এন আই মানিক
প্রসবকালীন সময়টা একজন মায়ের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। সন্তানকে আলোর মুখ দেখাতে গিয়ে কত মায়ের জীবনপ্রদীপই নিভে যায় অকালে। প্রসবকালীন সময়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজ হ্যালো ডাক্তার বিভাগে আমরা কথা বলব ডা. মোছা. মুনিরা খাতুন-এর সঙ্গে।
প্রশ্ন : গাইনি বিভাগে কাজ করার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলো কী কী?
উত্তর : জরুরি অবস্থা দ্রুত মোকাবিলা করতে হয়। হেমোরেজ, ই-ক্ল্যামসিয়া বা প্রি-ম্যাচিওর লেবার ইত্যাদি ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া লাগে। রোগী এবং পরিবারের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে চিকিৎসা দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ও দক্ষ নার্স, চিকিৎসা সরঞ্জাম বা ব্লাড সাপোর্ট থাকে না। তবু কাজ করে যেতে হয়। সচেতনতার অভাব থাকায় রোগীরা অনেক সময় দেরিতে হাসপাতালে আসে বা ভুল বিশ্বাসে চলেন। এছাড়া কোনো জটিলতা সৃষ্টি হলে রোগীর পরিবার থেকে মামলা-মোকদ্দমার আশঙ্কা তো থাকেই।
প্রশ্ন : প্রসবকালীন জটিলতা মোকাবিলায় আপনার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু উদাহরণ দিতে পারেন কি?
উত্তর : মনে করুন, এক প্রসূতির ডেলিভারির পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে uterotonics ও uterine massage দিয়ে ব্লিডিং নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং প্রয়োজনে ব্লাড ট্রান্সফিউশন করা হয়। কর্ড প্রোল্যাপ্স, বেবির কর্ড বাইরে বের হয়ে আসে—জরুরি সিজারিয়ান করে বাচ্চাকে বাঁচানো হয়। হাইপ্রেশার ও খিঁচুনি দেখা গেলে Magnesium Sulfate দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং দ্রুত ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রশ্ন : আপনি কীভাবে একজন গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যগত প্রস্তুতি মূল্যায়ন করেন?
উত্তর : প্রাথমিক স্বাস্থ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিন, ব্লাডপ্রেশার, সুগার, থাইরয়েড ইত্যাদি দেখা হয়। ANC (Antenatal Care), রেগুলার চেকআপ, আলট্রাসনোগ্রাফি ও ওজন মাপা হয়। বাসায় কী ধরনের সাপোর্ট আছে, তা মূল্যায়ন করা হয়। মানসিক স্বাস্থ্য যেমন—উদ্বেগ, হতাশা বা স্ট্রেস আছে কি না, তা দেখা জরুরি। নিউট্রিশনাল স্ট্যাটাসের দিক মাথায় রেখে গর্ভবতী মায়ের খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করা হয়।
প্রশ্ন : প্রজনন স্বাস্থ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের সমাজে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন?
উত্তর : স্কুল ও কলেজপর্যায়ে প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা চালু করা। কমিউনিটি হেলথ ক্যাম্প ও ওয়ার্কশপ আয়োজন।
মিডিয়া ব্যবহার করে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচার (TV, সোশ্যাল মিডিয়া ও রেডিও)। পরিবার পরিকল্পনা ও সুরক্ষিত যৌন আচরণ বিষয়ে পরামর্শ প্রদান। দাম্পত্য সম্পর্ক ও যৌনস্বাস্থ্যের ওপর খোলামেলা আলোচনা উৎসাহিত করা।
প্রশ্ন : আপনার অভিজ্ঞতায়, কোন রোগ বা সমস্যাগুলো গাইনি রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়?
উত্তর : পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS), ইউটারাইন ফাইব্রয়েড ও এন্ডোমেট্রিওসিস, মাসিকের অনিয়ম, লিউকোরিয়া (সাদা স্রাব) ও ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন, ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব সমস্যা, মেনোপজ-পরবর্তী সমস্যা ও হরমোনাল ইমব্যালেন্স ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়।
প্রসবকালীন সময়টা একজন মায়ের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। সন্তানকে আলোর মুখ দেখাতে গিয়ে কত মায়ের জীবনপ্রদীপই নিভে যায় অকালে। প্রসবকালীন সময়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজ হ্যালো ডাক্তার বিভাগে আমরা কথা বলব ডা. মোছা. মুনিরা খাতুন-এর সঙ্গে।
প্রশ্ন : গাইনি বিভাগে কাজ করার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলো কী কী?
উত্তর : জরুরি অবস্থা দ্রুত মোকাবিলা করতে হয়। হেমোরেজ, ই-ক্ল্যামসিয়া বা প্রি-ম্যাচিওর লেবার ইত্যাদি ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া লাগে। রোগী এবং পরিবারের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে চিকিৎসা দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ও দক্ষ নার্স, চিকিৎসা সরঞ্জাম বা ব্লাড সাপোর্ট থাকে না। তবু কাজ করে যেতে হয়। সচেতনতার অভাব থাকায় রোগীরা অনেক সময় দেরিতে হাসপাতালে আসে বা ভুল বিশ্বাসে চলেন। এছাড়া কোনো জটিলতা সৃষ্টি হলে রোগীর পরিবার থেকে মামলা-মোকদ্দমার আশঙ্কা তো থাকেই।
প্রশ্ন : প্রসবকালীন জটিলতা মোকাবিলায় আপনার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু উদাহরণ দিতে পারেন কি?
উত্তর : মনে করুন, এক প্রসূতির ডেলিভারির পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে uterotonics ও uterine massage দিয়ে ব্লিডিং নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং প্রয়োজনে ব্লাড ট্রান্সফিউশন করা হয়। কর্ড প্রোল্যাপ্স, বেবির কর্ড বাইরে বের হয়ে আসে—জরুরি সিজারিয়ান করে বাচ্চাকে বাঁচানো হয়। হাইপ্রেশার ও খিঁচুনি দেখা গেলে Magnesium Sulfate দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং দ্রুত ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রশ্ন : আপনি কীভাবে একজন গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যগত প্রস্তুতি মূল্যায়ন করেন?
উত্তর : প্রাথমিক স্বাস্থ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিন, ব্লাডপ্রেশার, সুগার, থাইরয়েড ইত্যাদি দেখা হয়। ANC (Antenatal Care), রেগুলার চেকআপ, আলট্রাসনোগ্রাফি ও ওজন মাপা হয়। বাসায় কী ধরনের সাপোর্ট আছে, তা মূল্যায়ন করা হয়। মানসিক স্বাস্থ্য যেমন—উদ্বেগ, হতাশা বা স্ট্রেস আছে কি না, তা দেখা জরুরি। নিউট্রিশনাল স্ট্যাটাসের দিক মাথায় রেখে গর্ভবতী মায়ের খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করা হয়।
প্রশ্ন : প্রজনন স্বাস্থ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের সমাজে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন?
উত্তর : স্কুল ও কলেজপর্যায়ে প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা চালু করা। কমিউনিটি হেলথ ক্যাম্প ও ওয়ার্কশপ আয়োজন।
মিডিয়া ব্যবহার করে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচার (TV, সোশ্যাল মিডিয়া ও রেডিও)। পরিবার পরিকল্পনা ও সুরক্ষিত যৌন আচরণ বিষয়ে পরামর্শ প্রদান। দাম্পত্য সম্পর্ক ও যৌনস্বাস্থ্যের ওপর খোলামেলা আলোচনা উৎসাহিত করা।
প্রশ্ন : আপনার অভিজ্ঞতায়, কোন রোগ বা সমস্যাগুলো গাইনি রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়?
উত্তর : পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS), ইউটারাইন ফাইব্রয়েড ও এন্ডোমেট্রিওসিস, মাসিকের অনিয়ম, লিউকোরিয়া (সাদা স্রাব) ও ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন, ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব সমস্যা, মেনোপজ-পরবর্তী সমস্যা ও হরমোনাল ইমব্যালেন্স ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়।
সংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
১৮ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
২ ঘণ্টা আগেসমাবেশে জোবায়েদের সহপাঠী সজল খান বলেন, “পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা ও মাহির নয়, এই ঘটনায় বর্ষার পরিবারও জড়িত। গতকাল আদালতে আমাদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ছিল অমানবিক। আমাদের এক বান্ধবী ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
২ ঘণ্টা আগে