
আরিফ বিন নজরুল

প্রযুক্তিনির্ভর পৃথিবীতে মোবাইল অ্যাপ এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘর থেকে বের না হয়েও খাবার অর্ডার, বিল পরিশোধ, গাড়ি বুকিং, পড়াশোনা কিংবা অফিসের কাজ। সবই সম্ভব হচ্ছে এক ক্লিকেই। এ কারণে বিশ্বজুড়ে দ্রুত বাড়ছে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিল্প। আর এর প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশেও।
দেশের তরুণ প্রজন্ম আজ শুধু অ্যাপ ব্যবহার করছে না। নিজেদের দক্ষতা দিয়ে তৈরি করছে আন্তর্জাতিক মানের অ্যাপ, গেম, সফটওয়্যার এবং প্রযুক্তি সমাধান। যা বাংলাদেশের আইটি শিল্পের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি, স্মার্টফোনের সহজলভ্য এবং ডিজিটাল সরকারি পরিষেবার সম্প্রসারণ মোবাইল অ্যাপের চাহিদাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি প্রায় প্রতিটি সেবার জন্য আলাদা মোবাইল অ্যাপ তৈরি হচ্ছে। নাগরিক সেবা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা, ই-কমার্স, লজিস্টিকস, ফাইন্যান্স, ব্যাংকিংসহ প্রায় সব খাতে অ্যাপের ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ। এতে স্থানীয় ডেভেলপারদের জন্য তৈরি হয়েছে একটি বিশাল বাজার। যেখানে রয়েছে স্থায়ী আয়ের পাশাপাশি গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করার সুযোগও।
বাংলাদেশের মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিল্পের শক্তি রয়েছে তরুণ জনশক্তিতে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। যেখানে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট অন্যতম জনপ্রিয় দক্ষতা। Upwork, Fiverr বা Freelancer প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি ডেভেলপাররা এখন অ্যাপ ডেভেলপার হিসেবে উচ্চ মূল্যায়ন পাচ্ছেন।
স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমও অ্যাপ শিল্পকে এগিয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন স্টার্টআপ ফিনটেক, হেল্থটেক, এডটেক ও ই-কমার্সের জন্য নতুন অ্যাপ তৈরি করছে। যা দেশের বাজারে যেমন সফল হচ্ছে। তেমনি বিদেশেও তাদের ব্যবহার বাড়ছে। অনেক স্টার্টআপ এখন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ, লোকাল রাইড-শেয়ারিং অ্যাপ, এআইভিত্তিক অ্যাপ কিংবা ক্লাউডভিত্তিক অ্যাপ তৈরি করে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগও পাচ্ছে। বাংলাদেশের অ্যাপ নির্মাতাদের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলোÑতারা কম খরচে উচ্চমানের অ্যাপ তৈরি করতে পারে, যা বৈশ্বিক বাজারে বড় প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা।
যদিও সম্ভাবনা বিশাল, তবু রয়েছে কিছু চ্যালেঞ্জ। অনেক ডেভেলপার আন্তর্জাতিক মানের অ্যাপ বানালেও বিশাল পরিসরে স্কেলিং ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমস্যায় পড়েন। এছাড়া বিনিয়োগ, গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D), আন্তর্জাতিক মার্কেটিং এবং প্লে-স্টোর মনিটাইজেশনের জটিলতা অনেক নতুন ডেভেলপারকে পিছিয়ে দেয়। তবু, সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ভিশনের আওতায় স্থানীয় অ্যাপ উন্নয়নে নানা সুযোগ সৃষ্টি করছে। হাইটেক পার্ক, আইটি ট্রেনিং, স্টার্টআপ ফান্ড ও ইনকিউবেটর সুবিধার মাধ্যমে এ খাত আরো এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিল্পের ভবিষ্যৎ এখন অত্যন্ত উজ্জ্বল। ৫-জি ইন্টারনেট, মোবাইল ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিস, এআই, আইওটি ও ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল অ্যাপের চাহিদা আরো বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। আগামী পাঁচ বছরে স্থানীয় ডেভেলপাররা শুধু দেশের বাজারে নয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আরো বেশি প্রভাব বিস্তার করবেÑএমনটাই আশা করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশের জন্য শুধু একটি শিল্প নয়। এটি দেশের তরুণদের জন্য সম্ভাবনার বিশাল ক্ষেত্র। অর্থনীতির জন্য নতুন আয় উৎস এবং স্মার্ট ভবিষ্যতের অন্যতম শক্তিশালী ভিত্তি।

প্রযুক্তিনির্ভর পৃথিবীতে মোবাইল অ্যাপ এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘর থেকে বের না হয়েও খাবার অর্ডার, বিল পরিশোধ, গাড়ি বুকিং, পড়াশোনা কিংবা অফিসের কাজ। সবই সম্ভব হচ্ছে এক ক্লিকেই। এ কারণে বিশ্বজুড়ে দ্রুত বাড়ছে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিল্প। আর এর প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশেও।
দেশের তরুণ প্রজন্ম আজ শুধু অ্যাপ ব্যবহার করছে না। নিজেদের দক্ষতা দিয়ে তৈরি করছে আন্তর্জাতিক মানের অ্যাপ, গেম, সফটওয়্যার এবং প্রযুক্তি সমাধান। যা বাংলাদেশের আইটি শিল্পের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি, স্মার্টফোনের সহজলভ্য এবং ডিজিটাল সরকারি পরিষেবার সম্প্রসারণ মোবাইল অ্যাপের চাহিদাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি প্রায় প্রতিটি সেবার জন্য আলাদা মোবাইল অ্যাপ তৈরি হচ্ছে। নাগরিক সেবা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা, ই-কমার্স, লজিস্টিকস, ফাইন্যান্স, ব্যাংকিংসহ প্রায় সব খাতে অ্যাপের ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ। এতে স্থানীয় ডেভেলপারদের জন্য তৈরি হয়েছে একটি বিশাল বাজার। যেখানে রয়েছে স্থায়ী আয়ের পাশাপাশি গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করার সুযোগও।
বাংলাদেশের মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিল্পের শক্তি রয়েছে তরুণ জনশক্তিতে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। যেখানে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট অন্যতম জনপ্রিয় দক্ষতা। Upwork, Fiverr বা Freelancer প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি ডেভেলপাররা এখন অ্যাপ ডেভেলপার হিসেবে উচ্চ মূল্যায়ন পাচ্ছেন।
স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমও অ্যাপ শিল্পকে এগিয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন স্টার্টআপ ফিনটেক, হেল্থটেক, এডটেক ও ই-কমার্সের জন্য নতুন অ্যাপ তৈরি করছে। যা দেশের বাজারে যেমন সফল হচ্ছে। তেমনি বিদেশেও তাদের ব্যবহার বাড়ছে। অনেক স্টার্টআপ এখন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ, লোকাল রাইড-শেয়ারিং অ্যাপ, এআইভিত্তিক অ্যাপ কিংবা ক্লাউডভিত্তিক অ্যাপ তৈরি করে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগও পাচ্ছে। বাংলাদেশের অ্যাপ নির্মাতাদের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলোÑতারা কম খরচে উচ্চমানের অ্যাপ তৈরি করতে পারে, যা বৈশ্বিক বাজারে বড় প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা।
যদিও সম্ভাবনা বিশাল, তবু রয়েছে কিছু চ্যালেঞ্জ। অনেক ডেভেলপার আন্তর্জাতিক মানের অ্যাপ বানালেও বিশাল পরিসরে স্কেলিং ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমস্যায় পড়েন। এছাড়া বিনিয়োগ, গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D), আন্তর্জাতিক মার্কেটিং এবং প্লে-স্টোর মনিটাইজেশনের জটিলতা অনেক নতুন ডেভেলপারকে পিছিয়ে দেয়। তবু, সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ভিশনের আওতায় স্থানীয় অ্যাপ উন্নয়নে নানা সুযোগ সৃষ্টি করছে। হাইটেক পার্ক, আইটি ট্রেনিং, স্টার্টআপ ফান্ড ও ইনকিউবেটর সুবিধার মাধ্যমে এ খাত আরো এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিল্পের ভবিষ্যৎ এখন অত্যন্ত উজ্জ্বল। ৫-জি ইন্টারনেট, মোবাইল ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিস, এআই, আইওটি ও ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল অ্যাপের চাহিদা আরো বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। আগামী পাঁচ বছরে স্থানীয় ডেভেলপাররা শুধু দেশের বাজারে নয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আরো বেশি প্রভাব বিস্তার করবেÑএমনটাই আশা করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশের জন্য শুধু একটি শিল্প নয়। এটি দেশের তরুণদের জন্য সম্ভাবনার বিশাল ক্ষেত্র। অর্থনীতির জন্য নতুন আয় উৎস এবং স্মার্ট ভবিষ্যতের অন্যতম শক্তিশালী ভিত্তি।

মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল, শুকরানা সিজদাহ্ ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
৬ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত ফাঁসির রায়ের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রযুক্তি জগতের সবচেয়ে আলোচিত মুখ ইলন মাস্ক। বৈদ্যুতিক গাড়ি, মহাকাশ গবেষণা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসানোর প্রকল্প—একটির পর আরেকটি বিস্ময় দিয়ে তিনি বিশ্বকে নাড়িয়ে দেন। এবার তার নতুন পরীক্ষা একটি অনলাইন বিশ্বকোষ। যার নাম গ্রকিপিডিয়া।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। ১৫-১৬ বছর আমরা আন্দোলন করেছি শুধু একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য। আর সেই নির্বাচনের জন্য শেষ পর্যন্ত সবাইকে জনগণের কাছেই যেতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে