নাদিম নওশাদ
বর্তমান যুগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। প্রযুক্তির ছোঁয়া যেমন শিক্ষা, গবেষণা, ব্যবসা কিংবা বিনোদন—সবক্ষেত্রেই পৌঁছেছে, তার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এআইয়ের ব্যবহার। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আমরা কি সত্যিই জানি এআই থেকে কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে কী করতে হয়?
এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে কত ভালো করে এআইকে আপনি কী চান, তা বোঝাতে পারছেন। এআইকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজন ভালো প্রম্পট (এআইকে দেওয়া নির্দেশনা) লিখতে জানা।
এআই আসলে মানুষের নির্দেশনার ওপর ভিত্তি করেই কাজ করে। আপনি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, এআই সেভাবেই উত্তর তৈরি করে। এ জন্য কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে সঠিক পদ্ধতিতে প্রম্পটকে সাজাতে হবে। প্রম্পট লেখার কৌশল না জানলে ফল হবে সাধারণ মানের। আশানুযায়ী ফল বা খুব ভালোমানের আউটপুট পাওয়ার জন্য প্রম্পটগুলো লিখতে হবে কৌশলে। তাহলেই উত্তরগুলো হবে সুনির্দিষ্ট ও মানসম্মত।
প্রম্পট লেখার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমেই আসে, আপনি কোন ভূমিকায় এআইকে দেখতে চান। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি যদি এআইকে একটি ছবি আঁকতে বলেন, তাহলে আপনি বলতে পারেন ‘তুমি একজন চিত্রশিল্পীর মতো ব্যবহার করো’। তাহলে এআই একজন চিত্রশিল্পীর ভঙ্গিতে তার উত্তর সাজাবে। আবার যদি বলা হয়, ‘তুমি একজন সাংবাদিকের মতো ব্যবহার করো’ তবে সে সাংবাদিকের মতো করে তার উত্তর তৈরি করবে। সুতরাং, আমরা কোন ভূমিকায় এআইকে দেখতে চাই, সেটি যদি প্রম্পটে লিখে দিই, তবে আমরা আশানুরূপ ফল পেতে পারি।
পরবর্তী ধাপ হলো কাজের ধরন নির্ধারণ করে দেওয়া। আমরা যত স্পষ্টভাবে কাজের ধরন নির্ধারণ করে দেব, এআই তত ভালো করে কাজটা করতে পারবে। ওপরে ব্যবহৃত উদাহরণকেই ধরা যাক। ধরুন আপনি কোনো ছবি আঁকবেন। এআইকে বললেন চিত্রশিল্পীর মতো ব্যবহার করতে। এখন, এআই আপনাকে ক্যানভাসে আঁকা ছবিও দিতে পারে, আবার পেনসিলে আঁকা ছবিও দিতে পারে। কিন্তু আপনি যদি বলেন, ‘তুমি একজন চিত্রশিল্পীর মতো ব্যবহার করো এবং একটি পেনসিলে আঁকা ছবি তৈরি করো’ কিংবা ‘তুমি একজন সাংবাদিকের মতো ব্যবহার করো । একটি প্রতিবেদন তৈরি করো। তাহলে এআই বুঝবে তাকে আসলে কী করতে হবে। সুতরাং কাজের ধরন স্পষ্ট করে দিলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সহজ হয়।’
এরপর আসে পাঠক। লেখাটির পাঠক কারা হবে বা কাদের জন্য লেখা হবে, তা নির্ধারণ করে দিলে এআই শব্দচয়ন বা লেখার উপস্থাপনা সেভাবেই করবে। যেমন : আমরা বলতে পারি, ‘তুমি একজন চিত্রশিল্পীর মতো ব্যবহার করো এবং একটি পেনসিলে আঁকা ছবি তৈরি করো, যেটি হবে শিক্ষার্থীদের জন্য’ বা ‘তুমি একজন সাংবাদিকের মতো ব্যবহার করো এবং একটি প্রতিবেদন তৈরি করো, যেটির পাঠক সাধারণ জনগণ।’ তাহলে এআই উল্লিখিত পাঠককে কেন্দ্র করে তার ভাষা, ভঙ্গি ও উপস্থাপনা সেই অনুযায়ী সাজিয়ে উত্তর দিতে পারবে।
চতুর্থ ধাপ হলো প্রেক্ষাপট। প্রেক্ষাপট না থাকলে উত্তর হয় অস্পষ্ট। যেমন : আগের উদাহরণে আমরা শুধু বলেছি একটি ছবি আঁকো বা একটি প্রতিবেদন লেখো। কিন্তু ছবিতে বা প্রতিবেদনে কী কী বিষয় থাকবে, কোন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে লেখাটা সাজাতে হবে, তা না বললে এআই তার নিজের মতো করে কনটেন্ট তৈরি করবে, যা আমাদের পছন্দমতো নাও হতে পারে। বরং আমরা এভাবে বলতে পারি, ‘তুমি একজন চিত্রশিল্পীর মতো ব্যবহার করো এবং একটি পেনসিলে আঁকা ছবি তৈরি করো, যেটি হবে শিক্ষার্থীদের জন্য, যেখানে একজন শিক্ষক ক্লাসে ছাত্রদের পড়াচ্ছেন।’
এ ছাড়া আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ফরম্যাটিং অর্থাৎ, লেখা ব্লগ হবে, তালিকা হবে, নাকি প্রশ্নোত্তর হবে, নাকি অন্যকিছু, তা নির্ধারণ করা। রেফারেন্স যুক্ত করা অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট তথ্যকে সংযুক্ত করা, যেন সেখান থেকে এআই তথ্য নিতে পারে।
প্রযুক্তিনির্ভর পৃথিবীতে এআইয়ের দক্ষতা অপরিহার্য। তাই ভালো প্রম্পট লেখার কৌশল আয়ত্ত করা জরুরি। কেননা, এটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে এআইয়ের পূর্ণ কার্যকারিতা থেকে আমরা বঞ্চিত হব।
বর্তমান যুগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। প্রযুক্তির ছোঁয়া যেমন শিক্ষা, গবেষণা, ব্যবসা কিংবা বিনোদন—সবক্ষেত্রেই পৌঁছেছে, তার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এআইয়ের ব্যবহার। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আমরা কি সত্যিই জানি এআই থেকে কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে কী করতে হয়?
এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে কত ভালো করে এআইকে আপনি কী চান, তা বোঝাতে পারছেন। এআইকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজন ভালো প্রম্পট (এআইকে দেওয়া নির্দেশনা) লিখতে জানা।
এআই আসলে মানুষের নির্দেশনার ওপর ভিত্তি করেই কাজ করে। আপনি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, এআই সেভাবেই উত্তর তৈরি করে। এ জন্য কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে সঠিক পদ্ধতিতে প্রম্পটকে সাজাতে হবে। প্রম্পট লেখার কৌশল না জানলে ফল হবে সাধারণ মানের। আশানুযায়ী ফল বা খুব ভালোমানের আউটপুট পাওয়ার জন্য প্রম্পটগুলো লিখতে হবে কৌশলে। তাহলেই উত্তরগুলো হবে সুনির্দিষ্ট ও মানসম্মত।
প্রম্পট লেখার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমেই আসে, আপনি কোন ভূমিকায় এআইকে দেখতে চান। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি যদি এআইকে একটি ছবি আঁকতে বলেন, তাহলে আপনি বলতে পারেন ‘তুমি একজন চিত্রশিল্পীর মতো ব্যবহার করো’। তাহলে এআই একজন চিত্রশিল্পীর ভঙ্গিতে তার উত্তর সাজাবে। আবার যদি বলা হয়, ‘তুমি একজন সাংবাদিকের মতো ব্যবহার করো’ তবে সে সাংবাদিকের মতো করে তার উত্তর তৈরি করবে। সুতরাং, আমরা কোন ভূমিকায় এআইকে দেখতে চাই, সেটি যদি প্রম্পটে লিখে দিই, তবে আমরা আশানুরূপ ফল পেতে পারি।
পরবর্তী ধাপ হলো কাজের ধরন নির্ধারণ করে দেওয়া। আমরা যত স্পষ্টভাবে কাজের ধরন নির্ধারণ করে দেব, এআই তত ভালো করে কাজটা করতে পারবে। ওপরে ব্যবহৃত উদাহরণকেই ধরা যাক। ধরুন আপনি কোনো ছবি আঁকবেন। এআইকে বললেন চিত্রশিল্পীর মতো ব্যবহার করতে। এখন, এআই আপনাকে ক্যানভাসে আঁকা ছবিও দিতে পারে, আবার পেনসিলে আঁকা ছবিও দিতে পারে। কিন্তু আপনি যদি বলেন, ‘তুমি একজন চিত্রশিল্পীর মতো ব্যবহার করো এবং একটি পেনসিলে আঁকা ছবি তৈরি করো’ কিংবা ‘তুমি একজন সাংবাদিকের মতো ব্যবহার করো । একটি প্রতিবেদন তৈরি করো। তাহলে এআই বুঝবে তাকে আসলে কী করতে হবে। সুতরাং কাজের ধরন স্পষ্ট করে দিলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সহজ হয়।’
এরপর আসে পাঠক। লেখাটির পাঠক কারা হবে বা কাদের জন্য লেখা হবে, তা নির্ধারণ করে দিলে এআই শব্দচয়ন বা লেখার উপস্থাপনা সেভাবেই করবে। যেমন : আমরা বলতে পারি, ‘তুমি একজন চিত্রশিল্পীর মতো ব্যবহার করো এবং একটি পেনসিলে আঁকা ছবি তৈরি করো, যেটি হবে শিক্ষার্থীদের জন্য’ বা ‘তুমি একজন সাংবাদিকের মতো ব্যবহার করো এবং একটি প্রতিবেদন তৈরি করো, যেটির পাঠক সাধারণ জনগণ।’ তাহলে এআই উল্লিখিত পাঠককে কেন্দ্র করে তার ভাষা, ভঙ্গি ও উপস্থাপনা সেই অনুযায়ী সাজিয়ে উত্তর দিতে পারবে।
চতুর্থ ধাপ হলো প্রেক্ষাপট। প্রেক্ষাপট না থাকলে উত্তর হয় অস্পষ্ট। যেমন : আগের উদাহরণে আমরা শুধু বলেছি একটি ছবি আঁকো বা একটি প্রতিবেদন লেখো। কিন্তু ছবিতে বা প্রতিবেদনে কী কী বিষয় থাকবে, কোন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে লেখাটা সাজাতে হবে, তা না বললে এআই তার নিজের মতো করে কনটেন্ট তৈরি করবে, যা আমাদের পছন্দমতো নাও হতে পারে। বরং আমরা এভাবে বলতে পারি, ‘তুমি একজন চিত্রশিল্পীর মতো ব্যবহার করো এবং একটি পেনসিলে আঁকা ছবি তৈরি করো, যেটি হবে শিক্ষার্থীদের জন্য, যেখানে একজন শিক্ষক ক্লাসে ছাত্রদের পড়াচ্ছেন।’
এ ছাড়া আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ফরম্যাটিং অর্থাৎ, লেখা ব্লগ হবে, তালিকা হবে, নাকি প্রশ্নোত্তর হবে, নাকি অন্যকিছু, তা নির্ধারণ করা। রেফারেন্স যুক্ত করা অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট তথ্যকে সংযুক্ত করা, যেন সেখান থেকে এআই তথ্য নিতে পারে।
প্রযুক্তিনির্ভর পৃথিবীতে এআইয়ের দক্ষতা অপরিহার্য। তাই ভালো প্রম্পট লেখার কৌশল আয়ত্ত করা জরুরি। কেননা, এটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে এআইয়ের পূর্ণ কার্যকারিতা থেকে আমরা বঞ্চিত হব।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
১ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
২ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৪ ঘণ্টা আগে