আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আস্থা ফেরাতে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের অন্তর্ভুক্তের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার
স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আস্থা ফেরাতে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের অন্তর্ভুক্তের দাবি

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও মানুষের আস্থা ফেরাতে হলে সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসাসেবায় গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগ জরুরি বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসক ও অভিজ্ঞ ফার্মাসিস্টরা।

তারা বলেন, একজন ফার্মাসিস্ট শুধু ওষুধ উৎপাদনকারী বা বিতরণকারীই নন, পাশাপাশি ফার্মাসিস্টরা হচ্ছে চিকিৎসকের সহযোদ্ধা, রোগীর আস্থার প্রতীক, ওষুধের গুণগত মানের রক্ষক এবং আধুনিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিদেশমুখী রোগী কমাতে হলেও ফার্মাসিস্ট নিয়োগ জরুরি বলেও মত দেন বক্তারা।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সোসাইটি অব বাংলাদেশী ফার্মাসিস্ট (এসবিপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি সোসাইটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুল আলমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। মূল আলোচক ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আব্দুর রশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মতো স্বাস্থ্য কাঠামো পৃথিবীর আর কোথাও নেই। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যন্ত এমন ব্যবস্থায়ও স্বাস্থ্যখাত অনেক এগিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসা সেবায় খুব কমই গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট, আবার ওষুধের দোকানে কোথাও গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নেই, একই অবস্থা সরকারি হাসপাতালের ফার্মেসিতে।

এর কারণ, সরকারি কর্তাদেরই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর আস্থা নেই। তারা বিদেশে চিকিৎসা নেন। অথচ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বেসিক সংকট হাসপাতালে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট না থাকা। এ সময় তারা পদোন্নতি সকল সুযোগ-সুবিধাসহ ফার্মেসিকে ক্যাডার সার্ভিস হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করাসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে জানান।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিশ্বাস করতেন একটি জাতির উন্নতি নির্ভর করে তার জনগণের সুস্বাস্থ্য ও যোগ্য মানবসম্পদের উপর। সেজন্য তিনিই প্রথম দেশে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের স্বীকৃতি দিতে ১৯৭৮ সালে ফার্মেসি অর্ডিন্যান্স জারি করেন। আগামীতে তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব ও ৩১ দফার ভিত্তিতে প্রণয়নকৃত স্বাস্থ্যনীতি ফার্মাসিস্টদের পেশাগত মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

সভাপতির বক্তব্যে সামসুল আলম রিপন বলেন, ‘বাংলাদেশের বাস্তবতায় এখনও ফার্মাসিস্টদের যথাযথ মর্যাদা ও দায়িত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়নি। উন্নত বিশ্বের প্রতিটি হাসপাতাল, মডেল ফার্মেসি, এমনকি জনস্বাস্থ্যনীতি বাস্তবায়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো ফার্মাসিস্ট। সময় এসেছে দেশের জনগণের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার যে- সঠিক স্বাস্থ্যসেবা পেতে এবং ওষুধের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে ফার্মাসিস্টের পরামর্শ নেওয়াও অত্যন্ত জরুরি।’

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন