
ডা. জয়

করোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার অনেকে বিশ্বাস করে, করোনা-পরবর্তী সময়ে মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া, হৃদরোগ বেড়ে যাওয়া এবং অল্প বয়সে হঠাৎ মৃত্যু—এসবই করোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। চলুন জানা যাক ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতার ব্যাপারে আসল সত্য কী?
চুলকানির গুজব
বিশ্বজুড়ে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে হাজার হাজার গবেষণা হয়েছে। WHO, CDC ও ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (EMA)-এর তথ্য অনুযায়ী, ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত স্বল্পস্থায়ী ও হালকা প্রকৃতির। কোনো গবেষণাতেই এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি, করোনার ভ্যাকসিন দীর্ঘমেয়াদি চর্মরোগ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশে বর্তমানে যেসব মানুষ ‘করোনা ভ্যাকসিনের কারণে চুলকানি’ ভাবছেন, তাদের অধিকাংশই আসলে স্ক্যাবিস (Scabies), দাঁদ (Ring Worm) বা একজিমায় (Eczema) আক্রান্ত। এসব সংক্রমণ ব্যক্তিগত অসচেতনতা, অপরিচ্ছন্নতা, ঘনবসতি ও আবহাওয়ার কারণে বাড়ছে— ভ্যাকসিনের কারণে নয়।
এ ব্যাপারে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সঞ্চিয়া তারান্নুম ম্যাম বলছেন, ‘যেকোনো ধরনের চুলকানির উপসর্গ দেখা যাওয়া মাত্রই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। কী ধরনের বা কী কারণে চুলকানি হচ্ছে, সেটির রোগ নির্ণয় করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলেই মিলবে চুলকানি থেকে মুক্তি। গুজব ছড়িয়ে চিকিৎসা নিতে যত দেরি করা হবে, ইনফেকশন তত বাড়বে। ছড়িয়ে পড়বে সংস্পর্শে আসা পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনের মধ্যে। চর্মরোগগুলো মহামারি আকার ধারণ করার এটাই প্রধান কারণ। গুজব ছড়িয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা বা চিকিৎসা নিতে বিলম্ব করা।’
ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ডের জটিলতা
করোনা সংক্রমণের সময় শরীরে তীব্র প্রদাহের (Inflammation) সৃষ্টি হয়। এ জন্য অনেকের ফুসফুসে স্থায়ী দাগ (Fibrosis) তৈরি হয়। পরিণতিতে শ্বাসকষ্ট বা দীর্ঘস্থায়ী কাশি দেখা দেয়। ভাইরাসটি হৃদপেশিতেও প্রদাহ (Myocarditis) ঘটাতে পারে। যার ফলে বুক ধড়ফড়, অনিয়মিত হার্টবিট (Arrhythmia) এবং Heart Failure হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে হঠাৎ মৃত্যুও ঘটতে পারে। এসব জটিলতার সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিনের কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি Nature Medicine এবং Lancet Respiratory Medicine-এর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনা ভ্যাকসিনপ্রাপ্তদের মধ্যে করোনা-পরবর্তী জটিলতার ঝুঁকি ৭০% পর্যন্ত কম। এ ব্যাপারে বক্ষব্যাধী বিশেষজ্ঞ অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. মনির হোসেন স্যার বলছেন, ‘করোনার ভ্যাকসিন কোনো অভিশাপ নয়—এটি মানবতার রক্ষাকবচ। ভ্যাকসিনের সুফলের জন্যই করোনা মহামারি এত অল্প সময়ে আমরা নিয়ন্ত্রণে নিতে পেরেছি। শুধু করোনা মহামারিই নয়, পোলিও, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস, র্যাবিসের মতো ভয়ংকর রোগের জন্য ভ্যাকসিন-ই প্রধান অভয়ঢাল। মনে রাখুন—ভ্যাকসিন নয়, ভুল তথ্যই আসল ভাইরাস।’

করোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার অনেকে বিশ্বাস করে, করোনা-পরবর্তী সময়ে মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া, হৃদরোগ বেড়ে যাওয়া এবং অল্প বয়সে হঠাৎ মৃত্যু—এসবই করোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। চলুন জানা যাক ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতার ব্যাপারে আসল সত্য কী?
চুলকানির গুজব
বিশ্বজুড়ে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে হাজার হাজার গবেষণা হয়েছে। WHO, CDC ও ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (EMA)-এর তথ্য অনুযায়ী, ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত স্বল্পস্থায়ী ও হালকা প্রকৃতির। কোনো গবেষণাতেই এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি, করোনার ভ্যাকসিন দীর্ঘমেয়াদি চর্মরোগ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশে বর্তমানে যেসব মানুষ ‘করোনা ভ্যাকসিনের কারণে চুলকানি’ ভাবছেন, তাদের অধিকাংশই আসলে স্ক্যাবিস (Scabies), দাঁদ (Ring Worm) বা একজিমায় (Eczema) আক্রান্ত। এসব সংক্রমণ ব্যক্তিগত অসচেতনতা, অপরিচ্ছন্নতা, ঘনবসতি ও আবহাওয়ার কারণে বাড়ছে— ভ্যাকসিনের কারণে নয়।
এ ব্যাপারে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সঞ্চিয়া তারান্নুম ম্যাম বলছেন, ‘যেকোনো ধরনের চুলকানির উপসর্গ দেখা যাওয়া মাত্রই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। কী ধরনের বা কী কারণে চুলকানি হচ্ছে, সেটির রোগ নির্ণয় করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলেই মিলবে চুলকানি থেকে মুক্তি। গুজব ছড়িয়ে চিকিৎসা নিতে যত দেরি করা হবে, ইনফেকশন তত বাড়বে। ছড়িয়ে পড়বে সংস্পর্শে আসা পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনের মধ্যে। চর্মরোগগুলো মহামারি আকার ধারণ করার এটাই প্রধান কারণ। গুজব ছড়িয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা বা চিকিৎসা নিতে বিলম্ব করা।’
ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ডের জটিলতা
করোনা সংক্রমণের সময় শরীরে তীব্র প্রদাহের (Inflammation) সৃষ্টি হয়। এ জন্য অনেকের ফুসফুসে স্থায়ী দাগ (Fibrosis) তৈরি হয়। পরিণতিতে শ্বাসকষ্ট বা দীর্ঘস্থায়ী কাশি দেখা দেয়। ভাইরাসটি হৃদপেশিতেও প্রদাহ (Myocarditis) ঘটাতে পারে। যার ফলে বুক ধড়ফড়, অনিয়মিত হার্টবিট (Arrhythmia) এবং Heart Failure হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে হঠাৎ মৃত্যুও ঘটতে পারে। এসব জটিলতার সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিনের কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি Nature Medicine এবং Lancet Respiratory Medicine-এর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনা ভ্যাকসিনপ্রাপ্তদের মধ্যে করোনা-পরবর্তী জটিলতার ঝুঁকি ৭০% পর্যন্ত কম। এ ব্যাপারে বক্ষব্যাধী বিশেষজ্ঞ অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. মনির হোসেন স্যার বলছেন, ‘করোনার ভ্যাকসিন কোনো অভিশাপ নয়—এটি মানবতার রক্ষাকবচ। ভ্যাকসিনের সুফলের জন্যই করোনা মহামারি এত অল্প সময়ে আমরা নিয়ন্ত্রণে নিতে পেরেছি। শুধু করোনা মহামারিই নয়, পোলিও, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস, র্যাবিসের মতো ভয়ংকর রোগের জন্য ভ্যাকসিন-ই প্রধান অভয়ঢাল। মনে রাখুন—ভ্যাকসিন নয়, ভুল তথ্যই আসল ভাইরাস।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে
১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৫ ঘণ্টা আগে
মাসিক হলো নারীর প্রজনন চক্রের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যেখানে প্রতি মাসে জরায়ু থেকে রক্ত ও টিস্যু নির্গত হয়, যদি ডিম্বাণু পরিপক্ব হওয়ার পরেও গর্ভধারণ না ঘটে। সাধারণত ২১-৩৫ দিনের মধ্যে একবার ঘটে, যা স্বাভাবিক ধরা হয়। এটি নারীর হরমোন (ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং প্রজননক্ষম নারীর
৫ ঘণ্টা আগে