উচ্চ রক্তচাপ একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ৫৬

বর্তমানে উচ্চ রক্তচাপ একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা। এর কারণে হৃদরোগ,স্ট্রোক,কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যু ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। বাংলাদেশ উচ্চ রক্তচাপের নীরব মহামারি মধ্যে রয়েছে। যা অকাল মৃত্যু ঘটায়।

বিজ্ঞাপন

সর্বশেষ ‘বাংলাদেশ এনসিডি স্টেপস সার্ভে ২০২২’ এর তথ্যানুযায়ী, প্রতি ৪ জনে ১ জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। উচ্চ রক্তচাপজনিত অসুস্থতা এবং বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনা সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৩ দশমিক ৪ অর্জন কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে।

সোমবার রাজধানীর বিএমএ ভবনে অনুষ্ঠিত “বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: অগ্রগতি, বাধা এবং করণীয়” শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৩জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক রিয়াজ আহমদ; জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস, প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) এর নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা।

কর্মশালায় জানানো হয়, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ক দ্বিতীয় বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ একটি সফল উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে। ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের কিছু অঞ্চলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের হার ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা আশাব্যঞ্জক। তবে এখনো দেশের এক চতুর্থাংশ মানুষ এ রোগে ভুগছে। এই প্রকোপ কমাতে চলমান পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। দেশের সকল কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিরবচ্ছিন্ন ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রান্তিক পর্যায়ে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণকে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনার একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং একই সাথে এই খাতে ধারাবাহিক বিনিয়োগের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

কর্মশালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, উচ্চ রক্তচাপসহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগের ওষুধ প্রদানের ক্ষেত্রে বাজেট এবং ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কিছু সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হচ্ছি। আশা করি দ্রুতই আমরা এগুলো কাটিয়ে উঠতে পারব।

কর্মশালায় এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. রিয়াদ আরেফিন জানান, “আমরা সবসময় চেষ্টা করি চাহিদা অনুযায়ী প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জন্য এনসিডি কর্নার এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সময়মতো উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করার এবং এটা অব্যাহত থাকবে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত