সৈয়দ হাবিব আলী
হালাল পর্যটন বিভিন্ন পরিষেবা ও সুবিধাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে, যা ইসলামিক রীতিনীতির মধ্যে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে হালাল-প্রত্যয়িত খাবার, নামাজ আদায়ের সুবিধা এবং ইসলামিক মূল্যবোধের অধীনে পরিচালিত আবাসন। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, এমন একটি ভ্রমণ পরিবেশ তৈরি করা যাতে মুসলিম ভ্রমণকারীরা স্বাচ্ছন্দে তাদের ধর্মীয় অনুশীলনগুলো সুন্দর ও সঠিকভাবে পালন করতে পারেন। হালাল পর্যটনের মূল উদ্দেশ্য মুসলিম ভ্রমণকারীদের চাহিদা পূরণ করা।
হালাল পর্যটন বাজার বিশ্বব্যাপী পর্যটনশিল্পের একটি উল্লেখযোগ্য ও ক্রমবর্ধমান অংশের প্রতিনিধিত্ব করে। বেশ কয়েকটি দেশ সক্রিয়ভাবে হালাল পর্যটনের বিকাশ ও প্রচার করছে। এই খাতের নেতৃস্থানীয় দেশের মধ্যে রয়েছে—মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও জাপান। এই দেশগুলো মুসলিম ভ্রমণকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য তাদের সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক আকর্ষণীয় বিষয়গুলোকে কাজে লাগাচ্ছে। তাদের পরিষেবা ও সুবিধাগুলো যাতে ইসলামি রীতিনীতি ও মূল্যবোধ মেনে চলে, তা নিশ্চিত করছে।
সাম্প্রতিককালে উত্তর আমেরিকা ও চীন হালাল পর্যটনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে চলেছে। হালাল পর্যটনের মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. হালাল প্রত্যয়ন : প্রদত্ত সব খাদ্য ও পানীয় স্বীকৃত কর্তৃপক্ষ দ্বারা হালাল-প্রত্যয়িত কি না, তা নিশ্চিত করা।
২. কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ : মুসলিম রীতিনীতি ও অনুশীলনগুলো বুঝতে এবং সম্মান করার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দান।
৩. বিপণন : মুসলিম পর্যটকদের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমগুলোর দ্বারা পরিষেবা ও গন্তব্যের প্রচার করা।
৪. হালাল খাদ্য : ইসলামি খাদ্যতালিকা অনুযায়ী খাদ্য প্রস্তুত করা, খাবারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, অর্থাৎ রেস্তোরাঁ এবং হোটেলগুলোর হালাল-প্রত্যয়িত খাবারের সরবরাহ নিশ্চিত করা।
৫. নামাজের সুবিধা : হোটেল, বিমানবন্দর ও পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থানের পাশাপাশি আশেপাশের মসজিদ সম্পর্কে তথ্য প্রদান এবং প্রার্থনা কক্ষ বা মনোনীত প্রার্থনা স্থানের ব্যবস্থা করা।
৬. আবাসন : হোটেল ও থাকার জায়গা, যা হালাল-প্রত্যয়িত পরিষেবা প্রদান করে, যেমন মিনিবারে অ্যালকোহল না থাকা, প্রার্থনার ম্যাট বা নামাজের পাটি, রুমে কোরআনের কপি এবং কিবলা-নির্দেশক স্থাপন নিশ্চিত করা।
৭. বিনোদন : বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়াকলাপ ও সুবিধা, যা ইসলামিক মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যেমন পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা সুইমিং পুল ও স্পা এবং পরিবারবান্ধব বিনোদনের বিকল্প ব্যবস্থা করা।
৮. বিনয়ী পরিবেশ : একটি বিনয়ী ও পরিবারবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা, যা ইসলামিক পোশাক-পরিচ্ছদ এবং মূল্যবোধকে সম্মান করে।
ভ্রমণ প্যাকেজ : ট্যুর অপারেটররা প্যাকেজ অফার করে, যার মধ্যে হালাল-বান্ধব পরিষেবাগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেমন হালাল খাবার ও বিকল্প, মসজিদ ও ইসলামিক ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোয় পরিদর্শন এবং ভ্রমণপথে নামাজের সময় বিবেচনা করা প্রভৃতি। অনেক দেশ ব্যবসা হালাল প্রত্যয়ন করে মুসলিম পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী এই বাজারটি পূরণ করতে শুরু করেছে।
হালাল পর্যটন যেসব সুবিধা প্রদান করে
হালাল পর্যটনের কয়েকটি প্রতিবন্ধকতা
বাংলাদেশে হালাল পর্যটনের প্রসারে সরকারি-বেসরকারি খাতের ভূমিকা
বাংলাদেশ একটি মুসলিমপ্রধান দেশ হওয়ায় এখানে হালাল পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা বিদ্যমান। তবে এ সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য।
সরকারি খাতের ভূমিকা
বেসরকারি খাতের ভূমিকা
উপসংহার : বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর প্রায় ৯১ শতাংশই মুসলিম এবং মুসলিম রীতিনীতির অনুশীলনগুলো পালন করে। সে হিসেবে বাংলাদেশ হালাল পর্যটনে ব্যাপক উন্নতি ঘটাতে পারে। কারণ হালাল পর্যটনের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা এরই মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। প্রয়োজন শুধু ক্ষেত্রবিশেষে সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন। তার জন্য প্রয়োজন সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত, সঠিক পরিকল্পনা এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
লেখক : উপদেষ্টা
ট্যুরিজম ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিডাব)
হালাল পর্যটন বিভিন্ন পরিষেবা ও সুবিধাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে, যা ইসলামিক রীতিনীতির মধ্যে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে হালাল-প্রত্যয়িত খাবার, নামাজ আদায়ের সুবিধা এবং ইসলামিক মূল্যবোধের অধীনে পরিচালিত আবাসন। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, এমন একটি ভ্রমণ পরিবেশ তৈরি করা যাতে মুসলিম ভ্রমণকারীরা স্বাচ্ছন্দে তাদের ধর্মীয় অনুশীলনগুলো সুন্দর ও সঠিকভাবে পালন করতে পারেন। হালাল পর্যটনের মূল উদ্দেশ্য মুসলিম ভ্রমণকারীদের চাহিদা পূরণ করা।
হালাল পর্যটন বাজার বিশ্বব্যাপী পর্যটনশিল্পের একটি উল্লেখযোগ্য ও ক্রমবর্ধমান অংশের প্রতিনিধিত্ব করে। বেশ কয়েকটি দেশ সক্রিয়ভাবে হালাল পর্যটনের বিকাশ ও প্রচার করছে। এই খাতের নেতৃস্থানীয় দেশের মধ্যে রয়েছে—মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও জাপান। এই দেশগুলো মুসলিম ভ্রমণকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য তাদের সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক আকর্ষণীয় বিষয়গুলোকে কাজে লাগাচ্ছে। তাদের পরিষেবা ও সুবিধাগুলো যাতে ইসলামি রীতিনীতি ও মূল্যবোধ মেনে চলে, তা নিশ্চিত করছে।
সাম্প্রতিককালে উত্তর আমেরিকা ও চীন হালাল পর্যটনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে চলেছে। হালাল পর্যটনের মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. হালাল প্রত্যয়ন : প্রদত্ত সব খাদ্য ও পানীয় স্বীকৃত কর্তৃপক্ষ দ্বারা হালাল-প্রত্যয়িত কি না, তা নিশ্চিত করা।
২. কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ : মুসলিম রীতিনীতি ও অনুশীলনগুলো বুঝতে এবং সম্মান করার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দান।
৩. বিপণন : মুসলিম পর্যটকদের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমগুলোর দ্বারা পরিষেবা ও গন্তব্যের প্রচার করা।
৪. হালাল খাদ্য : ইসলামি খাদ্যতালিকা অনুযায়ী খাদ্য প্রস্তুত করা, খাবারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, অর্থাৎ রেস্তোরাঁ এবং হোটেলগুলোর হালাল-প্রত্যয়িত খাবারের সরবরাহ নিশ্চিত করা।
৫. নামাজের সুবিধা : হোটেল, বিমানবন্দর ও পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থানের পাশাপাশি আশেপাশের মসজিদ সম্পর্কে তথ্য প্রদান এবং প্রার্থনা কক্ষ বা মনোনীত প্রার্থনা স্থানের ব্যবস্থা করা।
৬. আবাসন : হোটেল ও থাকার জায়গা, যা হালাল-প্রত্যয়িত পরিষেবা প্রদান করে, যেমন মিনিবারে অ্যালকোহল না থাকা, প্রার্থনার ম্যাট বা নামাজের পাটি, রুমে কোরআনের কপি এবং কিবলা-নির্দেশক স্থাপন নিশ্চিত করা।
৭. বিনোদন : বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়াকলাপ ও সুবিধা, যা ইসলামিক মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যেমন পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা সুইমিং পুল ও স্পা এবং পরিবারবান্ধব বিনোদনের বিকল্প ব্যবস্থা করা।
৮. বিনয়ী পরিবেশ : একটি বিনয়ী ও পরিবারবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা, যা ইসলামিক পোশাক-পরিচ্ছদ এবং মূল্যবোধকে সম্মান করে।
ভ্রমণ প্যাকেজ : ট্যুর অপারেটররা প্যাকেজ অফার করে, যার মধ্যে হালাল-বান্ধব পরিষেবাগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেমন হালাল খাবার ও বিকল্প, মসজিদ ও ইসলামিক ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোয় পরিদর্শন এবং ভ্রমণপথে নামাজের সময় বিবেচনা করা প্রভৃতি। অনেক দেশ ব্যবসা হালাল প্রত্যয়ন করে মুসলিম পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী এই বাজারটি পূরণ করতে শুরু করেছে।
হালাল পর্যটন যেসব সুবিধা প্রদান করে
হালাল পর্যটনের কয়েকটি প্রতিবন্ধকতা
বাংলাদেশে হালাল পর্যটনের প্রসারে সরকারি-বেসরকারি খাতের ভূমিকা
বাংলাদেশ একটি মুসলিমপ্রধান দেশ হওয়ায় এখানে হালাল পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা বিদ্যমান। তবে এ সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য।
সরকারি খাতের ভূমিকা
বেসরকারি খাতের ভূমিকা
উপসংহার : বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর প্রায় ৯১ শতাংশই মুসলিম এবং মুসলিম রীতিনীতির অনুশীলনগুলো পালন করে। সে হিসেবে বাংলাদেশ হালাল পর্যটনে ব্যাপক উন্নতি ঘটাতে পারে। কারণ হালাল পর্যটনের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা এরই মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। প্রয়োজন শুধু ক্ষেত্রবিশেষে সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন। তার জন্য প্রয়োজন সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত, সঠিক পরিকল্পনা এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
লেখক : উপদেষ্টা
ট্যুরিজম ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিডাব)
কিডনি রোগের চিকিৎসায় সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ওষুধ ফিনেরেনন, যার বাজারে মূল্য ১০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট ৮০ টাকা এবং ২০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট ১৫০ টাকা।
৫ ঘণ্টা আগে‘ফ্যাসিবাদী আমলে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা গণতন্ত্র চর্চা, নেতৃত্ব বিকাশ ও অধিকার আদায়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেস। ফলে প্রশাসনের স্বেচ্ছাচার বেড়েছে, শিক্ষার্থীদের সমস্যা উপেক্ষিত হয়েছে এবং ছাত্ররাজনীতি দখলদারিত্বমূলক হয়ে উঠেছে।’
৮ ঘণ্টা আগেপার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার নতুন আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. জহিরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন রসায়ন বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ এইচ ফাহিম।
৮ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন শুধু গ্রেপ্তারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। তিনি বলেন, দ্রুত, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সচেষ্ট থাকবে।
১০ ঘণ্টা আগে