মাসিক এবং মেনোপজ

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ০৮

অনেকেই মাসিক ও মেনোপজকে একই বিষয় মনে করেন, কিন্তু এই দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন।

মাসিক হলো নারীর প্রজনন চক্রের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যেখানে প্রতি মাসে জরায়ু থেকে রক্ত ও টিস্যু নির্গত হয়, যদি ডিম্বাণু পরিপক্ব হওয়ার পরেও গর্ভধারণ না ঘটে। সাধারণত ২১-৩৫ দিনের মধ্যে একবার ঘটে, যা স্বাভাবিক ধরা হয়। এটি নারীর হরমোন (ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং প্রজননক্ষম নারীর স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়ার অংশ। মেনোপজ হলো মাসিকের স্থায়ী বন্ধ। যখন ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণ বন্ধ হয় এবং নারীর প্রজননক্ষমতা শেষ হয়, তখন এটি মেনোপজ। সাধারণত ৪৫-৫৫ বছর বয়সের মধ্যে আসে, গড় বয়স প্রায় ৫০ বছর। মেনোপজ শুরু হলে মাসিক বন্ধ হয়ে যায় এবং আর

বিজ্ঞাপন

আবার হয় না।

রোগ নির্ণয়

মেনোপজ নির্ণয় মূলত উপসর্গ ও বয়সের ওপর নির্ভর করে। যদি একটানা ১২ মাস মাসিক বন্ধ থাকে, তবে চিকিৎসক এটিকে মেনোপজ বলে ধরেন। অনেক সময় অন্যান্য রোগের কারণে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। তাই নিশ্চিত করতে করা হয়। রক্তে নারী হরমোনের মাত্রা (ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন) পরিমাপ। থাইরয়েড বা অন্যান্য হরমোনজনিত সমস্যা পরীক্ষা। প্রয়োজনে জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের স্বাস্থ্য যাচাই। এছাড়া মেনোপজের আগাম অবস্থাও নির্ণয় করা যেতে পারে, যা পূর্ব মেনোপজকাল হিসেবে পরিচিত। এটি সাধারণত ৪৫ বছরের কাছাকাছি শুরু হয় এবং ডিম্বাশয়ের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যাওয়ার প্রক্রিয়া।

লেখক : প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান

জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত