁজে পেলেন না। পুরো স্কুল তন্নতন্ন করে খোঁজার পর মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে তিনি বিভিন্ন হাসপাতালেও খুঁজলেন। কিন্তু কোথাও নিধিকে পাওয়া গেল না। নিধি আর ফিরে এলো না। দুদিন পরের কথা। রাত ১২টা। নিধির পড়ার টেবিলের পাশে বসে ওর মা কাঁদছেন । তখনই কে যেন দরজায় কলিংবেল চাপল। নিধির মা দরজা খুলে দেখলেন নিধি স্কুলের ব্যাগ কাঁধে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। মা তো ওকে দেখে অবাক। তিনি নিধিকে কোলে তুলে চুমু দিয়ে বললেন, নিধি, সোনামণি আমার। কোথায় ছিলে তুমি? তোমাদের স্কুলে তো আগুন লেগেছিল। তুমি কোথায় ছিলে?
নিধি সেই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলল, ক্ষুধা লেগেছে আম্মু, খাবার দাও।
নিধির মা নিধিকে নিজ হাতে খাইয়ে দিলেন। তারপর ওকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে ওর পাশে বসে বললেন, আর কখনো পড়াশোনার জন্য তোমাকে বকা দেব না। বিকালে তোমার কোনো ম্যাম থাকবেন না। বিকালে সামিয়ার সঙ্গে পুতুল খেলবে। আর কাল তো স্কুল বন্ধ। আমি তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাব ।
নিধি হাসিমুখে বলল, আম্মু, আগে তো কখনো ঘুরতে নিতে চাওনি, কখনো খেলার সময় দাওনি। শুধু পড়ালেখার জন্য বকা দিতে, মারতে।
: আগে তো বুঝিনি মা, তোমাকে হারিয়ে ফেলার পর বুঝেছি তোমার সঙ্গে যা করেছি ঠিক করিনি। তুমি তো ওইদিন স্কুলে যেতে চাওনি, তবু আমি জোর করে তোমাকে স্কুলে পাঠিয়েছি। তাই নিজেকে ধিক্কার দিয়েছি বারবার। সোনামণি, তুমি শুধু আমার কাছে থেকো, আমার বুক খালি করে কখনো যেও না।
নিধির চোখে তখন পানি চলে এলো। ওর সুন্দর চেহারাটা মুহূর্তের মধ্যেই পাল্টে গেল। আগুনে
পোড়া বীভৎস কালো মুখ। পুরো শরীরে চামড়া নেই। চুলগুলোও পুড়ে গেছে। ওর মা নিধির
এমন বীভৎস রূপ দেখে চিৎকার দিয়ে উঠলেন। নিধি বলল, মা, আমি আর কখনো তোমার বুকে ফিরতে পারব না। এই পৃথিবী থেকে আমার ছুটি হয়ে গেছে। আমাকে এমনিতেই আর কখনো হোমওয়ার্ক করতে হবে না, স্কুলে যেতে হবে না। ওইদিন বলেছিলাম না একদিন অনেক দূরে চলে যাব। আমি ঠিকই দূরে চলে গেছি আম্মু। ওই যে দূর আকাশ, ওখানে আমাকে চলে যেতে হবে। আমার অনেক বন্ধুও সেখানে আছে। ওদের সঙ্গেই এখন থেকে থাকব। তবে কী জানো মা, আমার শরীর যখন পুড়ছিল, তখন আমি একবার তোমাকে দেখতে চাইছিলাম। আম্মু আম্মু বলে ডেকেছি। দেখা পাইনি। তাই আমার শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য তোমার কাছে একবার আসার সুযোগ পেয়েছি।
নিধির মা নিধির হাত শক্ত করে ধরে কেঁদে বললেন, না, আমি তোমাকে কোথাও যেতে দেব না। আমাকে ছেড়ে যেও না সোনামণি।
নিধি একগাল হেসে বলল, আমার ছুটি হয়ে গেছে আম্মু। আমাকে যে যেতেই হবে। ছুটির পর কেউ কী আর স্কুলে বসে থাকে বলো তো!
কথা শেষ করতেই নিধির শরীর ধোঁয়ায় পরিণত হলো। তারপর সেই ধোঁয়া আকাশের দিকে উড়ে গেল।
নিধির মা শূন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে কেঁদে কেঁদে বললেন, ভালো থেকো সোনামণি। তোমার জ্বলন্ত শরীর যেন আল্লাহতাআলা জান্নাতের ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে-মুছে দেন, এই দোয়া করি।
মা-বাবাদের উদ্দেশে কিছু কথা
আপনার সন্তানকে শুধু পড়াশোনার জন্য প্রেশার দেবেন না। ওদের ভালোবাসা দিন। খেলার সময় দিন। মাঝে মাঝে দূরে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যান। শুধু পড়াশোনাই জীবনে সব নয়। পড়াশোনার ফাঁকে বাইরের পৃথিবী সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে দিন। সবশেষে মাইলস্টোন স্কুলের যত শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষিকা মারা গেছেন, তাদের সবার জন্য দোয়া থাকল, তারা যেন পরপারে শান্তিতে থাকেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে