আরিফ বিন নজরুল
কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের অন্যতম বড় সমস্যার নাম হলো অতিরিক্ত গরম হওয়া। দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে, ভারী সফটওয়্যার চালালে বা গেম খেলার সময় কম্পিউটার হিট হয়। হঠাৎ মেশিন ধীর হয়ে যায় বা হ্যাং করে। কখনো আবার হুট করে বন্ধও হয়ে যায়। আসলে এর মূল কারণ হলো প্রসেসর ও গ্রাফিকস কার্ডে জমে থাকা তাপ। এই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে কুলিং ফ্যান ও হিটসিঙ্ক। যন্ত্রাংশ দুটি না থাকলে আধুনিক কম্পিউটার কয়েক মিনিটও সচল থাকতে পারত না।
কুলিং ফ্যানের কাজ হলো ভেতরে তৈরি হওয়া গরম বাতাস বাইরে বের করে দেওয়া এবং ঠান্ডা বাতাস ভেতরে টেনে আনা। ফ্যান ঘুরতে না পারলে বা ধুলাবালি জমলে প্রসেসর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়, যার ফলে কাজ ধীর হয়ে পড়ে। বারবার হ্যাং হয়, এমনকি মাদারবোর্ড পর্যন্ত নষ্ট হতে পারে। তাই নিয়মিত ফ্যান পরিষ্কার করা জরুরি। অনেকে জানেন না—একটি ফ্যানের সামান্য ধুলাবালিই তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বাড়িয়ে দিতে পারে। আর এই কয়েক ডিগ্রিই হতে পারে বড় ক্ষতির সূচনা।
অন্যদিকে, হিটসিঙ্ক হলো তাপ নিয়ন্ত্রণের মূল নায়ক। এটি সাধারণত অ্যালুমিনিয়াম বা কপার ধাতুর তৈরি, যার ভেতরে ছোট ছোট পাখনার মতো ফিন থাকে। প্রসেসর থেকে উৎপন্ন তাপ হিটসিঙ্ক শোষণ করে সেই ফিনের মাধ্যমে চারপাশের বাতাসে ছড়িয়ে দেয়। এরপর কুলিং ফ্যান সেই গরম বাতাস দ্রুত বাইরে বের করে দেয়। এই সমন্বয় না হলে প্রসেসরের ভেতরে মুহূর্তের মধ্যে বিপজ্জনক তাপ জমে যেত এবং স্থায়ী ক্ষতি হতো।
শুধু হার্ডওয়্যারই নয়, সফটওয়্যার ব্যবহারের অভ্যাসও কম্পিউটারের তাপমাত্রায় প্রভাব ফেলে। একসঙ্গে অনেক অ্যাপ খোলা, ব্যাকগ্রাউন্ডে অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম চালানো কিংবা ভাইরাস-আক্রান্ত সফটওয়্যার কম্পিউটারকে অতিরিক্ত চাপ দেয়। এর ফলে প্রসেসর বেশি কাজ করে এবং দ্রুত গরম হয়। তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ রাখা, নিয়মিত অ্যান্টিভাইরাস আপডেট করা এবং সিস্টেম ক্লিনআপ করাও সমান জরুরি।
গেমিং বা গ্রাফিকসের মতো ভারী কাজের সময় সাধারণ ফ্যান ও হিটসিঙ্ক অনেক সময় যথেষ্ট হয় না। এ জন্য এখন অনেকেই কুলিং প্যাড, অতিরিক্ত কেস ফ্যান কিংবা উন্নত লিকুইড কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করেন। বিশেষ করে লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি দ্রুত তাপ শোষণ করে প্রসেসরকে ঠান্ডা রাখে, যা গেমার এবং হাই-অ্যান্ড ব্যবহারকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
তবে শুধু প্রযুক্তি নয়, কিছু ছোটখাটো সচেতনতাও কম্পিউটারকে অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। যেমন—ল্যাপটপ কখনো বিছানা বা কুশনের ওপর রাখা উচিত নয়, বরং সমতল শক্ত পৃষ্ঠে রাখা উচিত। কারণ নরম জায়গায় ভেন্ট বন্ধ হয়ে যায়, বাতাস বের হতে পারে না। একইভাবে ডেস্কটপের কেস এমনভাবে রাখতে হবে, যাতে চারপাশে বাতাস চলাচল করতে পারে।
সবশেষে বলা যায়, অতিরিক্ত তাপ কম্পিউটারের জন্য নিঃশব্দ ঘাতক। ধীরে ধীরে এটি শুধু গতি কমায় না, বরং প্রসেসর, গ্রাফিকস কার্ড, র্যাম এমনকি মাদারবোর্ড পর্যন্ত নষ্ট করে দিতে পারে। তাই নিয়মিত ফ্যান ও হিটসিঙ্ক পরিষ্কার রাখা, উন্নত কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা এবং সচেতনভাবে কম্পিউটার চালানোই এর দীর্ঘায়ুর মূল চাবিকাঠি। সামান্য যত্নই পারে আপনার কম্পিউটারকে অতিরিক্ত গরম থেকে রক্ষা করতে এবং দীর্ঘদিন নিরবচ্ছিন্ন সঙ্গী করে রাখতে।
কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের অন্যতম বড় সমস্যার নাম হলো অতিরিক্ত গরম হওয়া। দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে, ভারী সফটওয়্যার চালালে বা গেম খেলার সময় কম্পিউটার হিট হয়। হঠাৎ মেশিন ধীর হয়ে যায় বা হ্যাং করে। কখনো আবার হুট করে বন্ধও হয়ে যায়। আসলে এর মূল কারণ হলো প্রসেসর ও গ্রাফিকস কার্ডে জমে থাকা তাপ। এই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে কুলিং ফ্যান ও হিটসিঙ্ক। যন্ত্রাংশ দুটি না থাকলে আধুনিক কম্পিউটার কয়েক মিনিটও সচল থাকতে পারত না।
কুলিং ফ্যানের কাজ হলো ভেতরে তৈরি হওয়া গরম বাতাস বাইরে বের করে দেওয়া এবং ঠান্ডা বাতাস ভেতরে টেনে আনা। ফ্যান ঘুরতে না পারলে বা ধুলাবালি জমলে প্রসেসর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়, যার ফলে কাজ ধীর হয়ে পড়ে। বারবার হ্যাং হয়, এমনকি মাদারবোর্ড পর্যন্ত নষ্ট হতে পারে। তাই নিয়মিত ফ্যান পরিষ্কার করা জরুরি। অনেকে জানেন না—একটি ফ্যানের সামান্য ধুলাবালিই তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বাড়িয়ে দিতে পারে। আর এই কয়েক ডিগ্রিই হতে পারে বড় ক্ষতির সূচনা।
অন্যদিকে, হিটসিঙ্ক হলো তাপ নিয়ন্ত্রণের মূল নায়ক। এটি সাধারণত অ্যালুমিনিয়াম বা কপার ধাতুর তৈরি, যার ভেতরে ছোট ছোট পাখনার মতো ফিন থাকে। প্রসেসর থেকে উৎপন্ন তাপ হিটসিঙ্ক শোষণ করে সেই ফিনের মাধ্যমে চারপাশের বাতাসে ছড়িয়ে দেয়। এরপর কুলিং ফ্যান সেই গরম বাতাস দ্রুত বাইরে বের করে দেয়। এই সমন্বয় না হলে প্রসেসরের ভেতরে মুহূর্তের মধ্যে বিপজ্জনক তাপ জমে যেত এবং স্থায়ী ক্ষতি হতো।
শুধু হার্ডওয়্যারই নয়, সফটওয়্যার ব্যবহারের অভ্যাসও কম্পিউটারের তাপমাত্রায় প্রভাব ফেলে। একসঙ্গে অনেক অ্যাপ খোলা, ব্যাকগ্রাউন্ডে অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম চালানো কিংবা ভাইরাস-আক্রান্ত সফটওয়্যার কম্পিউটারকে অতিরিক্ত চাপ দেয়। এর ফলে প্রসেসর বেশি কাজ করে এবং দ্রুত গরম হয়। তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ রাখা, নিয়মিত অ্যান্টিভাইরাস আপডেট করা এবং সিস্টেম ক্লিনআপ করাও সমান জরুরি।
গেমিং বা গ্রাফিকসের মতো ভারী কাজের সময় সাধারণ ফ্যান ও হিটসিঙ্ক অনেক সময় যথেষ্ট হয় না। এ জন্য এখন অনেকেই কুলিং প্যাড, অতিরিক্ত কেস ফ্যান কিংবা উন্নত লিকুইড কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করেন। বিশেষ করে লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি দ্রুত তাপ শোষণ করে প্রসেসরকে ঠান্ডা রাখে, যা গেমার এবং হাই-অ্যান্ড ব্যবহারকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
তবে শুধু প্রযুক্তি নয়, কিছু ছোটখাটো সচেতনতাও কম্পিউটারকে অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। যেমন—ল্যাপটপ কখনো বিছানা বা কুশনের ওপর রাখা উচিত নয়, বরং সমতল শক্ত পৃষ্ঠে রাখা উচিত। কারণ নরম জায়গায় ভেন্ট বন্ধ হয়ে যায়, বাতাস বের হতে পারে না। একইভাবে ডেস্কটপের কেস এমনভাবে রাখতে হবে, যাতে চারপাশে বাতাস চলাচল করতে পারে।
সবশেষে বলা যায়, অতিরিক্ত তাপ কম্পিউটারের জন্য নিঃশব্দ ঘাতক। ধীরে ধীরে এটি শুধু গতি কমায় না, বরং প্রসেসর, গ্রাফিকস কার্ড, র্যাম এমনকি মাদারবোর্ড পর্যন্ত নষ্ট করে দিতে পারে। তাই নিয়মিত ফ্যান ও হিটসিঙ্ক পরিষ্কার রাখা, উন্নত কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা এবং সচেতনভাবে কম্পিউটার চালানোই এর দীর্ঘায়ুর মূল চাবিকাঠি। সামান্য যত্নই পারে আপনার কম্পিউটারকে অতিরিক্ত গরম থেকে রক্ষা করতে এবং দীর্ঘদিন নিরবচ্ছিন্ন সঙ্গী করে রাখতে।
সংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
১৬ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
২ ঘণ্টা আগেসমাবেশে জোবায়েদের সহপাঠী সজল খান বলেন, “পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা ও মাহির নয়, এই ঘটনায় বর্ষার পরিবারও জড়িত। গতকাল আদালতে আমাদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ছিল অমানবিক। আমাদের এক বান্ধবী ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
২ ঘণ্টা আগে