বৈশাখী মেলায় যাই রে…

তারিক হাসান
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১৫: ০২

বাঙালি উৎসবপ্রিয় জাতি। তারা প্রতিটি ঋতুতে নানা ধরনের উৎসবে মেতে ওঠে। বিশেষ দিবস ঘিরেও থাকে নানা আয়োজন।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাংলা একাডেমিতে সাত দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু হয়েছে। কারিগরদের হাতে বানানো দেশি কাঁচামালে তৈরি পণ্য মেলায় স্থান পেয়েছে। মাটির তৈরি অনিন্দ্যসুন্দর মৃৎশিল্পের বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও শৌখিন জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে। তারা সুঁই-সুতা দিয়ে হাতের নিখুঁত কাজ ফুটিয়ে তুলেছেন শাড়ি, সেলোয়ার-কামিজ ও বাচ্চাদের পোশাকে।

বিজ্ঞাপন

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা উদ্যোক্তারা মেলায় তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। রাজশাহী, কক্সবাজার, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ ও ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে দোকানিরা এসেছেন।

রূপগঞ্জের জামদানি শাড়ি ও থ্রি-পিস, ওয়ান পিস রয়েছে। শাড়ির দাম এক হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা এবং সেলোয়ার-কামিজ ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। হাতে কাজ করা শাড়ি, সেলোয়ার-কামিজ, বিছানার চাদর ও বিভিন্ন ধরনের হাতপাখা চামড়া, পাটের তৈরি ঘর সাজানোর বিভিন্ন পণ্য ও ব্যাগ রয়েছে। বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন শোপিস, ব্যাগ, জুতা, শতরঞ্জিসহ ঘর সাজানোর নানা জিনিস। আছে মাটির টেপা পুতুল, হাতি-ঘোড়াও। রয়েছে পিতলে নকশা করা শৌখিন জিনিসপত্রও। এ ছাড়া নানা ধরনের ছোট ও বড় বাঁশি এবং বাদ্যযন্ত্রও রয়েছে। বাঁশির দাম ২০ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত।

অনিন্দ্যসুন্দর মৃৎশিল্প ও বাঁশের তৈরি প্রায় ২০০ ধরনের সামগ্রী রয়েছে। এ ছাড়া মধু, ঘি ও নানা ধরনের আচার রয়েছে। ভিন্ন স্বাদের মোয়া, খই, কদমা, বাতাসা, দানাদার, জিলাপি ও মুরালি রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্বাদের ঝাল খাবারেরও আয়োজন রয়েছে।

মাটির তৈরি পুতুল ও অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম ২০ থেকে শুরু করে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। আর বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র ৫০ থেকে শুরু করে ৮ হাজার টাকা। পিতলের শৌখিন জিনিসপত্র ৩০০ থেকে শুরু করে লাখ টাকা পর্যন্ত। দেশি পোশাকের পাশাপাশি ভারতীয় শাড়ির স্টলও রয়েছে। এসব স্টলে শাড়ি, কুর্তি, ব্লাউজ এবং সেলাই ছাড়া থ্রি-পিস রয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, মেলায় এবার সব মিলিয়ে ৯৮টি স্টল রয়েছে। পহেলা বৈশাখের দিন থেকে এই মেলা শুরু হয়েছে। আজ রোববার শেষ হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলেছে।

বৈশাখী মেলা ১৪৩২-এর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

শুক্রবার ছুটির দিন মেলা ঘুরে বেশ ভিড় দেখা যায়। এদিন ছিল মেলার পঞ্চম দিন। ঘর সাজানোর জিনিসপত্র, বাচ্চাদের মাটির খেলনা ও পাটের শোপিস, চটের ব্যাগের দোকানে বেশ ভিড় চোখে পড়েছে।

ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ মেলায় আসেন। মেট্রোরেল থাকায় দূরদূরান্তের মানুষের যাতায়াতে বেশ সুবিধা হয়েছে। ফলে উত্তরা, মিরপুর, মোহাম্মদপুর এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসেছেন। মেলায় ঘুরতে ও কিনতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা সবাই মেলায় অনেক আনন্দ করেছেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত