ইফতার হোক স্বাস্থ্যসম্মত

আল খালিদ
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৫, ১১: ০২

সিয়াম সাধনার পবিত্র রমজান মাস চলছে। সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতার অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত হতে হবে। রোজা রেখে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে এসিডিটিসহ অন্যান্য সমস্যা তৈরি হতে পারে। স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার আইনুন নিশাত।

বিজ্ঞাপন

প্রতি সদস্যের ভিন্ন চাহিদা

ইফতারের আয়োজন বাড়ির সব সদস্যের কথা মাথায় রেখে করতে হবে। ছোটদের জন্য একটু প্রোটিনজাতীয় খাবার বেশি রাখার চেষ্টা করবেন। বয়স্ক ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার রাখতে হবে। যেমনÑপরিবারে কারো কিডনির সমস্যা থাকলে তার ডাল বা ডাল দিয়ে তৈরি ইফতারি খাওয়া ভালো নয়। কারো হৃদরোগ থাকলে তার জন্য তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার রাখবেন না। বাসায় ডায়াবেটিসের রোগী থাকতে পারেন। তাকে মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। তাই তার জন্য আয়োজনটা ভিন্ন রাখতে হবে।

ইফতারের জন্য পানীয়

সারা দিনের পানির ঘাটতি পূরণে ইফতারে পানীয়জাত খাবারের চাহিদা বেশি থাকে। তাই এমন কিছু পানীয় রাখতে হবে, যা শুধু পিপাসাই মেটাবে না, পাশাপাশি শরীরে শক্তি জোগাবে।

শরবতের কথা এলেই সবার আগে লেবু-চিনির শরবতের কথা মাথায় আসে। তবে ইফতারে চিনির শরবত না খাওয়াই ভালো। চিনি কারো জন্যই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই ফলের জুস পান করতে পারেন। পেঁপে, বেল, তরমুজ, আনারস বা মাল্টার জুস পান করা যায়। কখনো চিনিমুক্ত মিল্কশেক বা টক দইয়ের লাচ্ছি খেতে পারেন। চিড়ার শরবতও খেতে পারেন।

খেজুর ও ফল

খেজুর উচ্চ ক্যালরি ও ফাইবারযুক্ত ফল। খেজুর শক্তি সরবরাহের পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের চাহিদাও পূরণ করবে। ইফতারিতে খেজুরসহ চিবিয়ে খেতে হয় এমন ফল বেশি রাখুন। যেমনÑআপেল, পেয়ারা, নাশপাতি, বরই ও তরমুজ।

ভাজাপোড়া নয়

ইফতারে জিলাপি, পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, নিমকি, পাকোড়াসহ ডালের বেসনে তৈরি খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তে ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়াসহ অন্য শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এগুলো যতটা সম্ভব বাদ দিতে হবে। একেবারে বাদ দিতে না পারলে দিনে একটা পদ খাবেন।

স্বাস্থ্যকর ইফতারের তালিকা

চিনি ছাড়া এক গ্লাস পেঁপে, বেল, আনারস, দুটি মাল্টা, তরমুজের জুস, চিনি ছাড়া মিল্কশেক বা টক দইয়ের লাচ্ছি।

চিড়ার শরবত ও দই-চিড়া খেতে পারেন।

ইফতারে প্রতিদিন দুটি খেজুর রাখুন।

অন্যান্য ফল যদি থাকে, তবে সব এক টুকরা করে নিন।

শসা, ক্ষীরা, পেয়ারাÑএগুলো বেশি খেতে পারবেন।

একটা সেদ্ধ ডিম (কুসুমসহ)।

বুট ভুনা আধা কাপ, সঙ্গে এক কাপ মুড়ি। হালিম থাকলে এক-দুই কাপ। তেলেভাজা খাবার যেকোনো একটি। অথবা দেড় কাপ ভেজানো চিড়া, এক কাপ দুধ বা টক দই, একটি কলা।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত