ডা. সিয়াম আল ইসলাম
আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অনিশ্চয়তায় ভরা। হঠাৎ করে ঘটে যেতে পারে হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মতো জটিল ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক সঠিক ব্যবস্থা না নিলে একটি জীবন চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে। এ রকম পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ‘কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন’ (সিপিআর) জানা থাকা অপরিহার্য। শুধু চিকিৎসক নয়, সাধারণ মানুষের জন্যও এ জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো-
সম্প্রতি বাংলাদেশি ক্রিকেটার তামিম ইকবালের জীবন রক্ষার ঘটনা আমাদের এ বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করিয়ে দেয়। একটি ম্যাচ চলাকালে হঠাৎ তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়, যা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হিসেবে পরিচিত। তামিম ইকবাল ভাগ্যবান। কারণ, খেলা চলাকালে চিকিৎসক এবং প্যারামেডিক সঙ্গে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে সিপিআর প্রয়োগ করার মাধ্যমে তার হার্ট আবার চালু করা সম্ভব হয়। এ ঘটনাটি দৃষ্টান্তস্বরূপ প্রমাণ করে, সঠিক সময়ে সিপিআর দেওয়ার দক্ষতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মতো গুরুতর ঘটনার সময় পাশে সিপিআর দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। তাই প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সিপিআর শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সিপিআরের ভূমিকা
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো এমন একটি পরিস্থিতি, যখন হৃদযন্ত্র হঠাৎ করে রক্ত সঞ্চালন করা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে মস্তিষ্কসহ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোয় রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর প্রতি মিনিটে শতকরা ১০ করে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমে যায়। রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হলে সর্বপ্রথম ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক। মাত্র চার মিনিট রক্ত সঞ্চালন বন্ধ থাকলে মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়। কিন্তু দ্রুত সিপিআর প্রয়োগ করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন চালু রাখা যায়, কিছুক্ষণের মধ্যে হৃৎপিণ্ড কার্যক্ষমতা ফিরে পায়। অর্থাৎ আক্রান্ত ব্যক্তিটি প্রাণ ফিরে পায়। মনে রাখতে হবে, হার্ট অ্যাটাকই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের একমাত্র কারণ নয়। অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স (বিশেষ করে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা অস্বাভাবিক হওয়া)। শ্বাসরোধ, মারাত্মক রক্তক্ষরণ, অতিরিক্ত বমি বা পাতলা পায়খানা, ড্রাগ ওভারডোজ, বিষক্রিয়া, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, মারাত্মক অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে সিপিআর একটি তাৎক্ষণিক জীবন রক্ষাকারী পদ্ধতি।
সাধারণ মানুষের সিপিআর জানা কেন জরুরি
কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ভাষায় রাস্তাঘাটে, হাটবাজারে যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে। এ রকম পরিস্থিতিতে হাতের কাছে চিকিৎসাসেবা পাওয়া মুশকিল। এ সময় প্রাথমিক কয়েক মিনিটই জীবন-মৃত্যুর ফারাক গড়ে দেয়। তাই একজন সাধারণ মানুষ যদি সিপিআরের মৌলিক নিয়মগুলো জানেন, তবে তিনি অসহায় রোগীদের জীবন বাঁচাতে পারেন।
সিপিআর কীভাবে দেবেন
সিপিআরের বেসিক নিয়ম শিখতে মাত্র ৩০ মিনিট সময় লাগে। জটিল মেডিকেল যন্ত্রপাতি বা জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। শুধু দুই হাত এবং সাহস থাকলেই শুরু করা যায়। নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
সচেতনতা পরীক্ষা : কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সময় রোগী নিস্তেজ হয়ে পড়ে। রোগীকে জোরে ডাকুন বা কাঁধে টোকা দিন। শ্বাস নিচ্ছে কি না, ক্যারোটিড পালস আছে কি না পরীক্ষা করুন। আমাদের গলায় কণ্ঠহাড় বা অ্যাডামস অ্যাপলের পাশ বরাবর বুড়ো আঙুল দিয়ে চাপ দিলে ক্যারোটিড পালস অনুভব করা যায়। যদি রোগী সাড়া না দেয় এবং ক্যারোটিড পালস না থাকে, তাহলে সিপিআর শুরু করতে হবে।
অ্যাম্বুলেন্স কল করুন : কাউকে ৯৯৯ বা স্থানীয় ইমারজেন্সি নম্বরে কল করতে বলুন। আশপাশের মানুষকে সাহায্যের জন্য ডাকুন, কারণ এটি একটি পরিশ্রমসাধ্য কাজ। একা একা দীর্ঘক্ষণ সিপিআর দেওয়া সম্ভব নয়।
বুকের কম্প্রেশন (চাপ) শুরু করুন : রোগীকে শক্ত সমতল জায়গায় শুইয়ে দিন। হাতের তালু একটির ওপর আরেকটি রেখে বুকের মাঝখানে (নিপল লাইনের বরাবর) রাখুন। কনুই সোজা রেখে প্রতি মিনিটে ১০০-১২০ বার জোরে চাপ দিন। বুক দুই ইঞ্চি (৫ সেন্টিমিটার) নিচে নামার মতো চাপ দিন। ৩০ বার কম্প্রেশনের পর রোগীর নাক চেপে ধরে মুখে মুখ লাগিয়ে দুবার শ্বাস দিন। অ্যাম্বুলেন্স বা মেডিকেল সাহায্য না আসা পর্যন্ত কম্প্রেশন চালিয়ে যান। একদম ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে বুকের মাছ বরাবর দুই আঙুল দিয়ে চাপ দিন। যদি মুখে মুখে শ্বাস দিতে না পারেন বা সংকোচবোধ করেন সে ক্ষেত্রে হ্যান্ডস-অনলি CPR (শুধু বুকের কম্প্রেশন) চালিয়ে যান। এ পদ্ধতিও একই ধরনের কার্যকর। বুকে যথেষ্ট জোরে চাপ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বুকের পাঁজরের হাড় ভাঙতে পারে। বলা হয়ে থাকে, যদি বুকের দু-একটি হাড় না ভাঙে, তাহলে সেটা কার্যকর সিপিআর হয়নি। মনে রাখবেন, অক্ষত হাড় নিয়ে মারা যাওয়ার চেয়ে ভাঙা হাড় নিয়ে বেঁচে থাকা অনেক ভালো। সামাজিক সংকোচ, আইনগত জটিলতা ও নানা কারণে বাংলাদেশের মানুষ সিপিআর দিতে ভয় পায়। কিন্তু এ পদ্ধতির মাধ্যমে অনেক মানুষকে নতুন জীবনদান করা সম্ভব। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বারডেমসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে হাতে-কলমে সিপিআর শেখার সুযোগ রয়েছে।
কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন লিখে ইউটিউবে খুঁজলেও পেয়ে যাবেন চমৎকার অনেক ভিডিও। আমাদের প্রত্যেকের উচিত এ ধরনের কর্মশালায় অংশগ্রহণ করা এবং প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করা।
লেখক : হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অনিশ্চয়তায় ভরা। হঠাৎ করে ঘটে যেতে পারে হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মতো জটিল ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক সঠিক ব্যবস্থা না নিলে একটি জীবন চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে। এ রকম পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ‘কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন’ (সিপিআর) জানা থাকা অপরিহার্য। শুধু চিকিৎসক নয়, সাধারণ মানুষের জন্যও এ জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো-
সম্প্রতি বাংলাদেশি ক্রিকেটার তামিম ইকবালের জীবন রক্ষার ঘটনা আমাদের এ বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করিয়ে দেয়। একটি ম্যাচ চলাকালে হঠাৎ তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়, যা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হিসেবে পরিচিত। তামিম ইকবাল ভাগ্যবান। কারণ, খেলা চলাকালে চিকিৎসক এবং প্যারামেডিক সঙ্গে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে সিপিআর প্রয়োগ করার মাধ্যমে তার হার্ট আবার চালু করা সম্ভব হয়। এ ঘটনাটি দৃষ্টান্তস্বরূপ প্রমাণ করে, সঠিক সময়ে সিপিআর দেওয়ার দক্ষতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মতো গুরুতর ঘটনার সময় পাশে সিপিআর দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। তাই প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সিপিআর শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সিপিআরের ভূমিকা
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো এমন একটি পরিস্থিতি, যখন হৃদযন্ত্র হঠাৎ করে রক্ত সঞ্চালন করা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে মস্তিষ্কসহ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোয় রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর প্রতি মিনিটে শতকরা ১০ করে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমে যায়। রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হলে সর্বপ্রথম ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক। মাত্র চার মিনিট রক্ত সঞ্চালন বন্ধ থাকলে মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়। কিন্তু দ্রুত সিপিআর প্রয়োগ করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন চালু রাখা যায়, কিছুক্ষণের মধ্যে হৃৎপিণ্ড কার্যক্ষমতা ফিরে পায়। অর্থাৎ আক্রান্ত ব্যক্তিটি প্রাণ ফিরে পায়। মনে রাখতে হবে, হার্ট অ্যাটাকই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের একমাত্র কারণ নয়। অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স (বিশেষ করে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা অস্বাভাবিক হওয়া)। শ্বাসরোধ, মারাত্মক রক্তক্ষরণ, অতিরিক্ত বমি বা পাতলা পায়খানা, ড্রাগ ওভারডোজ, বিষক্রিয়া, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, মারাত্মক অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে সিপিআর একটি তাৎক্ষণিক জীবন রক্ষাকারী পদ্ধতি।
সাধারণ মানুষের সিপিআর জানা কেন জরুরি
কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ভাষায় রাস্তাঘাটে, হাটবাজারে যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে। এ রকম পরিস্থিতিতে হাতের কাছে চিকিৎসাসেবা পাওয়া মুশকিল। এ সময় প্রাথমিক কয়েক মিনিটই জীবন-মৃত্যুর ফারাক গড়ে দেয়। তাই একজন সাধারণ মানুষ যদি সিপিআরের মৌলিক নিয়মগুলো জানেন, তবে তিনি অসহায় রোগীদের জীবন বাঁচাতে পারেন।
সিপিআর কীভাবে দেবেন
সিপিআরের বেসিক নিয়ম শিখতে মাত্র ৩০ মিনিট সময় লাগে। জটিল মেডিকেল যন্ত্রপাতি বা জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। শুধু দুই হাত এবং সাহস থাকলেই শুরু করা যায়। নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
সচেতনতা পরীক্ষা : কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সময় রোগী নিস্তেজ হয়ে পড়ে। রোগীকে জোরে ডাকুন বা কাঁধে টোকা দিন। শ্বাস নিচ্ছে কি না, ক্যারোটিড পালস আছে কি না পরীক্ষা করুন। আমাদের গলায় কণ্ঠহাড় বা অ্যাডামস অ্যাপলের পাশ বরাবর বুড়ো আঙুল দিয়ে চাপ দিলে ক্যারোটিড পালস অনুভব করা যায়। যদি রোগী সাড়া না দেয় এবং ক্যারোটিড পালস না থাকে, তাহলে সিপিআর শুরু করতে হবে।
অ্যাম্বুলেন্স কল করুন : কাউকে ৯৯৯ বা স্থানীয় ইমারজেন্সি নম্বরে কল করতে বলুন। আশপাশের মানুষকে সাহায্যের জন্য ডাকুন, কারণ এটি একটি পরিশ্রমসাধ্য কাজ। একা একা দীর্ঘক্ষণ সিপিআর দেওয়া সম্ভব নয়।
বুকের কম্প্রেশন (চাপ) শুরু করুন : রোগীকে শক্ত সমতল জায়গায় শুইয়ে দিন। হাতের তালু একটির ওপর আরেকটি রেখে বুকের মাঝখানে (নিপল লাইনের বরাবর) রাখুন। কনুই সোজা রেখে প্রতি মিনিটে ১০০-১২০ বার জোরে চাপ দিন। বুক দুই ইঞ্চি (৫ সেন্টিমিটার) নিচে নামার মতো চাপ দিন। ৩০ বার কম্প্রেশনের পর রোগীর নাক চেপে ধরে মুখে মুখ লাগিয়ে দুবার শ্বাস দিন। অ্যাম্বুলেন্স বা মেডিকেল সাহায্য না আসা পর্যন্ত কম্প্রেশন চালিয়ে যান। একদম ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে বুকের মাছ বরাবর দুই আঙুল দিয়ে চাপ দিন। যদি মুখে মুখে শ্বাস দিতে না পারেন বা সংকোচবোধ করেন সে ক্ষেত্রে হ্যান্ডস-অনলি CPR (শুধু বুকের কম্প্রেশন) চালিয়ে যান। এ পদ্ধতিও একই ধরনের কার্যকর। বুকে যথেষ্ট জোরে চাপ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বুকের পাঁজরের হাড় ভাঙতে পারে। বলা হয়ে থাকে, যদি বুকের দু-একটি হাড় না ভাঙে, তাহলে সেটা কার্যকর সিপিআর হয়নি। মনে রাখবেন, অক্ষত হাড় নিয়ে মারা যাওয়ার চেয়ে ভাঙা হাড় নিয়ে বেঁচে থাকা অনেক ভালো। সামাজিক সংকোচ, আইনগত জটিলতা ও নানা কারণে বাংলাদেশের মানুষ সিপিআর দিতে ভয় পায়। কিন্তু এ পদ্ধতির মাধ্যমে অনেক মানুষকে নতুন জীবনদান করা সম্ভব। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বারডেমসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে হাতে-কলমে সিপিআর শেখার সুযোগ রয়েছে।
কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন লিখে ইউটিউবে খুঁজলেও পেয়ে যাবেন চমৎকার অনেক ভিডিও। আমাদের প্রত্যেকের উচিত এ ধরনের কর্মশালায় অংশগ্রহণ করা এবং প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করা।
লেখক : হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গত বুধবার রাত ১০টার পর কাকরাইল মসজিদের সামনে যান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সেখানে তিনি কথা বলার একপর্যায়ে একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল তার মাথার ওপর পড়ে।
২০ ঘণ্টা আগে‘শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাজেট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। দীর্ঘদিনের আবাসন সংকট নিরসনে অস্থায়ী হল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন প্রকল্পও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।’
১ দিন আগে‘সামান্য পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন শিক্ষার্থীকে ডিবি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদে নেয়া হয়েছে। অথচ আমাদের শিক্ষক, সাংবাদিক ও সহপাঠীরা আন্দোলনের সময় বারবার হামলার শিকার হয়েছেন, সে বিষয়ে তো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
১ দিন আগেপ্রগতিশীল নেত্রীরা বলেন, এ কর্মসূচি কেবল নারীদের স্বার্থরক্ষা নয় বরং এটি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির আন্দোলনের অংশ।
১ দিন আগে