প্রতিদিন কতটুকু গোশত খাওয়া নিরাপদ, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

ঢাবি সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৫, ১৪: ৪০

কোরবানির ঈদের পর প্রতিটি পরিবারেই নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকে গরু কিংবা খাসির গোশত। কিন্তু নিয়মিত হাই প্রোটিন সমৃদ্ধ এ ধরনের গোশত খাওয়া কি ঠিক, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ গোশত গ্রহণে রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। তবে নিরাপদ পরিমাণ গোশত গ্রহণে ক্ষতি না হয়ে লাভের পরিমাণই বেশি।

বিজ্ঞাপন

প্রোটিন, খনিজ ও ভিটামিনের উৎকৃষ্ট উৎস মাংস। তবে ‘রেড মিট’ বা লাল মাংস, প্রক্রিয়াজাত ও চর্বিযুক্ত মাংস পরিমিত গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

লাল মাংসের মধ্যে রয়েছে গরু, মহিষ, ছাগল, খাসি, ভেড়া ইত্যাদি। প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব মাংস থেকে পাওয়া যায় লৌহ, জিঙ্ক এবং বি ভিটামিন। আর এটা ভিটামিন বি-টুয়েল্ভ’য়ের ভালো উৎস।

লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত মাংস

যুক্তরাজ্যের ‘ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস (এনএইচএস)’য়ের তথ্যানুসারে- বেশি মাত্রায় প্রক্রিয়াজাত ও লাল মাংস খেলে মলাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

তাছাড়া প্রক্রিয়াজাত মাংসে উচ্চমাত্রায় লবণ থাকে, যে কারণে হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ।

দৈনিক ৭০ গ্রামের বেশি রান্না করা লাল মাংস খাওয়া নিরাপদ না। পরামর্শ দেওয়া হয় যদি রান্না করা ৯০ গ্রাম মাংস খাওয়া হয় একদিনে, তবে পরের দিনগুলোতে মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।

মাংসের আকার অনুসারে ওজনের সাধারণ হিসাব

ভেড়া, ছাগল, খাসি বা গরুর মাংসের ‘সানডে রোস্ট’ (তিনটা পাতলা টুকরা, একটি পাউরুটির আকারের অর্ধেক)- ৯০ গ্রাম।

গ্রিল্ড করা বিফ স্টেক- ১৬৩ গ্রাম।

৯ সে.মি. লম্বা দুটি সসেজ এবং দুটি পাতলা বেকন- ১৩০ গ্রাম।

বড় ডোনার খাবাব- ১৩০ গ্রাম।

সাধারণ আকারের বিফবার্গার- ৭৮ গ্রাম।

কর্ন্ড বিফ বা লবণ দেওয়া মাংসের টুকরা- ৩৮ গ্রাম।

ওপরের মাংসের ওজন গড় হিসেবে দেওয়া হলেও অন্তত আকার অনুযায়ী মাংসের ওজনের পরিমাণ ধারণা করা যায়।

বিষয়:

কোরবানি
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত