আরিফ বিন নজরুল
আধুনিক অফিস মানে শুধু টেবিল-চেয়ার বা কাগজের ফাইল নয়। এখন অফিসের বড় অংশই প্রযুক্তিনির্ভর। দিনে দিনে কাজের ধরন পাল্টে যাচ্ছে। দলগত কাজ, রিমোট অফিস, অনলাইন মিটিং, শেয়ারড ফাইল ও ডেডলাইন মেনে কাজ শেষ করা—সবকিছুই এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু কাজ যত বাড়ছে, ততই বেড়েছে চাপ ও বিশৃঙ্খলার ঝুঁকি।
ঠিক কোন কাজ কার দায়িত্বে, কোন প্রজেক্ট কবে শেষ করতে হবে, কিংবা টিমের সবাই কি একই তথ্য পাচ্ছে—এসব নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হলে উৎপাদনশীলতা মারাত্মকভাবে কমে যায়। এই সমস্যার সমাধানেই এসেছে কিছু বিশেষ অ্যাপ, যেগুলো শুধু অফিস নয়, ফ্রিল্যান্সার বা স্টার্টআপ টিমের জন্যও দারুণ কার্যকর। এর মধ্যে Trello, Notion আর Slack এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়।
Trello কাজের ভিজ্যুয়াল বোর্ড। ভাবুন, আপনার অফিসে অনেকগুলো ছোট-বড় প্রজেক্ট চলছে। একেকটা প্রজেক্টের জন্য আলাদা আলাদা কাজ করতে হচ্ছে। এগুলো যদি কাগজে লিখে রাখা হয়, অনেক সময় তালগোল পাকিয়ে যায়। Trello ঠিক এই জটিলতাকে সহজ করে দেয়। এখানে প্রতিটি কাজ কার্ড আকারে সাজানো হয়। যেগুলোকে ‘To Do’, ‘Doing’ ও ‘Done’—এই তিন ধাপে রাখা যায়। এক নজরে বোঝা যায়, কোন কাজ এখনো বাকি, কোনটা চলছে, আর কোনটা শেষ হয়েছে। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং ক্যাম্পেইন, এমনকি ইভেন্ট আয়োজন—সবকিছুর জন্য Trello কার্যকর। টিম মেম্বাররা আলাদা আলাদা করে তাদের কার্ড আপডেট করলে বস কিংবা টিম লিডারও সহজেই প্রগ্রেস ট্র্যাক করতে পারেন।
Notion একসঙ্গে নোট, ডকুমেন্ট আর ডেটাবেস। অফিসে প্রতিদিন হাজারো তথ্য তৈরি হয়—মিটিং নোট, রিপোর্ট, গবেষণার তথ্য, কনটেন্ট আইডিয়া কিংবা অফিস পলিসি। এগুলো যদি আলাদা আলাদা জায়গায় ছড়িয়ে থাকে, খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। Notion এই সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে। একে বলা যায়, ‘অল-ইন-ওয়ান ওয়ার্কস্পেস।’ এখানে নোট নেওয়া যায়, টেবিল বানানো যায় এবং প্রজেক্টের রোডম্যাপ তৈরি করা যায়। এমনকি পুরো অফিসের জন্য উইকি আকারে একটি জ্ঞানভান্ডারও রাখা যায়। অনেক কোম্পানি তাদের অফিশিয়াল নলেজবেইস বা গাইডলাইন Notion-এ সংরক্ষণ করে, যাতে নতুন কর্মীরা যোগ দিয়েই প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে নিতে পারেন।
Slack স্মার্ট টিম কমিউনিকেশন টুল। অফিসে সফলতার বড় অংশই নির্ভর করে যোগাযোগের ওপর। কিন্তু ইমেইলে প্রতিদিন এত বার্তা আসে যে গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন হারিয়ে যায়। Slack সেই জটিলতাকে কমিয়েছে। এখানে প্রতিটি প্রজেক্ট বা টিমের জন্য আলাদা ‘চ্যানেল’ তৈরি করা যায়। ফলে মার্কেটিং টিমের কথোপকথন ডেভেলপমেন্ট টিমের সঙ্গে মিশে যায় না। শুধু টেক্সট চ্যাট নয়, Slack-এ ফাইল শেয়ার, ভয়েস ও ভিডিও কলও করা যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি Google Drive, Zoom, Trello, Asana, Notion-সহ নানা টুলের সঙ্গে ইন্টিগ্রেট করা যায়। অর্থাৎ এক অ্যাপের ভেতরেই সবকিছু ম্যানেজ করা সম্ভব।
দেশের অফিসের ক্ষেত্রে ব্যবহারিক উদাহরণ হলো এখন ঢাকার অনেক স্টার্টআপ তাদের প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে Trello ব্যবহার করছে। বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলো ক্লায়েন্টের ক্যাম্পেইন প্ল্যান করার জন্য Trello-কে সবচেয়ে ভরসাযোগ্য টুল হিসেবে নিচ্ছে। আইটি কোম্পানিগুলো Notion-এ তাদের কোড ডকুমেন্টেশন, প্রজেক্ট আপডেট আর নলেজ শেয়ার করছে।
আবার আউটসোর্সিং কোম্পানিগুলো Slack-এর মাধ্যমে বিদেশি ক্লায়েন্ট ও টিমের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ রাখছে। মহামারির সময় অনেক প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি Slack ও Notion-এর ওপর নির্ভর করে রিমোট অফিস চালিয়েছে।
সারসংক্ষেপে বলা যায়, Trello কাজকে ভিজ্যুয়ালি সাজায়। Notion সব তথ্য এক জায়গায় গুছিয়ে রাখে। আর Slack টিমের যোগাযোগ সহজ করে। এই তিনটি অ্যাপ একসঙ্গে ব্যবহার করলে অফিসের উৎপাদনশীলতা অনেক বেড়ে যায়। আর কাজের বিশৃঙ্খলা কমে আসে।
আধুনিক অফিস মানে শুধু টেবিল-চেয়ার বা কাগজের ফাইল নয়। এখন অফিসের বড় অংশই প্রযুক্তিনির্ভর। দিনে দিনে কাজের ধরন পাল্টে যাচ্ছে। দলগত কাজ, রিমোট অফিস, অনলাইন মিটিং, শেয়ারড ফাইল ও ডেডলাইন মেনে কাজ শেষ করা—সবকিছুই এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু কাজ যত বাড়ছে, ততই বেড়েছে চাপ ও বিশৃঙ্খলার ঝুঁকি।
ঠিক কোন কাজ কার দায়িত্বে, কোন প্রজেক্ট কবে শেষ করতে হবে, কিংবা টিমের সবাই কি একই তথ্য পাচ্ছে—এসব নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হলে উৎপাদনশীলতা মারাত্মকভাবে কমে যায়। এই সমস্যার সমাধানেই এসেছে কিছু বিশেষ অ্যাপ, যেগুলো শুধু অফিস নয়, ফ্রিল্যান্সার বা স্টার্টআপ টিমের জন্যও দারুণ কার্যকর। এর মধ্যে Trello, Notion আর Slack এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়।
Trello কাজের ভিজ্যুয়াল বোর্ড। ভাবুন, আপনার অফিসে অনেকগুলো ছোট-বড় প্রজেক্ট চলছে। একেকটা প্রজেক্টের জন্য আলাদা আলাদা কাজ করতে হচ্ছে। এগুলো যদি কাগজে লিখে রাখা হয়, অনেক সময় তালগোল পাকিয়ে যায়। Trello ঠিক এই জটিলতাকে সহজ করে দেয়। এখানে প্রতিটি কাজ কার্ড আকারে সাজানো হয়। যেগুলোকে ‘To Do’, ‘Doing’ ও ‘Done’—এই তিন ধাপে রাখা যায়। এক নজরে বোঝা যায়, কোন কাজ এখনো বাকি, কোনটা চলছে, আর কোনটা শেষ হয়েছে। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং ক্যাম্পেইন, এমনকি ইভেন্ট আয়োজন—সবকিছুর জন্য Trello কার্যকর। টিম মেম্বাররা আলাদা আলাদা করে তাদের কার্ড আপডেট করলে বস কিংবা টিম লিডারও সহজেই প্রগ্রেস ট্র্যাক করতে পারেন।
Notion একসঙ্গে নোট, ডকুমেন্ট আর ডেটাবেস। অফিসে প্রতিদিন হাজারো তথ্য তৈরি হয়—মিটিং নোট, রিপোর্ট, গবেষণার তথ্য, কনটেন্ট আইডিয়া কিংবা অফিস পলিসি। এগুলো যদি আলাদা আলাদা জায়গায় ছড়িয়ে থাকে, খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। Notion এই সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে। একে বলা যায়, ‘অল-ইন-ওয়ান ওয়ার্কস্পেস।’ এখানে নোট নেওয়া যায়, টেবিল বানানো যায় এবং প্রজেক্টের রোডম্যাপ তৈরি করা যায়। এমনকি পুরো অফিসের জন্য উইকি আকারে একটি জ্ঞানভান্ডারও রাখা যায়। অনেক কোম্পানি তাদের অফিশিয়াল নলেজবেইস বা গাইডলাইন Notion-এ সংরক্ষণ করে, যাতে নতুন কর্মীরা যোগ দিয়েই প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে নিতে পারেন।
Slack স্মার্ট টিম কমিউনিকেশন টুল। অফিসে সফলতার বড় অংশই নির্ভর করে যোগাযোগের ওপর। কিন্তু ইমেইলে প্রতিদিন এত বার্তা আসে যে গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন হারিয়ে যায়। Slack সেই জটিলতাকে কমিয়েছে। এখানে প্রতিটি প্রজেক্ট বা টিমের জন্য আলাদা ‘চ্যানেল’ তৈরি করা যায়। ফলে মার্কেটিং টিমের কথোপকথন ডেভেলপমেন্ট টিমের সঙ্গে মিশে যায় না। শুধু টেক্সট চ্যাট নয়, Slack-এ ফাইল শেয়ার, ভয়েস ও ভিডিও কলও করা যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি Google Drive, Zoom, Trello, Asana, Notion-সহ নানা টুলের সঙ্গে ইন্টিগ্রেট করা যায়। অর্থাৎ এক অ্যাপের ভেতরেই সবকিছু ম্যানেজ করা সম্ভব।
দেশের অফিসের ক্ষেত্রে ব্যবহারিক উদাহরণ হলো এখন ঢাকার অনেক স্টার্টআপ তাদের প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে Trello ব্যবহার করছে। বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলো ক্লায়েন্টের ক্যাম্পেইন প্ল্যান করার জন্য Trello-কে সবচেয়ে ভরসাযোগ্য টুল হিসেবে নিচ্ছে। আইটি কোম্পানিগুলো Notion-এ তাদের কোড ডকুমেন্টেশন, প্রজেক্ট আপডেট আর নলেজ শেয়ার করছে।
আবার আউটসোর্সিং কোম্পানিগুলো Slack-এর মাধ্যমে বিদেশি ক্লায়েন্ট ও টিমের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ রাখছে। মহামারির সময় অনেক প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি Slack ও Notion-এর ওপর নির্ভর করে রিমোট অফিস চালিয়েছে।
সারসংক্ষেপে বলা যায়, Trello কাজকে ভিজ্যুয়ালি সাজায়। Notion সব তথ্য এক জায়গায় গুছিয়ে রাখে। আর Slack টিমের যোগাযোগ সহজ করে। এই তিনটি অ্যাপ একসঙ্গে ব্যবহার করলে অফিসের উৎপাদনশীলতা অনেক বেড়ে যায়। আর কাজের বিশৃঙ্খলা কমে আসে।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
৬ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৭ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৮ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৯ ঘণ্টা আগে