মেজবাহ মুকুল
প্রতিদিন দীর্ঘ সময় কম্পিউটার টেবিলে বসে কাজ করার ফলে শরীরে নানারকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে; যেমন মাথাব্যথা, ঘাড়ব্যথা, অস্বস্তি, অনুভূতিজনিত সমস্যা, কোমরব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, কনুইব্যথা, কবজিব্যথা-সহ নানা অনুভূতি। এমনকি দীর্ঘ সময় ঝুঁকে কাজ করার কারণে অল্প বয়সে কুঁজো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এসব সমস্যার উপস্থিতি বলে দেয় আপনার কম্পিউটার টেবিল, চেয়ার ও মনিটরের দূরত্ব আপনার জন্য কতটা অনুপযুক্ত। এজন্য উপযুক্ত দূরত্ব বজায় রেখে সঠিক নিয়ম মেনে কাজ করলে ফিটনেস ও মন দুটোতেই মিলবে প্রশান্তি।
সার নিয়ম
চেয়ারে ঘাড় ও পিঠ বাঁকিয়ে বসবেন না। পিঠের নিচের অংশ ও চেয়ারের মধ্যে কোনো ফাঁক রেখে বসা যাবে না। কম্পিউটার বা খাতা-কলমের কাজ যেটিই করুন না কেন কাজের জিনিসগুলো রাখতে হবে সুবিধাজনক দূরত্বে। চেয়ার ও টেবিলের মধ্যে খুব বেশি দূরত্ব রাখা যাবে না। হাত ঝুলিয়ে কাজ করবেন না। লেখার সময় এবং কিবোর্ড বা মাউসের কাজ করার সময় হাতের আঙুল থেকে কনুই পর্যন্ত পুরো অংশটাই যেন টেবিলের ওপর থাকে। পা দুটি আরামদায়কভাবে মেঝেতে রাখুন। উরু থাকবে মেঝের সমান্তরাল।
টেবিলের উচ্চতা
টেবিলের উচ্চতা প্রমাণ মানের হবে, যাতে একজন স্বাভাবিক আকৃতির কর্মী কাজ করতে অসুবিধার সম্মুখীন না হন। ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউটের মতানুসারে টাইপিস্টদের জন্য ২৭ থেকে ২৮ ইঞ্চি উচ্চতার টেবিলই অধিকতর উপযোগী। কিবোর্ড ও মাউসের জায়গাটি আপনার উরুর এক থেকে দুই ইঞ্চি ওপরে থাকবে, যাতে হাতের বাহু মেরুদণ্ডের সমান্তরালে থাকে। টেবিলে হাত যাতে ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকে, সেভাবে চেয়ারও উঁচু করে নিতে হবে।
চেয়ার
টেবিল থেকে একটু দূরে মনিটরের যথাযথ উচ্চতা ঠিক করার পর স্ট্রেইট বা সোজা চেয়ার ব্যবহার করুন। হেলান দিয়ে বসে কাজ করা যায় এমন চেয়ারই ভালো। এতে কোমর, উরু ও হাঁটু সমান্তরালে থাকে। চেয়ার থেকে পায়ের পাতা ঝুলিয়ে না রেখে মেঝেতে বিছিয়ে রাখুন। পুরো চেয়ারে বসুন, যাতে দেহের ওজন কোমরে সমভাবে বণ্টিত হয়। অবশ্যই মেরুদণ্ড ও মাথা সোজা রাখুন। এতে মেরুদণ্ডের হাড় বাঁকা ও অল্প বয়সে কুঁজো হওয়ার ঝুঁকি এড়ানো যায়। আর গদি এমন হবে, যা খুব শক্ত কিংবা বেশি নরমও নয়।
চোখের দূরত্ব
মনিটরের খুব কাছে বসে থেকে কাজ করলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। তাই মনিটর থেকে চোখের দূরত্ব যেন কমপক্ষে ৫০ সেন্টিমিটার হয়, সেটি খেয়াল রাখুন। আরো ভালো হয় যদি ৭৫ সেন্টিমিটার দূরত্বে কাজ করা যায়। তবে হাই-রেজোল্যুশন কম্পিউটারের হলে এই দূরত্ব ১০০ সেন্টিমিটার হতে পারে। এতে চোখের ওপর চাপ কমবে। পাশাপাশি সামনের দিকে ঝুঁকে বসার প্রবণতাও কমবে। এছাড়া কাজের সময় প্রতি ২০ মিনিট পরপর ২০ ফুট দূরের কোনো কিছুর দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকুন। এতে চোখের পেশি শিথিল হয়। এতে আপনার চোখ ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম’ থেকে উপশম পাবে।
