ডা. সিয়াম আল ইসলাম
জন্মগত হৃদরোগ চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজ নামে পরিচিত। তবে সাধারণ মানুষ একে চিনে থাকে ‘হার্টের ছিদ্র’ নামে। বিশ্বব্যাপী প্রতি এক হাজার জীবিত শিশুর মধ্যে প্রায় ৮ থেকে ১২ জন জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত। জন্মগত হৃদরোগের সঠিক কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে পরিবারে কারো জন্মগত হৃদরোগ থাকলে শিশুর এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস, রুবেলা ভাইরাস সংক্রমণ, কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ সেবন, কিংবা গর্ভাবস্থায় মায়ের ধূমপান বা মাদক সেবন শিশুর হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
মাতৃগর্ভে হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক গঠন ব্যাহত হলে শিশু জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। একজন সুস্থ মানুষের হৃৎপিণ্ডে চারটি প্রকোষ্ঠ বা চেম্বার থাকে। এগুলো হলো ডান অলিন্দ (রাইট এট্রিয়াম), ডান নিলয় (রাইট ভেন্ট্রিকল), বাম অলিন্দ (লেফট এট্রিয়াম) এবং বাম নিলয় (লেফট ভেন্ট্রিকল)। রক্তপ্রবাহের সময় দূষিত রক্ত হৃৎপিণ্ডের ডান পাশ থেকে ফুসফুসে যায়। এরপর পরিশুদ্ধ হয়ে বাঁ পাশ থেকে সারা শরীরে প্রবাহিত হয়। জন্মগত হৃদরোগে এই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
মোটা দাগে জন্মগত হৃদরোগগুলোকে দুভাগে ভাগ করা যেতে পারে—সায়ানোটিক ও এসায়ানোটিক। গ্রিক ভাষার ‘cyan’ শব্দটির অর্থ হলো নীল। শরীরের কার্বনডাইঅক্সাইড-যুক্ত দূষিত রক্তের রং নীলচে বর্ণের হয়। ফুসফুসের মাধ্যমে তা বিশুদ্ধ হয়ে উজ্জ্বল লাল বর্ণ ধারণ করে। সায়ানোটিক হার্ট ডিজিজে কার্বন ডাই-অক্সাইডযুক্ত দূষিত রক্ত হৃৎপিণ্ড বা রক্তনালির ছিদ্রের মাধ্যমে বিশুদ্ধ রক্তের সঙ্গে মিশে পুরো শরীরে ছড়িয়ে যায়। এতে আক্রান্ত রোগীর শরীর নীলচে বা কালচে বর্ণ ধারণ করে (সায়ানোসিস), যা ঠোঁট, নাকের ডগা, জিবের ডগা, চোখের সাদা অংশ, নখ ও হাত-পায়ের তালুতে বেশি বোঝা যায়। সায়ানটিক হার্ট ডিজিজের মধ্যে যে রোগটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তা হলো টেট্রালজি অব ফ্যালট (TOF) । এছাড়া রয়েছে টোটাল অ্যানোমেলাস পালমোনারি ভেনাস কানেকশন (TAPVC), ট্রান্সপজিশন অব গ্রেট আর্টারিজ (TGA), ট্রাঙ্কাস আর্টারিওসাস, ট্রাইকাসপিড এট্রেসিয়া প্রভৃতি। এসব রোগে আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত বুকের দুধ টেনে খাওয়ার সময় কিংবা কান্নার সময় সায়ানোসিস আরও বেড়ে যায়।
এসায়ানোটিক হার্ট ডিজিজে রোগীর শরীরের রং স্বাভাবিক থাকে। এতে বিশুদ্ধ রক্ত দূষিত রক্তের সঙ্গে মিশে ফুসফুসে ফিরে যায়, তাই ত্বকের রং স্বাভাবিক থাকে। এসায়ানোটিক হার্ট ডিজিজের মধ্যে এট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট (ASD), ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট (VSD) ও প্যাটেন্ট ডাক্টাস আর্টারিওসাস (PDA)—এই তিনটি রোগ সর্বাধিক দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে VSD ও PDA-এর লক্ষণ জন্মের কিছুদিনের মধ্যেই দ্রুত প্রকাশ পায়। কিন্তু ASD-এর লক্ষণ সাধারণত একটু বেশি বয়সে দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে তা ৩০-৪০ বছর বয়সেও দেখা যায়। সঠিক সময়ের মধ্যে চিকিৎসা গ্রহণ করলে এই তিনটি রোগই সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়। তবে চিকিৎসা না করালে হৃৎপিণ্ডের বাঁ পাশ থেকে ডান পাশে ক্রমাগতভাবে রক্ত প্রবেশের ফলে ফুসফুসের রক্তচাপ বাড়তে থাকে। ফুসফুসের রক্তচাপ বাড়তে বাড়তে একসময় তা শরীরের রক্তচাপের চেয়েও বেশি হয়ে যায়। একই সঙ্গে ডান অলিন্দ/ নিলয়ের রক্তচাপ বাম অলিন্দ/ নিলয়কে ছাড়িয়ে যায়। তখন হৃৎপিণ্ডের ডান পাশের দূষিত রক্ত ছিদ্রের মাধ্যমে বাঁ পাশের বিশুদ্ধ রক্তের সঙ্গে মিশতে থাকে। এভাবে এসায়ানোটিক রোগগুলো একসময় সায়ানোটিকে পরিণত হয়। তখন অপারেশন করেও কোনো লাভ হয় না।
এ রোগের লক্ষণ
কিছু শিশুর জন্মের পরপরই রোগের লক্ষণ দেখা যায়, আবার কিছু শিশুর ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো পরবর্তী জীবনে প্রকাশ পায়। এ লক্ষণগুলো দেখা দিলে শিশুকে জন্মগত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেখানো উচিত—১. হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশি (বুক ধড়ফড় করা) বা কম; ২. ঘনঘন শ্বাস-প্রশ্বাস; ৩. ছোটবেলা থেকেই ঘনঘন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ (কাশি/সর্দি লেগে থাকা); ৪. বয়সের তুলনায় ওজন না বাড়া; ৫. অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হওয়া/খেলাধুলায় অনীহা; ৬. বুকের দুধ টেনে খেতে কষ্ট হওয়া, দুধ টেনে খাওয়ার সময় কপাল/মাথা ঘেমে যাওয়া; ৭. জিব, ঠোঁট ও আঙুলের ডগা নীল বর্ণ ধারণ করা; ৮. কাঁদতে কাঁদতে নিস্তেজ বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া প্রভৃতি।
এখন আমাদের দেশে জন্মগত হৃদরোগের আন্তর্জাতিক মানের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। জন্মগত হৃদরোগ শনাক্ত করার জন্য অল্প কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাই যথেষ্ট—মাত্র তিনটি পরীক্ষা, যেমন বুকের এক্সরে, ইসিজি ও ইকোকার্ডিওগ্রাফি। ৯৮ শতাংশ জন্মগত হৃদরোগ শনাক্ত করা সম্ভব। তবে ইকোকার্ডিওগ্রাফি অভিজ্ঞ জন্মগত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারাই করানো উচিত।
এ রোগের চিকিৎসা
কিছু কিছু জন্মগত হৃদরোগ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়, যেমন ছোট ASD, VSD ও PDA। এক্ষেত্রে সাধারণত ছয় মাস অন্তর ইকোকার্ডিওগ্রাফি করে ছিদ্রের সাইজ দেখা হয়। তবে অধিকাংশ জন্মগত হৃদরোগের ক্ষেত্রে অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন ছাড়াও রক্তনালির ভেতর দিয়ে নল প্রবেশ করিয়ে বোতামের (সেপ্টাল অক্লুডার) মাধ্যমে ছিদ্র বন্ধ করা যায়। সব চিকিৎসাই বর্তমানে বাংলাদেশে সম্ভব। সরকারি ও বেসরকারি বেশকিছু হাসপাতালে নিয়মিত এসব চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে।
জন্মগত হৃদরোগ চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজ নামে পরিচিত। তবে সাধারণ মানুষ একে চিনে থাকে ‘হার্টের ছিদ্র’ নামে। বিশ্বব্যাপী প্রতি এক হাজার জীবিত শিশুর মধ্যে প্রায় ৮ থেকে ১২ জন জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত। জন্মগত হৃদরোগের সঠিক কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে পরিবারে কারো জন্মগত হৃদরোগ থাকলে শিশুর এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস, রুবেলা ভাইরাস সংক্রমণ, কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ সেবন, কিংবা গর্ভাবস্থায় মায়ের ধূমপান বা মাদক সেবন শিশুর হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
মাতৃগর্ভে হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক গঠন ব্যাহত হলে শিশু জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। একজন সুস্থ মানুষের হৃৎপিণ্ডে চারটি প্রকোষ্ঠ বা চেম্বার থাকে। এগুলো হলো ডান অলিন্দ (রাইট এট্রিয়াম), ডান নিলয় (রাইট ভেন্ট্রিকল), বাম অলিন্দ (লেফট এট্রিয়াম) এবং বাম নিলয় (লেফট ভেন্ট্রিকল)। রক্তপ্রবাহের সময় দূষিত রক্ত হৃৎপিণ্ডের ডান পাশ থেকে ফুসফুসে যায়। এরপর পরিশুদ্ধ হয়ে বাঁ পাশ থেকে সারা শরীরে প্রবাহিত হয়। জন্মগত হৃদরোগে এই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
মোটা দাগে জন্মগত হৃদরোগগুলোকে দুভাগে ভাগ করা যেতে পারে—সায়ানোটিক ও এসায়ানোটিক। গ্রিক ভাষার ‘cyan’ শব্দটির অর্থ হলো নীল। শরীরের কার্বনডাইঅক্সাইড-যুক্ত দূষিত রক্তের রং নীলচে বর্ণের হয়। ফুসফুসের মাধ্যমে তা বিশুদ্ধ হয়ে উজ্জ্বল লাল বর্ণ ধারণ করে। সায়ানোটিক হার্ট ডিজিজে কার্বন ডাই-অক্সাইডযুক্ত দূষিত রক্ত হৃৎপিণ্ড বা রক্তনালির ছিদ্রের মাধ্যমে বিশুদ্ধ রক্তের সঙ্গে মিশে পুরো শরীরে ছড়িয়ে যায়। এতে আক্রান্ত রোগীর শরীর নীলচে বা কালচে বর্ণ ধারণ করে (সায়ানোসিস), যা ঠোঁট, নাকের ডগা, জিবের ডগা, চোখের সাদা অংশ, নখ ও হাত-পায়ের তালুতে বেশি বোঝা যায়। সায়ানটিক হার্ট ডিজিজের মধ্যে যে রোগটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তা হলো টেট্রালজি অব ফ্যালট (TOF) । এছাড়া রয়েছে টোটাল অ্যানোমেলাস পালমোনারি ভেনাস কানেকশন (TAPVC), ট্রান্সপজিশন অব গ্রেট আর্টারিজ (TGA), ট্রাঙ্কাস আর্টারিওসাস, ট্রাইকাসপিড এট্রেসিয়া প্রভৃতি। এসব রোগে আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত বুকের দুধ টেনে খাওয়ার সময় কিংবা কান্নার সময় সায়ানোসিস আরও বেড়ে যায়।
এসায়ানোটিক হার্ট ডিজিজে রোগীর শরীরের রং স্বাভাবিক থাকে। এতে বিশুদ্ধ রক্ত দূষিত রক্তের সঙ্গে মিশে ফুসফুসে ফিরে যায়, তাই ত্বকের রং স্বাভাবিক থাকে। এসায়ানোটিক হার্ট ডিজিজের মধ্যে এট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট (ASD), ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট (VSD) ও প্যাটেন্ট ডাক্টাস আর্টারিওসাস (PDA)—এই তিনটি রোগ সর্বাধিক দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে VSD ও PDA-এর লক্ষণ জন্মের কিছুদিনের মধ্যেই দ্রুত প্রকাশ পায়। কিন্তু ASD-এর লক্ষণ সাধারণত একটু বেশি বয়সে দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে তা ৩০-৪০ বছর বয়সেও দেখা যায়। সঠিক সময়ের মধ্যে চিকিৎসা গ্রহণ করলে এই তিনটি রোগই সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়। তবে চিকিৎসা না করালে হৃৎপিণ্ডের বাঁ পাশ থেকে ডান পাশে ক্রমাগতভাবে রক্ত প্রবেশের ফলে ফুসফুসের রক্তচাপ বাড়তে থাকে। ফুসফুসের রক্তচাপ বাড়তে বাড়তে একসময় তা শরীরের রক্তচাপের চেয়েও বেশি হয়ে যায়। একই সঙ্গে ডান অলিন্দ/ নিলয়ের রক্তচাপ বাম অলিন্দ/ নিলয়কে ছাড়িয়ে যায়। তখন হৃৎপিণ্ডের ডান পাশের দূষিত রক্ত ছিদ্রের মাধ্যমে বাঁ পাশের বিশুদ্ধ রক্তের সঙ্গে মিশতে থাকে। এভাবে এসায়ানোটিক রোগগুলো একসময় সায়ানোটিকে পরিণত হয়। তখন অপারেশন করেও কোনো লাভ হয় না।
এ রোগের লক্ষণ
কিছু শিশুর জন্মের পরপরই রোগের লক্ষণ দেখা যায়, আবার কিছু শিশুর ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো পরবর্তী জীবনে প্রকাশ পায়। এ লক্ষণগুলো দেখা দিলে শিশুকে জন্মগত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেখানো উচিত—১. হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশি (বুক ধড়ফড় করা) বা কম; ২. ঘনঘন শ্বাস-প্রশ্বাস; ৩. ছোটবেলা থেকেই ঘনঘন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ (কাশি/সর্দি লেগে থাকা); ৪. বয়সের তুলনায় ওজন না বাড়া; ৫. অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হওয়া/খেলাধুলায় অনীহা; ৬. বুকের দুধ টেনে খেতে কষ্ট হওয়া, দুধ টেনে খাওয়ার সময় কপাল/মাথা ঘেমে যাওয়া; ৭. জিব, ঠোঁট ও আঙুলের ডগা নীল বর্ণ ধারণ করা; ৮. কাঁদতে কাঁদতে নিস্তেজ বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া প্রভৃতি।
এখন আমাদের দেশে জন্মগত হৃদরোগের আন্তর্জাতিক মানের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। জন্মগত হৃদরোগ শনাক্ত করার জন্য অল্প কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাই যথেষ্ট—মাত্র তিনটি পরীক্ষা, যেমন বুকের এক্সরে, ইসিজি ও ইকোকার্ডিওগ্রাফি। ৯৮ শতাংশ জন্মগত হৃদরোগ শনাক্ত করা সম্ভব। তবে ইকোকার্ডিওগ্রাফি অভিজ্ঞ জন্মগত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারাই করানো উচিত।
এ রোগের চিকিৎসা
কিছু কিছু জন্মগত হৃদরোগ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়, যেমন ছোট ASD, VSD ও PDA। এক্ষেত্রে সাধারণত ছয় মাস অন্তর ইকোকার্ডিওগ্রাফি করে ছিদ্রের সাইজ দেখা হয়। তবে অধিকাংশ জন্মগত হৃদরোগের ক্ষেত্রে অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন ছাড়াও রক্তনালির ভেতর দিয়ে নল প্রবেশ করিয়ে বোতামের (সেপ্টাল অক্লুডার) মাধ্যমে ছিদ্র বন্ধ করা যায়। সব চিকিৎসাই বর্তমানে বাংলাদেশে সম্ভব। সরকারি ও বেসরকারি বেশকিছু হাসপাতালে নিয়মিত এসব চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে