
আকরাম খান

জন্ম বরিশালে, পৈতৃক নিবাস ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। বেড়ে ওঠা ঢাকায়। শৈশব থেকেই ছিলেন চঞ্চল স্বভাবের, পড়ালেখায় ছিলেন অসম্ভব মনোযোগী। ঢাকার তখনকার নিরিবিলি পরিবেশে গড়ে ওঠা এই মেয়েটিই সময়ের সঙ্গে হয়ে উঠেছেন এক অনুপ্রেরণার নাম—ড. সিত্তুল হাসান মুনা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষক।
ছোটবেলা থেকেই মুনা ভাবতেন, শিক্ষক হবেন। তার খালামণি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তার হাত ধরে ছোটবেলা থেকেই এখানে যাওয়া-আসা করতেন। সেই পরিবেশ, সেই বাতাসে ভেসে বেড়ানো স্বপ্নের বীজই তাকে পথ দেখায়—একদিন তিনিও হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর শুরুতে কিছুটা সংকোচবোধ থাকলেও ধীরে ধীরে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিশে যান। তবে হলে না থাকার কারণে তিনি হলজীবনের অভিজ্ঞতা পাননি—যা তার মতে, পড়াশোনায় আরো বেশি মনোনিবেশের সুযোগ এনে দিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগেই তিনি দর্শন, ধর্ম এবং ইতিহাসবিষয়ক বহু বই পড়ে শেষ করেছিলেন। তার প্রিয় দার্শনিকদের মধ্যে আছেন ইমানুয়েল কান্ট এবং কার্ল মার্কস। বাবার সংগ্রহে থাকা কার্ল মার্কসসহ ২০০টিরও বেশি বই তার চিন্তাজগতে বড় প্রভাব ফেলেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি গড়ে তুলেছেন এক গভীর পাঠাভ্যাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ে তার অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস ছিলেন অধ্যাপক রাশিদা খানম, যার উৎসাহে পড়ালেখায় আরো মনোযোগী হন। যদিও প্রথমবর্ষে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত অসুস্থতার কারণে অনার্সে দ্বিতীয় হয়ে যান, তবে মাস্টার্সে সব বাধা পেরিয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং ৪৪তম সমাবর্তনে লাভ করেন দুটি স্বর্ণপদক।
শিক্ষকতা পেশা তার স্বপ্নেরই অংশ। তিনি শিক্ষকতা করেন সরকারি বাঙলা কলেজে। এরপর তিতুমীর কলেজে। এখন তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে কর্মরত। বিদেশে উচ্চশিক্ষার ইচ্ছা থাকলেও পরিবার ছেড়ে বাইরে যাওয়ার অভ্যাস না থাকায় তা আর হয়ে ওঠেনি। তবে তার মতে, জ্ঞান অর্জনের জন্য ইচ্ছা ও নিষ্ঠাই আসল চাবিকাঠি—সেটি দেশেই হোক বা বিদেশে।
ড. মুনা বিশ্বাস মনে করেন, শিক্ষকতা শুধু একটি পেশা নয়—এটি সমাজ গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তিনি চান মেধাবী শিক্ষার্থীরা যেন এই পেশায় আসে। কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে অনেকেই পিছিয়ে যাচ্ছে। তার মতে, একজন ভালো শিক্ষকের সবচেয়ে বড় গুণ হলো সততা, নিয়মানুবর্তিতা এবং জ্ঞানচর্চার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ।

জন্ম বরিশালে, পৈতৃক নিবাস ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। বেড়ে ওঠা ঢাকায়। শৈশব থেকেই ছিলেন চঞ্চল স্বভাবের, পড়ালেখায় ছিলেন অসম্ভব মনোযোগী। ঢাকার তখনকার নিরিবিলি পরিবেশে গড়ে ওঠা এই মেয়েটিই সময়ের সঙ্গে হয়ে উঠেছেন এক অনুপ্রেরণার নাম—ড. সিত্তুল হাসান মুনা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষক।
ছোটবেলা থেকেই মুনা ভাবতেন, শিক্ষক হবেন। তার খালামণি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তার হাত ধরে ছোটবেলা থেকেই এখানে যাওয়া-আসা করতেন। সেই পরিবেশ, সেই বাতাসে ভেসে বেড়ানো স্বপ্নের বীজই তাকে পথ দেখায়—একদিন তিনিও হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর শুরুতে কিছুটা সংকোচবোধ থাকলেও ধীরে ধীরে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিশে যান। তবে হলে না থাকার কারণে তিনি হলজীবনের অভিজ্ঞতা পাননি—যা তার মতে, পড়াশোনায় আরো বেশি মনোনিবেশের সুযোগ এনে দিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগেই তিনি দর্শন, ধর্ম এবং ইতিহাসবিষয়ক বহু বই পড়ে শেষ করেছিলেন। তার প্রিয় দার্শনিকদের মধ্যে আছেন ইমানুয়েল কান্ট এবং কার্ল মার্কস। বাবার সংগ্রহে থাকা কার্ল মার্কসসহ ২০০টিরও বেশি বই তার চিন্তাজগতে বড় প্রভাব ফেলেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি গড়ে তুলেছেন এক গভীর পাঠাভ্যাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ে তার অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস ছিলেন অধ্যাপক রাশিদা খানম, যার উৎসাহে পড়ালেখায় আরো মনোযোগী হন। যদিও প্রথমবর্ষে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত অসুস্থতার কারণে অনার্সে দ্বিতীয় হয়ে যান, তবে মাস্টার্সে সব বাধা পেরিয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং ৪৪তম সমাবর্তনে লাভ করেন দুটি স্বর্ণপদক।
শিক্ষকতা পেশা তার স্বপ্নেরই অংশ। তিনি শিক্ষকতা করেন সরকারি বাঙলা কলেজে। এরপর তিতুমীর কলেজে। এখন তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে কর্মরত। বিদেশে উচ্চশিক্ষার ইচ্ছা থাকলেও পরিবার ছেড়ে বাইরে যাওয়ার অভ্যাস না থাকায় তা আর হয়ে ওঠেনি। তবে তার মতে, জ্ঞান অর্জনের জন্য ইচ্ছা ও নিষ্ঠাই আসল চাবিকাঠি—সেটি দেশেই হোক বা বিদেশে।
ড. মুনা বিশ্বাস মনে করেন, শিক্ষকতা শুধু একটি পেশা নয়—এটি সমাজ গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তিনি চান মেধাবী শিক্ষার্থীরা যেন এই পেশায় আসে। কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে অনেকেই পিছিয়ে যাচ্ছে। তার মতে, একজন ভালো শিক্ষকের সবচেয়ে বড় গুণ হলো সততা, নিয়মানুবর্তিতা এবং জ্ঞানচর্চার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
৬ ঘণ্টা আগে
সংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৭ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৮ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৯ ঘণ্টা আগে