বিরতি ও ব্যায়াম
টানা কাজ করার মধ্যে চাই বিরতি। প্রতি এক ঘণ্টা পরপর মনিটর থেকে ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে আবার কাজ করুন। এতে মানসিক চাপ এড়াতে পারবেন, কাজের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি মিলবে এবং চোখও বেশ আরাম পাবে। বিরতির এ সময় হালকা হাঁটাহাঁটি করলে অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তনেও বেশ সহায়ক হবে। ব্যায়াম হিসেবে করতে চাইলে দাঁড়িয়ে দুই হাত পেছনে কোমরের ওপরের অংশে নিয়ে সামনের দিকে ঠেলে দিয়ে শরীর টানটান করতে পারেন। এরপর বসে মাথা পেছনের দিকে এলিয়ে গোলাকারে ঘোরাতে হবে।
ব্যক্তিবিশেষে ভিন্নতা
কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের মনিটরের সামনে বসা, তাকানোর অভ্যাস—সবকিছুই ব্যক্তিবিশেষ আলাদা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে দেখতে হবে কে কীভাবে পর্দার সামনে বসে কাজ করতে আরামবোধ করেন। এর সঙ্গে হাত নাড়াচাড়া করার ভালো সুবিধা, যথেষ্ট জায়গা থাকে কি না, সেদিকেও লক্ষ রাখুন। তাছাড়া এ ক্ষেত্রে টেবিল ও চেয়ারের উচ্চতাও লক্ষ রাখা জরুরি।
প্রতিদিন দীর্ঘ সময় কম্পিউটার টেবিলে বসে কাজ করার ফলে শরীরে নানারকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে; যেমন মাথাব্যথা, ঘাড়ব্যথা, অস্বস্তি, অনুভূতিজনিত সমস্যা, কোমরব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, কনুইব্যথা, কবজিব্যথা-সহ নানা অনুভূতি। এমনকি দীর্ঘ সময় ঝুঁকে কাজ করার কারণে অল্প বয়সে কুঁজো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এসব সমস্যার উপস্থিতি বলে দেয় আপনার কম্পিউটার টেবিল, চেয়ার ও মনিটরের দূরত্ব আপনার জন্য কতটা অনুপযুক্ত। এজন্য উপযুক্ত দূরত্ব বজায় রেখে সঠিক নিয়ম মেনে কাজ করলে ফিটনেস ও মন দুটোতেই মিলবে প্রশান্তি।
সার নিয়ম
চেয়ারে ঘাড় ও পিঠ বাঁকিয়ে বসবেন না। পিঠের নিচের অংশ ও চেয়ারের মধ্যে কোনো ফাঁক রেখে বসা যাবে না। কম্পিউটার বা খাতা-কলমের কাজ যেটিই করুন না কেন কাজের জিনিসগুলো রাখতে হবে সুবিধাজনক দূরত্বে। চেয়ার ও টেবিলের মধ্যে খুব বেশি দূরত্ব রাখা যাবে না। হাত ঝুলিয়ে কাজ করবেন না। লেখার সময় এবং কিবোর্ড বা মাউসের কাজ করার সময় হাতের আঙুল থেকে কনুই পর্যন্ত পুরো অংশটাই যেন টেবিলের ওপর থাকে। পা দুটি আরামদায়কভাবে মেঝেতে রাখুন। উরু থাকবে মেঝের সমান্তরাল।
টেবিলের উচ্চতা
টেবিলের উচ্চতা প্রমাণ মানের হবে, যাতে একজন স্বাভাবিক আকৃতির কর্মী কাজ করতে অসুবিধার সম্মুখীন না হন। ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউটের মতানুসারে টাইপিস্টদের জন্য ২৭ থেকে ২৮ ইঞ্চি উচ্চতার টেবিলই অধিকতর উপযোগী। কিবোর্ড ও মাউসের জায়গাটি আপনার উরুর এক থেকে দুই ইঞ্চি ওপরে থাকবে, যাতে হাতের বাহু মেরুদণ্ডের সমান্তরালে থাকে। টেবিলে হাত যাতে ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকে, সেভাবে চেয়ারও উঁচু করে নিতে হবে।
চেয়ার
টেবিল থেকে একটু দূরে মনিটরের যথাযথ উচ্চতা ঠিক করার পর স্ট্রেইট বা সোজা চেয়ার ব্যবহার করুন। হেলান দিয়ে বসে কাজ করা যায় এমন চেয়ারই ভালো। এতে কোমর, উরু ও হাঁটু সমান্তরালে থাকে। চেয়ার থেকে পায়ের পাতা ঝুলিয়ে না রেখে মেঝেতে বিছিয়ে রাখুন। পুরো চেয়ারে বসুন, যাতে দেহের ওজন কোমরে সমভাবে বণ্টিত হয়। অবশ্যই মেরুদণ্ড ও মাথা সোজা রাখুন। এতে মেরুদণ্ডের হাড় বাঁকা ও অল্প বয়সে কুঁজো হওয়ার ঝুঁকি এড়ানো যায়। আর গদি এমন হবে, যা খুব শক্ত কিংবা বেশি নরমও নয়।
চোখের দূরত্ব
মনিটরের খুব কাছে বসে থেকে কাজ করলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। তাই মনিটর থেকে চোখের দূরত্ব যেন কমপক্ষে ৫০ সেন্টিমিটার হয়, সেটি খেয়াল রাখুন। আরো ভালো হয় যদি ৭৫ সেন্টিমিটার দূরত্বে কাজ করা যায়। তবে হাই-রেজোল্যুশন কম্পিউটারের হলে এই দূরত্ব ১০০ সেন্টিমিটার হতে পারে। এতে চোখের ওপর চাপ কমবে। পাশাপাশি সামনের দিকে ঝুঁকে বসার প্রবণতাও কমবে। এছাড়া কাজের সময় প্রতি ২০ মিনিট পরপর ২০ ফুট দূরের কোনো কিছুর দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকুন। এতে চোখের পেশি শিথিল হয়। এতে আপনার চোখ ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম’ থেকে উপশম পাবে।
বিরতি ও ব্যায়াম
টানা কাজ করার মধ্যে চাই বিরতি। প্রতি এক ঘণ্টা পরপর মনিটর থেকে ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে আবার কাজ করুন। এতে মানসিক চাপ এড়াতে পারবেন, কাজের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি মিলবে এবং চোখও বেশ আরাম পাবে। বিরতির এ সময় হালকা হাঁটাহাঁটি করলে অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তনেও বেশ সহায়ক হবে। ব্যায়াম হিসেবে করতে চাইলে দাঁড়িয়ে দুই হাত পেছনে কোমরের ওপরের অংশে নিয়ে সামনের দিকে ঠেলে দিয়ে শরীর টানটান করতে পারেন। এরপর বসে মাথা পেছনের দিকে এলিয়ে গোলাকারে ঘোরাতে হবে।
ব্যক্তিবিশেষে ভিন্নতা
কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের মনিটরের সামনে বসা, তাকানোর অভ্যাস—সবকিছুই ব্যক্তিবিশেষ আলাদা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে দেখতে হবে কে কীভাবে পর্দার সামনে বসে কাজ করতে আরামবোধ করেন। এর সঙ্গে হাত নাড়াচাড়া করার ভালো সুবিধা, যথেষ্ট জায়গা থাকে কি না, সেদিকেও লক্ষ রাখুন। তাছাড়া এ ক্ষেত্রে টেবিল ও চেয়ারের উচ্চতাও লক্ষ রাখা জরুরি।
সংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
১৫ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
২ ঘণ্টা আগেসমাবেশে জোবায়েদের সহপাঠী সজল খান বলেন, “পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা ও মাহির নয়, এই ঘটনায় বর্ষার পরিবারও জড়িত। গতকাল আদালতে আমাদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ছিল অমানবিক। আমাদের এক বান্ধবী ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
২ ঘণ্টা আগে