পাঠ্যক্রমে লবণের ক্ষতিকর প্রভাব অন্তর্ভুক্তের দাবি

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৫, ২০: ৪৫

প্রক্রিয়াজাত খাবারের অতিরিক্ত লবণে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ জটিল সব অসংক্রামক রোগের মারাত্মক ঝুঁকি থাকায় জাতীয় পাঠ্যক্রমে লবণের ক্ষতিকর প্রভাব অন্তর্ভুক্ত করার দাবি উঠেছে।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘বিশ্ব লবণ সচেতনতা সপ্তাহ’ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, দৈনিক অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের ফলে দেশে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক ও কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন গড়ে ৯ গ্রাম লবণ গ্রহণ করছেন, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রা (৫ গ্রাম) এর চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। এর ফলে প্রতিবছর দেশে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন। এমন ভয়ংকর অবস্থা বিবেচনায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় লবণের ক্ষতিকর প্রভাব যুক্ত করার দাবি জানান তারা।

জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১২ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত ‘বিশ্ব লবণ সচেতনতা সপ্তাহ’ পালিত হয়। এবারের স্লোগান: “অতিরিক্ত লবণ বর্জন করি, সুস্থ জীবন গড়ি।”

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির লবণ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সমন্বয়ক ডা. আহমাদ খাইরুল আবরার।

সভায় অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, ‘লবণ শুধু স্বাদের উপাদান নয়, অতিরিক্ত গ্রহণ করলে এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগসহ অসংক্রামক রোগের বড় ঝুঁকি তৈরি করে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত