• facebook
  • fb_group
  • twitter
  • tiktok
  • whatsapp
  • pinterest
  • youtube
  • linkedin
  • instagram
  • google
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বাণিজ্য
সারা দেশ
বিশ্ব
খেলা
আইন-আদালত
ধর্ম ও ইসলাম
বিনোদন
ফিচার
আমার দেশ পরিবার
ইপেপার
আমার দেশযোগাযোগশর্তাবলি ও নীতিমালাগোপনীয়তা নীতিডিএমসিএ
facebookfb_grouptwittertiktokwhatsapppinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার দেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক, মাহমুদুর রহমান 
মাহমুদুর রহমান কর্তৃক ঢাকা ট্রেড সেন্টার (৮ম ফ্লোর), ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫ থেকে প্রকাশিত এবং আমার দেশ পাবলিকেশন লিমিটেড প্রেস, ৪৪৬/সি ও ৪৪৬/ডি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ: ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।ফোন: ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল: info@dailyamardesh.comবার্তা: ফোন: ০৯৬৬৬-৭৪৭৪০০। ই-মেইল: news@dailyamardesh.comবিজ্ঞাপন: ফোন: +৮৮০-১৭১৫-০২৫৪৩৪ । ই-মেইল: ad@dailyamardesh.comসার্কুলেশন: ফোন: +৮৮০-০১৮১৯-৮৭৮৬৮৭ । ই-মেইল: circulation@dailyamardesh.com
ওয়েব মেইল
কনভার্টারআর্কাইভবিজ্ঞাপনসাইটম্যাপ
> ফিচার
> তথ্য-প্রযুক্তি

আন্ডারসি বা সাবমেরিন ক্যাবল

মোখতারুল ইসলাম মিলন
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ১৯
logo
আন্ডারসি বা সাবমেরিন ক্যাবল

মোখতারুল ইসলাম মিলন

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ১৯

আপনি যখন ফেসবুকে স্ক্রল করছেন বা ইউটিউবে ভিডিও দেখছেন অথবা লন্ডনে থাকা বন্ধুর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছেন। তখন কি কখনো ভেবেছেন, এই ডেটা কীভাবে মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আপনার কাছে পৌঁছাচ্ছে? অনেকেই মনে করেন, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এসব হয়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বিশ্বের প্রায় ৯৫-৯৯ শতাংশ আন্তর্জাতিক ডেটা ট্রান্সমিশন হয় সমুদ্রের তলদেশে বিছানো বিশেষ তারের মাধ্যমে। যাকে বলা হয় আন্ডারসি ক্যাবল বা সাবমেরিন ক্যাবল। এই অদৃশ্য প্রযুক্তি আধুনিক বিশ্বের মেরুদণ্ড। ইন্টারনেট, আন্তর্জাতিক ফোন কল, ব্যাংকিং লেনদেন, স্টক মার্কেট সবকিছুই নির্ভর করে এই সমুদ্রের তলদেশের তারের নেটওয়ার্কের ওপর।

আন্ডারসি ক্যাবলের ইতিহাস অনেক পুরোনো। ১৮৫০-এর দশকে প্রথম টেলিগ্রাফ ক্যাবল বিছানো হয় ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে ইংলিশ চ্যানেলের তলদেশে। এটি ছিল যুগান্তকারী উদ্ভাবন, যা দুই দেশের মধ্যে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব করেছিল। ১৮৫৮ সালে আরো বড় সাফল্য আসে, যখন আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে প্রথম ট্রান্স-আটলান্টিক টেলিগ্রাফ ক্যাবল স্থাপন করা হয় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে। যদিও এটি মাত্র কয়েক সপ্তাহ টিকেছিল। তবু এটি প্রমাণ করেছিল যে মহাসাগর পার হয়ে যোগাযোগ সম্ভব। ১৮৬৬ সালে স্থায়ী ক্যাবল স্থাপন করা হয়, যা সফলভাবে কাজ করে। বিংশ শতাব্দীতে টেলিফোন ক্যাবল এবং পরে ১৯৮০-৯০-এর দশকে ফাইবার অপটিক ক্যাবল এই প্রযুক্তিতে বিপ্লব ঘটায়। আজকের আন্ডারসি ক্যাবলগুলো অত্যাধুনিক ফাইবার অপটিক প্রযুক্তিতে তৈরি, যা আলোর গতিতে ডেটা পরিবহন করে।

যেভাবে কাজ করে

আন্ডারসি ক্যাবলের মূল উপাদান হলো ফাইবার অপটিক তার। এই তারের ভেতর দিয়ে আলোর সিগন্যাল প্রবাহিত হয়, যা ডিজিটাল ডেটা বহন করে। একটি ক্যাবলে সাধারণত চার থেকে আটটি ফাইবার অপটিক তার থাকে। যদিও আধুনিক ক্যাবলে আরো বেশি থাকতে পারে। ফাইবার অপটিক তারের চারপাশে থাকে একাধিক সুরক্ষামূলক স্তর। ভেতরের দিক থেকে বাইরের দিকে এগুলো হলোÑফাইবার অপটিক কোর, প্লাস্টিক আবরণ, তামার নল, যা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে রিপিটারগুলোয়, অ্যালুমিনিয়াম জলরোধী আবরণ, পলিকার্বনেট স্তর এবং সবচেয়ে বাইরে স্টিলের তার, যা শক্তি ও সুরক্ষা দেয়। গভীর সমুদ্রে ক্যাবল পাতলা হয়, কারণ সেখানে ক্ষতির ঝুঁকি কম। কিন্তু উপকূলের কাছে যেখানে জাহাজের নোঙর। মাছ ধরার জাল বা অন্যান্য কার্যক্রম হয়। সেখানে ক্যাবল অনেক মোটা ও শক্তিশালী করা হয়। ব্যাস, হতে পারে প্রায় ৭০ মিলিমিটার পর্যন্ত। প্রতি ৫০-১০০ কিলোমিটার দূরত্বে রিপিটার বা অ্যামপ্লিফায়ার বসানো হয়, যা সিগন্যালকে শক্তিশালী করে। এগুলো সমুদ্রের তলদেশেই থাকে এবং ক্যাবলের মধ্য দিয়ে আসা বিদ্যুৎ দিয়ে চলে। আধুনিক আন্ডারসি ক্যাবলের গতি অবিশ্বাস্য। একটি আধুনিক ক্যাবল প্রতি সেকেন্ডে ১০০ টেরাবিট বা তারও বেশি ডেটা পরিবহন করতে পারে। সহজ ভাষায়, এক সেকেন্ডে হাজারো HD মুভি পাঠানোর ক্ষমতা রয়েছে এই ক্যাবলগুলোর। ডেটা ট্রান্সফারের গতি প্রায় আলোর গতির কাছাকাছি। সেকেন্ডে প্রায় দুই লাখ কিলোমিটার। তাই নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডনে একটি ডেটা প্যাকেট পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ৬০-৭০ মিলিসেকেন্ড।

বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০০-৬০০টির মতো সক্রিয় আন্ডারসি ক্যাবল রয়েছে। যাদের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩ লাখ কিলোমিটারের বেশি। এটি পৃথিবীকে প্রায় ৩৫ বার প্যাঁচিয়ে ফেলার মতো দৈর্ঘ্য। প্রধান কিছু ক্যাবল রুট হলো আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে ইউরোপ-আমেরিকা। প্রশান্ত মহাসাগর পেরিয়ে এশিয়া-আমেরিকা এবং ভারত মহাসাগর পেরিয়ে এশিয়া-আফ্রিকা-ইউরোপ। কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্যাবল প্রজেক্ট যেমন : SEA-ME-WE (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ) সিরিজ, যা এশিয়া থেকে ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই ক্যাবলগুলোর মধ্যে SEA-ME-WE-3, SEA-ME-WE-4 এবং SEA-ME-WE-5 বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশের সংযোগ

বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি আন্ডারসি ক্যাবলের সঙ্গে সংযুক্ত। প্রথম সংযোগ আসে ২০০৬ সালে SEA-ME-WE-4 ক্যাবলের মাধ্যমে। যার ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে অবস্থিত। এই ক্যাবল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভারত, মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ফ্রান্স পর্যন্ত বিস্তৃত। মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২০,০০০ কিলোমিটার। পরে ২০১৭ সালে SEA-ME-WE-5 ক্যাবলের সঙ্গেও সংযোগ স্থাপিত হয়, যা আরো দ্রুত গতি ও অধিক ব্যান্ডউইথ ক্ষমতা প্রদান করে। এছাড়া বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে স্থলপথেও ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ কিনছে। এই আন্ডারসি ক্যাবল সংযোগের ফলে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতি ও মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশে এই সংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মাহমুদুর রহমান কর্তৃক প্রকাশিত এবং আল-ফালাহ প্রিন্টিং প্রেস, ৪২৩, এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭ থেকে এবং অস্থায়ীভাবে মিডিয়া প্রিন্টার্স লি. ৪৪৬/এইচ, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ : ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম এভিণিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। পিএবিএক্স : ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল : info@dailyamardesh.com

আপনি যখন ফেসবুকে স্ক্রল করছেন বা ইউটিউবে ভিডিও দেখছেন অথবা লন্ডনে থাকা বন্ধুর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছেন। তখন কি কখনো ভেবেছেন, এই ডেটা কীভাবে মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আপনার কাছে পৌঁছাচ্ছে? অনেকেই মনে করেন, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এসব হয়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বিশ্বের প্রায় ৯৫-৯৯ শতাংশ আন্তর্জাতিক ডেটা ট্রান্সমিশন হয় সমুদ্রের তলদেশে বিছানো বিশেষ তারের মাধ্যমে। যাকে বলা হয় আন্ডারসি ক্যাবল বা সাবমেরিন ক্যাবল। এই অদৃশ্য প্রযুক্তি আধুনিক বিশ্বের মেরুদণ্ড। ইন্টারনেট, আন্তর্জাতিক ফোন কল, ব্যাংকিং লেনদেন, স্টক মার্কেট সবকিছুই নির্ভর করে এই সমুদ্রের তলদেশের তারের নেটওয়ার্কের ওপর।

আন্ডারসি ক্যাবলের ইতিহাস অনেক পুরোনো। ১৮৫০-এর দশকে প্রথম টেলিগ্রাফ ক্যাবল বিছানো হয় ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে ইংলিশ চ্যানেলের তলদেশে। এটি ছিল যুগান্তকারী উদ্ভাবন, যা দুই দেশের মধ্যে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব করেছিল। ১৮৫৮ সালে আরো বড় সাফল্য আসে, যখন আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে প্রথম ট্রান্স-আটলান্টিক টেলিগ্রাফ ক্যাবল স্থাপন করা হয় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে। যদিও এটি মাত্র কয়েক সপ্তাহ টিকেছিল। তবু এটি প্রমাণ করেছিল যে মহাসাগর পার হয়ে যোগাযোগ সম্ভব। ১৮৬৬ সালে স্থায়ী ক্যাবল স্থাপন করা হয়, যা সফলভাবে কাজ করে। বিংশ শতাব্দীতে টেলিফোন ক্যাবল এবং পরে ১৯৮০-৯০-এর দশকে ফাইবার অপটিক ক্যাবল এই প্রযুক্তিতে বিপ্লব ঘটায়। আজকের আন্ডারসি ক্যাবলগুলো অত্যাধুনিক ফাইবার অপটিক প্রযুক্তিতে তৈরি, যা আলোর গতিতে ডেটা পরিবহন করে।

বিজ্ঞাপন

যেভাবে কাজ করে

আন্ডারসি ক্যাবলের মূল উপাদান হলো ফাইবার অপটিক তার। এই তারের ভেতর দিয়ে আলোর সিগন্যাল প্রবাহিত হয়, যা ডিজিটাল ডেটা বহন করে। একটি ক্যাবলে সাধারণত চার থেকে আটটি ফাইবার অপটিক তার থাকে। যদিও আধুনিক ক্যাবলে আরো বেশি থাকতে পারে। ফাইবার অপটিক তারের চারপাশে থাকে একাধিক সুরক্ষামূলক স্তর। ভেতরের দিক থেকে বাইরের দিকে এগুলো হলোÑফাইবার অপটিক কোর, প্লাস্টিক আবরণ, তামার নল, যা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে রিপিটারগুলোয়, অ্যালুমিনিয়াম জলরোধী আবরণ, পলিকার্বনেট স্তর এবং সবচেয়ে বাইরে স্টিলের তার, যা শক্তি ও সুরক্ষা দেয়। গভীর সমুদ্রে ক্যাবল পাতলা হয়, কারণ সেখানে ক্ষতির ঝুঁকি কম। কিন্তু উপকূলের কাছে যেখানে জাহাজের নোঙর। মাছ ধরার জাল বা অন্যান্য কার্যক্রম হয়। সেখানে ক্যাবল অনেক মোটা ও শক্তিশালী করা হয়। ব্যাস, হতে পারে প্রায় ৭০ মিলিমিটার পর্যন্ত। প্রতি ৫০-১০০ কিলোমিটার দূরত্বে রিপিটার বা অ্যামপ্লিফায়ার বসানো হয়, যা সিগন্যালকে শক্তিশালী করে। এগুলো সমুদ্রের তলদেশেই থাকে এবং ক্যাবলের মধ্য দিয়ে আসা বিদ্যুৎ দিয়ে চলে। আধুনিক আন্ডারসি ক্যাবলের গতি অবিশ্বাস্য। একটি আধুনিক ক্যাবল প্রতি সেকেন্ডে ১০০ টেরাবিট বা তারও বেশি ডেটা পরিবহন করতে পারে। সহজ ভাষায়, এক সেকেন্ডে হাজারো HD মুভি পাঠানোর ক্ষমতা রয়েছে এই ক্যাবলগুলোর। ডেটা ট্রান্সফারের গতি প্রায় আলোর গতির কাছাকাছি। সেকেন্ডে প্রায় দুই লাখ কিলোমিটার। তাই নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডনে একটি ডেটা প্যাকেট পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ৬০-৭০ মিলিসেকেন্ড।

বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০০-৬০০টির মতো সক্রিয় আন্ডারসি ক্যাবল রয়েছে। যাদের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩ লাখ কিলোমিটারের বেশি। এটি পৃথিবীকে প্রায় ৩৫ বার প্যাঁচিয়ে ফেলার মতো দৈর্ঘ্য। প্রধান কিছু ক্যাবল রুট হলো আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে ইউরোপ-আমেরিকা। প্রশান্ত মহাসাগর পেরিয়ে এশিয়া-আমেরিকা এবং ভারত মহাসাগর পেরিয়ে এশিয়া-আফ্রিকা-ইউরোপ। কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্যাবল প্রজেক্ট যেমন : SEA-ME-WE (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ) সিরিজ, যা এশিয়া থেকে ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই ক্যাবলগুলোর মধ্যে SEA-ME-WE-3, SEA-ME-WE-4 এবং SEA-ME-WE-5 বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশের সংযোগ

বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি আন্ডারসি ক্যাবলের সঙ্গে সংযুক্ত। প্রথম সংযোগ আসে ২০০৬ সালে SEA-ME-WE-4 ক্যাবলের মাধ্যমে। যার ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে অবস্থিত। এই ক্যাবল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভারত, মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ফ্রান্স পর্যন্ত বিস্তৃত। মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২০,০০০ কিলোমিটার। পরে ২০১৭ সালে SEA-ME-WE-5 ক্যাবলের সঙ্গেও সংযোগ স্থাপিত হয়, যা আরো দ্রুত গতি ও অধিক ব্যান্ডউইথ ক্ষমতা প্রদান করে। এছাড়া বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে স্থলপথেও ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ কিনছে। এই আন্ডারসি ক্যাবল সংযোগের ফলে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতি ও মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশে এই সংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

আমার দেশতথ্যপ্রযুক্তি
সর্বশেষ
১

হিরো আলম গ্রেপ্তার

২

ব্যারিস্টার অসীমের মনোনয়ন দাবিতে মানববন্ধন ও র‍্যালি

৩

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

৪

অবশেষে ২৬ টুকরো লাশের রহস্য উদ্ঘাটন

৫

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ভারত কেন সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে?

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতায় বড় অগ্রগতি বাংলাদেশে

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি তদারককারী সংস্থা ফ্রিডম হাউস জানিয়েছে, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার সংস্থাটির প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট-২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

২ ঘণ্টা আগে

নিয়মিত হয়েও ‘বহিরাগত’ তকমা আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে নিয়মিত হয়েও ‘বহিরাগত’ তকমা পাচ্ছেন আড়াই হাজারের বেশি জবি ছাত্রছাত্রী। নির্বাচন কমিশন গঠনের দুদিনের মাথায় আচরণবিধি প্রকাশের পর বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।

৩ ঘণ্টা আগে

ঢাবিতে বছরজুড়ে ‘তারুণ্যের উৎসব’ শুরু ১৬ নভেম্বর

আয়োজক কমিটি জানায়, বছরব্যাপী উৎসবের প্রতিটি মাসে নির্দিষ্ট থিম ধরে কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নভেম্বর ও ডিসেম্বরকে যথাক্রমে ‘উদ্বোধন ও নেতৃত্ব’ এবং ‘উদ্ভাবন ও গবেষণা’ মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

১৭ ঘণ্টা আগে

বিইসিপিএসের স্বীকৃতি পেলেন ৪ মনোবিজ্ঞানী

এডুকেশনাল সাইকোলজি এবং কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিষয়ে এম এস এবং এম ফিল ডিগ্রি সম্পন্ন করায় চারজনকে মনোবিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি সোসাইটি (বিইসিপিএস)।

১৮ ঘণ্টা আগে
ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতায় বড় অগ্রগতি বাংলাদেশে

ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতায় বড় অগ্রগতি বাংলাদেশে

নিয়মিত হয়েও ‘বহিরাগত’ তকমা আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর

নিয়মিত হয়েও ‘বহিরাগত’ তকমা আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর

ঢাবিতে বছরজুড়ে ‘তারুণ্যের উৎসব’ শুরু ১৬ নভেম্বর

ঢাবিতে বছরজুড়ে ‘তারুণ্যের উৎসব’ শুরু ১৬ নভেম্বর

বিইসিপিএসের স্বীকৃতি পেলেন ৪ মনোবিজ্ঞানী

বিইসিপিএসের স্বীকৃতি পেলেন ৪ মনোবিজ্ঞানী