আরিফ বিন নজরুল
ইন্টারনেট এখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়। কাজ, শিক্ষা, ব্যাংকিং থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই সুবিধার ভিড়েই লুকিয়ে আছে নানা ধরনের সাইবার ঝুঁকি। প্রতিদিনই বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ কম্পিউটার ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার কিংবা র্যানসমওয়্যারের আক্রমণের শিকার হয়।
এক মুহূর্তের অসতর্কতা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, আর্থিক লেনদেন এমনকি পুরো ডিভাইসকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। তাই ব্যবহারকারীদের মনে প্রায়ই প্রশ্ন জাগে—অ্যান্টিভাইরাসই যথেষ্ট নাকি অ্যান্টিম্যালওয়্যারও প্রয়োজন?
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের ইতিহাস বেশ পুরোনো। প্রথম দিকে এটি তৈরি হয়েছিল শুধু ভাইরাস শনাক্ত ও মুছে ফেলার জন্য। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হুমকির ধরন বদলেছে। এখন অ্যান্টিভাইরাস শুধু ভাইরাস নয়, ট্রোজান, ওয়ার্ম, রুটকিট, স্পাইওয়্যারসহ নানা পরিচিত হুমকি শনাক্ত করতে সক্ষম। আধুনিক অ্যান্টিভাইরাসে রিয়েলটাইম স্ক্যানিং, ই-মেইল প্রোটেকশন, ওয়েব ফিল্টারিং, এমনকি ফায়ারওয়াল সুবিধাও যুক্ত থাকে। ফলে এটি ব্যবহারকারীকে একটি প্রাথমিক কিন্তু শক্তিশালী সুরক্ষা দেয়।
অন্যদিকে, অ্যান্টিম্যালওয়্যার সফটওয়্যারের লক্ষ্য আরো গভীর। সাইবার অপরাধীরা প্রতিনিয়ত নতুন ধরনের ম্যালওয়্যার বানাচ্ছে। যেগুলো প্রথাগত অ্যান্টিভাইরাসকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। এ ধরনের হুমকির বিরুদ্ধে অ্যান্টিম্যালওয়্যার কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি শুধু ডেটাবেসের ওপর নির্ভর করে না। বরং বিহেভিয়ার অ্যানালাইসিস বা ব্যবহারগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে সন্দেহজনক কার্যকলাপ শনাক্ত করতে পারে। ফলে নতুন ধরনের র্যানসমওয়্যার, কিলগার বা অ্যাডওয়্যারের মতো ঝুঁকি থেকে ব্যবহারকারী দ্রুত সুরক্ষা পান।
শুধু একটি সফটওয়্যারের ওপর নির্ভর করা যথেষ্ট নয়। অ্যান্টিভাইরাস ভালোভাবে পরিচিত হুমকিকে ঠেকালেও অনেক সময় নতুন প্রজন্মের ম্যালওয়্যার চোখ এড়িয়ে যেতে পারে। আবার শুধু অ্যান্টিম্যালওয়্যার ব্যবহার করলে প্রচলিত ভাইরাস ও পুরোনো ধরনের হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দুর্বল হয়ে যায়। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাসের পাশাপাশি নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা অনেক বেশি নিশ্চিত হয়।
তবে শুধু সফটওয়্যার ইনস্টল করলেই নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না। নিয়মিত আপডেট করা সবচেয়ে জরুরি। সাইবার অপরাধীরা প্রতিদিন নতুন কৌশল বের করে। আর সেই অনুযায়ী অ্যান্টিভাইরাস ও অ্যান্টিম্যালওয়্যারের ডেভেলপাররাও আপডেট প্রকাশ করে। আপডেট না করলে সফটওয়্যার কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে। পাশাপাশি নিরাপদ ব্রাউজিং, অচেনা লিংকে ক্লিক না করা। সন্দেহজনক ফাইল ডাউনলোড এড়িয়ে চলা এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়মিত ব্যাকআপ রাখা নিরাপত্তার অপরিহার্য অংশ।
অন্য একটি ভুল ধারণা হলো—অ্যান্টিভাইরাস আর অ্যান্টিম্যালওয়্যার একে অন্যের বিকল্প। বাস্তবে তা নয়। বরং দুটো একসঙ্গে ব্যবহার করলে সিস্টেমে আরো শক্তিশালী প্রতিরক্ষা তৈরি হয়। উদাহরণস্বরূপÑ অ্যান্টিভাইরাস হয়তো একটি পরিচিত ট্রোজানকে সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করে ফেলবে। আর অ্যান্টিম্যালওয়্যার বুঝে নেবে পেছনে কোনো নতুন ধরনের র্যানসমওয়্যার লুকিয়ে আছে কি না। এই দ্বৈত সুরক্ষাই ব্যবহারকারীকে প্রকৃত নিরাপত্তা দেয়।
সবশেষে বলা যায়, আজকের ডিজিটাল যুগে নিরাপত্তার জন্য শুধু একটি সফটওয়্যারের ওপর ভরসা করা ঠিক নয়। অ্যান্টিভাইরাস হোক বা অ্যান্টিম্যালওয়্যার—দুটিই ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে কার্যকর এবং একসঙ্গে ব্যবহার করলেই পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। তাই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা অফিসের গোপন ডকুমেন্ট নিরাপদ রাখতে চাইলে এখনই নিশ্চিত করুন। কম্পিউটার বা মোবাইলের সুরক্ষায় দুটোই রয়েছে আপনার পাশে।
ইন্টারনেট এখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়। কাজ, শিক্ষা, ব্যাংকিং থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই সুবিধার ভিড়েই লুকিয়ে আছে নানা ধরনের সাইবার ঝুঁকি। প্রতিদিনই বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ কম্পিউটার ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার কিংবা র্যানসমওয়্যারের আক্রমণের শিকার হয়।
এক মুহূর্তের অসতর্কতা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, আর্থিক লেনদেন এমনকি পুরো ডিভাইসকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। তাই ব্যবহারকারীদের মনে প্রায়ই প্রশ্ন জাগে—অ্যান্টিভাইরাসই যথেষ্ট নাকি অ্যান্টিম্যালওয়্যারও প্রয়োজন?
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের ইতিহাস বেশ পুরোনো। প্রথম দিকে এটি তৈরি হয়েছিল শুধু ভাইরাস শনাক্ত ও মুছে ফেলার জন্য। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হুমকির ধরন বদলেছে। এখন অ্যান্টিভাইরাস শুধু ভাইরাস নয়, ট্রোজান, ওয়ার্ম, রুটকিট, স্পাইওয়্যারসহ নানা পরিচিত হুমকি শনাক্ত করতে সক্ষম। আধুনিক অ্যান্টিভাইরাসে রিয়েলটাইম স্ক্যানিং, ই-মেইল প্রোটেকশন, ওয়েব ফিল্টারিং, এমনকি ফায়ারওয়াল সুবিধাও যুক্ত থাকে। ফলে এটি ব্যবহারকারীকে একটি প্রাথমিক কিন্তু শক্তিশালী সুরক্ষা দেয়।
অন্যদিকে, অ্যান্টিম্যালওয়্যার সফটওয়্যারের লক্ষ্য আরো গভীর। সাইবার অপরাধীরা প্রতিনিয়ত নতুন ধরনের ম্যালওয়্যার বানাচ্ছে। যেগুলো প্রথাগত অ্যান্টিভাইরাসকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। এ ধরনের হুমকির বিরুদ্ধে অ্যান্টিম্যালওয়্যার কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি শুধু ডেটাবেসের ওপর নির্ভর করে না। বরং বিহেভিয়ার অ্যানালাইসিস বা ব্যবহারগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে সন্দেহজনক কার্যকলাপ শনাক্ত করতে পারে। ফলে নতুন ধরনের র্যানসমওয়্যার, কিলগার বা অ্যাডওয়্যারের মতো ঝুঁকি থেকে ব্যবহারকারী দ্রুত সুরক্ষা পান।
শুধু একটি সফটওয়্যারের ওপর নির্ভর করা যথেষ্ট নয়। অ্যান্টিভাইরাস ভালোভাবে পরিচিত হুমকিকে ঠেকালেও অনেক সময় নতুন প্রজন্মের ম্যালওয়্যার চোখ এড়িয়ে যেতে পারে। আবার শুধু অ্যান্টিম্যালওয়্যার ব্যবহার করলে প্রচলিত ভাইরাস ও পুরোনো ধরনের হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দুর্বল হয়ে যায়। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাসের পাশাপাশি নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা অনেক বেশি নিশ্চিত হয়।
তবে শুধু সফটওয়্যার ইনস্টল করলেই নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না। নিয়মিত আপডেট করা সবচেয়ে জরুরি। সাইবার অপরাধীরা প্রতিদিন নতুন কৌশল বের করে। আর সেই অনুযায়ী অ্যান্টিভাইরাস ও অ্যান্টিম্যালওয়্যারের ডেভেলপাররাও আপডেট প্রকাশ করে। আপডেট না করলে সফটওয়্যার কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে। পাশাপাশি নিরাপদ ব্রাউজিং, অচেনা লিংকে ক্লিক না করা। সন্দেহজনক ফাইল ডাউনলোড এড়িয়ে চলা এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়মিত ব্যাকআপ রাখা নিরাপত্তার অপরিহার্য অংশ।
অন্য একটি ভুল ধারণা হলো—অ্যান্টিভাইরাস আর অ্যান্টিম্যালওয়্যার একে অন্যের বিকল্প। বাস্তবে তা নয়। বরং দুটো একসঙ্গে ব্যবহার করলে সিস্টেমে আরো শক্তিশালী প্রতিরক্ষা তৈরি হয়। উদাহরণস্বরূপÑ অ্যান্টিভাইরাস হয়তো একটি পরিচিত ট্রোজানকে সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করে ফেলবে। আর অ্যান্টিম্যালওয়্যার বুঝে নেবে পেছনে কোনো নতুন ধরনের র্যানসমওয়্যার লুকিয়ে আছে কি না। এই দ্বৈত সুরক্ষাই ব্যবহারকারীকে প্রকৃত নিরাপত্তা দেয়।
সবশেষে বলা যায়, আজকের ডিজিটাল যুগে নিরাপত্তার জন্য শুধু একটি সফটওয়্যারের ওপর ভরসা করা ঠিক নয়। অ্যান্টিভাইরাস হোক বা অ্যান্টিম্যালওয়্যার—দুটিই ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে কার্যকর এবং একসঙ্গে ব্যবহার করলেই পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। তাই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা অফিসের গোপন ডকুমেন্ট নিরাপদ রাখতে চাইলে এখনই নিশ্চিত করুন। কম্পিউটার বা মোবাইলের সুরক্ষায় দুটোই রয়েছে আপনার পাশে।
সংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
১৫ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
২ ঘণ্টা আগেসমাবেশে জোবায়েদের সহপাঠী সজল খান বলেন, “পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা ও মাহির নয়, এই ঘটনায় বর্ষার পরিবারও জড়িত। গতকাল আদালতে আমাদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ছিল অমানবিক। আমাদের এক বান্ধবী ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
২ ঘণ্টা আগে