
ফাহিম হাসনাত

হঠাৎ একদিন ৯ বন্ধু মিলে রওনা হলাম রাঙামাটির ছাদ সাজেক ভ্যালির পথে। প্রকৃতির এক অসাধারণ সৃষ্টি। বাংলাদেশের বুকে পাহাড়ি জনপদটি তার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য, শান্ত-স্নিগ্ধ পরিবেশ দিয়ে সহজেই পর্যটকদের মন জয় করে। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে অবস্থিত ভ্যালিটির উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা ও পূর্বে মিজোরাম সীমান্ত। ঢাকা থেকে রাঙামাটির সরাসরি কোনো বাস না থাকায় প্রথম গন্তব্য ছিল খাগড়াছড়ি। রাতের বাসে চেপে বসলাম। প্রায় সাত ঘণ্টার জার্নি শেষে ভোরে খাগড়াছড়ি পৌঁছালাম।
চান্দের গাড়িতে করে যখন আমরা সাজেকের দিকে এগোচ্ছিলাম, তখন পথের দুধারের দৃশ্য মন মুগ্ধ করে দিচ্ছিল। এ যেন এক স্বপ্নের দুনিয়া! বাঁকে বাঁকে পাহাড়ি দৃশ্য, বাঁশের মাচাং ঘর, মাঝে মাঝে মেঘে ঢাকা রাস্তা, আবার হঠাৎ করেই জনবসতি—সব মিলিয়ে যেন কোনো সিনেমার দৃশ্যপট। মাঝে মাঝে হালকা মেঘ আর কুয়াশা রাস্তার মাঝে ঢুকে পড়ছিল, পরিবেশকে আরো রহস্যময় করে তুলছিল। একটা বিষয় আমাকে বেশ অবাক করেছিল—কিছুক্ষণ পরপরই দেখলাম, আশপাশে শুধু পাহাড় আর জঙ্গল, কোনো জনবসতি নেই। আবার একটু পরই হয়তো বিশাল বাজার কিংবা লোকালয়।
রাস্তার দুপাশে পাহাড়ি ফল বিক্রেতাদের পসরা দেখে লোভ সামলানো কঠিন ছিল। আমরা পেঁপে, আখ, কলা, আনারস, ডাব, বরই, তেঁতুল—যা পেলাম তাই চেখে দেখলাম। স্বাদের দিক থেকে আমাদের সমতলের ফলের সঙ্গে খুব বেশি পার্থক্য না থাকলেও ফলগুলো ছিল বেশ মিষ্টি আর ঠান্ডা। মনে হচ্ছিল যেন এইমাত্র ফ্রিজ থেকে বের করা হয়েছে।
পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য দেখতে দেখতে আর সুস্বাদু ফল খেতে খেতে প্রায় তিন ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে আমরা পৌঁছে গেলাম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য—সাজেক ভ্যালিতে। সেখানে পৌঁছানোর পর মনে হলো যেন কোনো শিল্পী তার তুলির আঁচড়ে এক স্বপ্নিল ছবি এঁকে রেখেছেন। চারদিকে সবুজ পাহাড়ের সারি, উপরে নীল আকাশ আর মেঘের ভেলা যেন এক অপার্থিব সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে।
গাড়ি থেকে নেমে আমরা সরাসরি আমাদের রিসোর্টে। সাজেক ভ্রমণের সেরা সময় অক্টোবর-নভেম্বর মাস।
রিসোর্টে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আমরা দুপুরের খাবার খেতে গেলাম। গরম ভাত, সবজি, পাহাড়ি মুরগির ঝোল আর ডাল—এই সাধারণ খাবারগুলোও সেখানে অসাধারণ লাগছিল। স্বাদটা মুখে লেগে থাকার মতো। বিকালে লুসাই গ্রাম, হেলিপ্যাড এবং কংলাক পাহাড় ঘুরে দেখলাম। কংলাক পাহাড় মূলত সাজেকের মূল উপত্যকা। প্রায় ১৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত পাহাড়টির চূড়ায় দাঁড়ালে মনে হয় যেন পৃথিবী থমকে গেছে, এ যেন এক নতুন জগৎ। আমাদের রাতের খাবারের মেন্যুতে ছিল বারবিকিউ আর পাহাড়ি মুরগি দিয়ে তৈরি বাম্বো বিরিয়ানি। সাজেক গিয়ে বাম্বো বিরিয়ানি না খেলে যেন ভ্রমণটাই অপূর্ণ থেকে যায়। ঘুমোতে যাওয়ার আগে পাহাড়ের ঢালে নিস্তব্ধ পরিবেশে পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার স্মৃতি আজও অমলিন। পাহাড়, প্রকৃতি নতুন করে ভাবতে শেখায়। পাহাড়ি অঞ্চলের নারীদের সংগ্রামী জীবন বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায়, তাদের সংস্কৃতি মুগ্ধ করে।

হঠাৎ একদিন ৯ বন্ধু মিলে রওনা হলাম রাঙামাটির ছাদ সাজেক ভ্যালির পথে। প্রকৃতির এক অসাধারণ সৃষ্টি। বাংলাদেশের বুকে পাহাড়ি জনপদটি তার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য, শান্ত-স্নিগ্ধ পরিবেশ দিয়ে সহজেই পর্যটকদের মন জয় করে। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে অবস্থিত ভ্যালিটির উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা ও পূর্বে মিজোরাম সীমান্ত। ঢাকা থেকে রাঙামাটির সরাসরি কোনো বাস না থাকায় প্রথম গন্তব্য ছিল খাগড়াছড়ি। রাতের বাসে চেপে বসলাম। প্রায় সাত ঘণ্টার জার্নি শেষে ভোরে খাগড়াছড়ি পৌঁছালাম।
চান্দের গাড়িতে করে যখন আমরা সাজেকের দিকে এগোচ্ছিলাম, তখন পথের দুধারের দৃশ্য মন মুগ্ধ করে দিচ্ছিল। এ যেন এক স্বপ্নের দুনিয়া! বাঁকে বাঁকে পাহাড়ি দৃশ্য, বাঁশের মাচাং ঘর, মাঝে মাঝে মেঘে ঢাকা রাস্তা, আবার হঠাৎ করেই জনবসতি—সব মিলিয়ে যেন কোনো সিনেমার দৃশ্যপট। মাঝে মাঝে হালকা মেঘ আর কুয়াশা রাস্তার মাঝে ঢুকে পড়ছিল, পরিবেশকে আরো রহস্যময় করে তুলছিল। একটা বিষয় আমাকে বেশ অবাক করেছিল—কিছুক্ষণ পরপরই দেখলাম, আশপাশে শুধু পাহাড় আর জঙ্গল, কোনো জনবসতি নেই। আবার একটু পরই হয়তো বিশাল বাজার কিংবা লোকালয়।
রাস্তার দুপাশে পাহাড়ি ফল বিক্রেতাদের পসরা দেখে লোভ সামলানো কঠিন ছিল। আমরা পেঁপে, আখ, কলা, আনারস, ডাব, বরই, তেঁতুল—যা পেলাম তাই চেখে দেখলাম। স্বাদের দিক থেকে আমাদের সমতলের ফলের সঙ্গে খুব বেশি পার্থক্য না থাকলেও ফলগুলো ছিল বেশ মিষ্টি আর ঠান্ডা। মনে হচ্ছিল যেন এইমাত্র ফ্রিজ থেকে বের করা হয়েছে।
পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য দেখতে দেখতে আর সুস্বাদু ফল খেতে খেতে প্রায় তিন ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে আমরা পৌঁছে গেলাম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য—সাজেক ভ্যালিতে। সেখানে পৌঁছানোর পর মনে হলো যেন কোনো শিল্পী তার তুলির আঁচড়ে এক স্বপ্নিল ছবি এঁকে রেখেছেন। চারদিকে সবুজ পাহাড়ের সারি, উপরে নীল আকাশ আর মেঘের ভেলা যেন এক অপার্থিব সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে।
গাড়ি থেকে নেমে আমরা সরাসরি আমাদের রিসোর্টে। সাজেক ভ্রমণের সেরা সময় অক্টোবর-নভেম্বর মাস।
রিসোর্টে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আমরা দুপুরের খাবার খেতে গেলাম। গরম ভাত, সবজি, পাহাড়ি মুরগির ঝোল আর ডাল—এই সাধারণ খাবারগুলোও সেখানে অসাধারণ লাগছিল। স্বাদটা মুখে লেগে থাকার মতো। বিকালে লুসাই গ্রাম, হেলিপ্যাড এবং কংলাক পাহাড় ঘুরে দেখলাম। কংলাক পাহাড় মূলত সাজেকের মূল উপত্যকা। প্রায় ১৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত পাহাড়টির চূড়ায় দাঁড়ালে মনে হয় যেন পৃথিবী থমকে গেছে, এ যেন এক নতুন জগৎ। আমাদের রাতের খাবারের মেন্যুতে ছিল বারবিকিউ আর পাহাড়ি মুরগি দিয়ে তৈরি বাম্বো বিরিয়ানি। সাজেক গিয়ে বাম্বো বিরিয়ানি না খেলে যেন ভ্রমণটাই অপূর্ণ থেকে যায়। ঘুমোতে যাওয়ার আগে পাহাড়ের ঢালে নিস্তব্ধ পরিবেশে পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার স্মৃতি আজও অমলিন। পাহাড়, প্রকৃতি নতুন করে ভাবতে শেখায়। পাহাড়ি অঞ্চলের নারীদের সংগ্রামী জীবন বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায়, তাদের সংস্কৃতি মুগ্ধ করে।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
৩ ঘণ্টা আগে
সংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৫ ঘণ্টা আগে