বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস আজ
আজাদুল আদনান
দীর্ঘ সময় ধরে যক্ষ্মার সঙ্গে লড়ছে বাংলাদেশ। সরকারি-বেসরকারি অর্থায়ন ও কর্মসূচির পরও নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ চ্যালেঞ্জের মুখে। কৌশলপত্র অনুযায়ী, চলতি বছরের মধ্যে ভাইরাসটিতে মৃত্যু ১৮ হাজারে নামিয়ে আনার পাশাপাশি সংক্রমণের হার কমাতে হবে ৫০ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে যক্ষ্মা নির্মূলে বরাদ্দ সংকটে পুরো কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, বিশ্বে প্রতি বছর ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে মারা যায় প্রায় ১৩ লাখ। বর্তমানে যক্ষ্মায় বিশ্বের সর্বোচ্চ আক্রান্ত ৩০টি দেশের একটি বাংলাদেশ। যেখানে প্রতি লাখে আক্রান্ত ২২১ জন। যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের আগে রয়েছে আফগানিস্তান।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক সময় যক্ষ্মা রোগীদের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা শহরমুখী হলেও বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে এই সেবা। ফলে প্রতি বছর শনাক্তের হার বেড়েছে। উপজেলা-জেলা হাসপাতালে মিলছে যক্ষ্মার সর্বোচ্চ চিকিৎসা। যেখানে সফলতার হার ৯৫ শতাংশ। তারপরও বিশ্বের উচ্চঝুঁকিপূর্ণ দেশের একটি বাংলাদেশ। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বরাদ্দ বন্ধ হলে ২০৩৫ সালের মধ্যে আক্রান্তের হার ৯০ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ৯৫ শতাংশ কমিয়ে আনা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এমন প্রেক্ষাপটে আজ সোমবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য, ‘প্রতিশ্রুতি, বিনিয়োগ ও সেবাদান দ্বারা, সম্ভব হবে যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়া।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ৩০ লাখ মানুষের পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ১৩ হাজার ৬২৪ জন। এক দশক আগে প্রতি লাখে ৪৫ জন মারা গেলেও বর্তমানে তা ২৫ জনে নেমে এসেছে। সে অনুযায়ী বছরে মৃত্যু হচ্ছে ৪৫ হাজার।
২০৩৫ সালের মধ্যে আক্রান্তের হার ৯০ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ৯৫ শতাংশ কমিয়ে আনার নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সরকারি ৪৪টি বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, সাতটি বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে সরকারের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি।
প্রতি তিন বছরের জন্য একবার সরকারের অপারেশন প্লানের (ওপি) আওতায় ১০০ কোটি টাকার বেশি এই খাতে বরাদ্দ করা হয়। যার অধিকাংশ যায় ওষুধের পেছনে। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ওষুধ দিয়ে আসছে সরকার। কিন্তু গত বছর ওপি পাস না হওয়ায় কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে বৈশ্বিক তহবিলের অর্থ না পাওয়ার শঙ্কা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের নিজস্ব বরাদ্দের বাইরে যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচিতে ইউএসএআইডি গ্লোবাল ফান্ডের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ৬০ মিলিয়িন ডলার পায় বাংলাদেশ। যার ৬০ ভাগই সংস্থাটি সরাসরি বাংলাদেশের সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে যক্ষ্মা শনাক্তকরণে ব্যবহৃত যন্ত্র, ল্যাব ও রিএজেন্টে ব্যয় করে।
সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ইউএসএইড অ্যালাইয়েন্স ফর কমব্যাটিং টিবি ইন বাংলাদেশ (এসিটিবি) নামে একটি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। মোট রোগীর প্রায় ২০ শতাংশ শনাক্ত হয় এই কর্মসূচির আওতায়।
সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও পৃথক কেন্দ্রে আইসিডিডিআর,বি যক্ষ্মা শনাক্তের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকল্পের অধীনে সহস্রাধিক লোকবল রয়েছে। তারাও ফান্ড বন্ধ প্রক্রিয়ায় উদ্বেগে রয়েছে। বাংলাদেশে এখনো প্রায় ৪০ শতাংশ রোগীর যক্ষ্মা ওষুধ সেবনের পরও পুরোপুরি ভালো হয় না। ফলে অর্থায়ন বন্ধ হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফান্ড বন্ধের প্রভাব ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সাবেক লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মাহফুজুর রহমান সরকার। আমার দেশকে তিনি বলেন, ওপির মাধ্যমে সরকার এখানে নিজস্ব বরাদ্দ যেমন দেয়, একইভাবে বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে বড় একটা অংশ আসে।
তারা সরাসরি জিন-এক্সপার্ট মেশিন, মাইক্রোস্কপ, এক্স-রে দিয়ে থাকে। একই সঙ্গে নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে পরীক্ষা সববিছুতে তাদের নিজেদের আলাদা জনবল আছে। ফান্ড বন্ধ হওয়ায় সরকারকে এখন একাই এগুলো করতে হবে। ফান্ড বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে তাদের জনবলও থাকবে না। এতে একদিকে অর্থ, অন্যদিকে জনবল উভয় দিকেই সংকট দেখা দেবে। এতে পুরো কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে যেতে পারে।
যদিও বর্তমান লাইন ডিরেক্টর ডা. জুবাইদা নাসরীন বলেন, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিকে শক্তিশালী করতে দাতা সংস্থারা ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, নতুন রোগী শনাক্তকরণসহ কিছু ক্ষেত্রে সহযোগী হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা যন্ত্র ক্রয়, ওষুধ সরবরাহসহ সব সরকার করে থাকে। ইউএসএআইডি পাশে না থাকলে কিছুটা স্টেক হোল্ডার কমলেও বিরূপ প্রভাব পড়বে না। বর্তমানে স্বাস্থ্যের অপারেশনাল প্ল্যান (ওপি) না থাকলেও দুই বছরের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
তবে উল্টো কথা বলছেন বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. রফিকুল ইসলাম। আমার দেশকে তিনি বলেন, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে আগের চেয়ে সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। কিন্তু সফলতা এখনো বহুদূরে। সেটি অর্জনে সরকার একার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, শনাক্তকরণ ও ওষুধসহ অন্যান্য চিকিৎসায় খরচ অনেক বেশি। এজন্য নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি গ্লোবাল ফান্ডকে বুঝাতে হবে। প্রয়োজনে অর্থের বিকল্প উৎস বের করতে হবে।
দীর্ঘ সময় ধরে যক্ষ্মার সঙ্গে লড়ছে বাংলাদেশ। সরকারি-বেসরকারি অর্থায়ন ও কর্মসূচির পরও নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ চ্যালেঞ্জের মুখে। কৌশলপত্র অনুযায়ী, চলতি বছরের মধ্যে ভাইরাসটিতে মৃত্যু ১৮ হাজারে নামিয়ে আনার পাশাপাশি সংক্রমণের হার কমাতে হবে ৫০ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে যক্ষ্মা নির্মূলে বরাদ্দ সংকটে পুরো কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, বিশ্বে প্রতি বছর ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে মারা যায় প্রায় ১৩ লাখ। বর্তমানে যক্ষ্মায় বিশ্বের সর্বোচ্চ আক্রান্ত ৩০টি দেশের একটি বাংলাদেশ। যেখানে প্রতি লাখে আক্রান্ত ২২১ জন। যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের আগে রয়েছে আফগানিস্তান।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক সময় যক্ষ্মা রোগীদের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা শহরমুখী হলেও বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে এই সেবা। ফলে প্রতি বছর শনাক্তের হার বেড়েছে। উপজেলা-জেলা হাসপাতালে মিলছে যক্ষ্মার সর্বোচ্চ চিকিৎসা। যেখানে সফলতার হার ৯৫ শতাংশ। তারপরও বিশ্বের উচ্চঝুঁকিপূর্ণ দেশের একটি বাংলাদেশ। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বরাদ্দ বন্ধ হলে ২০৩৫ সালের মধ্যে আক্রান্তের হার ৯০ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ৯৫ শতাংশ কমিয়ে আনা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এমন প্রেক্ষাপটে আজ সোমবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য, ‘প্রতিশ্রুতি, বিনিয়োগ ও সেবাদান দ্বারা, সম্ভব হবে যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়া।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ৩০ লাখ মানুষের পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ১৩ হাজার ৬২৪ জন। এক দশক আগে প্রতি লাখে ৪৫ জন মারা গেলেও বর্তমানে তা ২৫ জনে নেমে এসেছে। সে অনুযায়ী বছরে মৃত্যু হচ্ছে ৪৫ হাজার।
২০৩৫ সালের মধ্যে আক্রান্তের হার ৯০ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ৯৫ শতাংশ কমিয়ে আনার নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সরকারি ৪৪টি বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, সাতটি বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে সরকারের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি।
প্রতি তিন বছরের জন্য একবার সরকারের অপারেশন প্লানের (ওপি) আওতায় ১০০ কোটি টাকার বেশি এই খাতে বরাদ্দ করা হয়। যার অধিকাংশ যায় ওষুধের পেছনে। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ওষুধ দিয়ে আসছে সরকার। কিন্তু গত বছর ওপি পাস না হওয়ায় কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে বৈশ্বিক তহবিলের অর্থ না পাওয়ার শঙ্কা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের নিজস্ব বরাদ্দের বাইরে যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচিতে ইউএসএআইডি গ্লোবাল ফান্ডের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ৬০ মিলিয়িন ডলার পায় বাংলাদেশ। যার ৬০ ভাগই সংস্থাটি সরাসরি বাংলাদেশের সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে যক্ষ্মা শনাক্তকরণে ব্যবহৃত যন্ত্র, ল্যাব ও রিএজেন্টে ব্যয় করে।
সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ইউএসএইড অ্যালাইয়েন্স ফর কমব্যাটিং টিবি ইন বাংলাদেশ (এসিটিবি) নামে একটি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। মোট রোগীর প্রায় ২০ শতাংশ শনাক্ত হয় এই কর্মসূচির আওতায়।
সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও পৃথক কেন্দ্রে আইসিডিডিআর,বি যক্ষ্মা শনাক্তের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকল্পের অধীনে সহস্রাধিক লোকবল রয়েছে। তারাও ফান্ড বন্ধ প্রক্রিয়ায় উদ্বেগে রয়েছে। বাংলাদেশে এখনো প্রায় ৪০ শতাংশ রোগীর যক্ষ্মা ওষুধ সেবনের পরও পুরোপুরি ভালো হয় না। ফলে অর্থায়ন বন্ধ হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফান্ড বন্ধের প্রভাব ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সাবেক লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মাহফুজুর রহমান সরকার। আমার দেশকে তিনি বলেন, ওপির মাধ্যমে সরকার এখানে নিজস্ব বরাদ্দ যেমন দেয়, একইভাবে বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে বড় একটা অংশ আসে।
তারা সরাসরি জিন-এক্সপার্ট মেশিন, মাইক্রোস্কপ, এক্স-রে দিয়ে থাকে। একই সঙ্গে নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে পরীক্ষা সববিছুতে তাদের নিজেদের আলাদা জনবল আছে। ফান্ড বন্ধ হওয়ায় সরকারকে এখন একাই এগুলো করতে হবে। ফান্ড বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে তাদের জনবলও থাকবে না। এতে একদিকে অর্থ, অন্যদিকে জনবল উভয় দিকেই সংকট দেখা দেবে। এতে পুরো কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে যেতে পারে।
যদিও বর্তমান লাইন ডিরেক্টর ডা. জুবাইদা নাসরীন বলেন, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিকে শক্তিশালী করতে দাতা সংস্থারা ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, নতুন রোগী শনাক্তকরণসহ কিছু ক্ষেত্রে সহযোগী হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা যন্ত্র ক্রয়, ওষুধ সরবরাহসহ সব সরকার করে থাকে। ইউএসএআইডি পাশে না থাকলে কিছুটা স্টেক হোল্ডার কমলেও বিরূপ প্রভাব পড়বে না। বর্তমানে স্বাস্থ্যের অপারেশনাল প্ল্যান (ওপি) না থাকলেও দুই বছরের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
তবে উল্টো কথা বলছেন বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. রফিকুল ইসলাম। আমার দেশকে তিনি বলেন, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে আগের চেয়ে সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। কিন্তু সফলতা এখনো বহুদূরে। সেটি অর্জনে সরকার একার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, শনাক্তকরণ ও ওষুধসহ অন্যান্য চিকিৎসায় খরচ অনেক বেশি। এজন্য নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি গ্লোবাল ফান্ডকে বুঝাতে হবে। প্রয়োজনে অর্থের বিকল্প উৎস বের করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
২ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
২ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
২ ঘণ্টা আগে