জুলাই বিপ্লব
টিপু সুলতান, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)
জুলাই বিপ্লবের অকুতোভয় সৈনিক অমিত হাসান। গত বছরের ৫ আগস্ট এক দফার আন্দোলনে যোগ দিয়ে গুলিবিদ্ধ হন এই জুলাই-যোদ্ধা। তার শরীরে এখনো রয়েছে ৩৮টি স্প্লিন্টার, যার মধ্যে মাথায় রয়েছে ২২টি। এগুলো নিয়েই বিনা চিকিৎসায় যন্ত্রণায় দিন কাটছে তার। তার সামনে অপেক্ষা করছে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন তার পরিবার।
জানা গেছে, ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌর শহরের গোপালপুর গ্রামের নুহু শেখের ছেলে অমিত হাসান। দরিদ্র ঘরের এই সন্তানের বেড় ওঠার গল্প খুবই করুণ। অর্থাৎ পিছুটান তার ছিল। কিন্তু এই পিছুটান উপেক্ষা করে ৫ আগস্ট তিনি মহেশপুরের শাপলা চত্বরে যোগ দেন হাসিনার পতনের আন্দোলনে। সেদিন পুলিশের ছোড়া গুলির ৩৮টি স্প্লিন্টার অমিতের শরীরে বিঁধে। তার মধ্যে মাথায় রয়েছে ২২টি স্প্লিন্টার। এর তিনটি স্প্লিন্টার মাথার গভীরে ঢুকে আছে।
অমিত আমার দেশকে বলেন, ওই দিন শাপলা চত্বরে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়। স্লোগান চলতে থাকে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনের দাবি নিয়ে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি তাদের ছত্রভঙ্গ করতে এগিয়ে গেলে তারাও সামনের দিকে এগোতে থাকে। এ সময় তাদের দিকে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারাই। এর পর আর কিছুই জানি না।
কথা বলতে বলতে অমিতের খালা জবেদা খাতুন বাইরে থেকে বাড়ি আসেন। তিনি বলেন, অমিতকে নিয়ে বড় বিপদে আছি। পুলিশের গুলিতে মারাত্মক আহত হয় অমিত। তাকে তার সহযোদ্ধারা মহেশপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। ৬ আগস্ট যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ডাক্তার না থাকায় তিনদিন অনেকটা বিনা চিকিৎসায় থাকার পর বাড়ি ফিরে আসে সে। পরদিন মহেশপুরের ছাত্ররা আবারও ঢাকায় নিয়ে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করে। সেখানে ৯ দিন চিকিৎসা শেষে আবারও বাড়ি চলে আসে অমিত। এখন অমিতের সপ্তাহে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার ওষুধ লাগে। টাকার অভাবে তাকে ওষুধ খাওয়াতে পারছি না। মাথার গভীরে গুলির স্প্লিন্টার থাকায় তার নার্ভ অকেজো হয়ে যাচ্ছে, যে কারণে হাত-পায়ের শক্তি ধীরে ধীরে কমে আসছে।
অমিত বলেন, এ পর্যন্ত স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে ১০ হাজার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাঁচ হাজার এবং ডিসি অফিস থেকে ১০ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছি। ঢাকার ডাক্তার বলেছেন আমার মাথায় থাকা গুলির স্প্লিন্টার ২২টার মধ্যে তিনটি মাথার গভীরে ঢুকে আছে, যে কারণে অপসারণ করতে গেলে আমি মারা যাব। এখন যত দিন যাচ্ছে, চলাফেরা করতে তত বেশি কষ্ট হচ্ছে আমার।
এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা আক্তার বলেন, যারা আহত আছেন তাদের নাম গেজেট আকারে আছে। তাদের জন্য আর্থিক অনুদান আসবে। তখন তারা অবশ্যই পাবে। এর বাইরে কিছু বলতে পারছি না।
জুলাই বিপ্লবের অকুতোভয় সৈনিক অমিত হাসান। গত বছরের ৫ আগস্ট এক দফার আন্দোলনে যোগ দিয়ে গুলিবিদ্ধ হন এই জুলাই-যোদ্ধা। তার শরীরে এখনো রয়েছে ৩৮টি স্প্লিন্টার, যার মধ্যে মাথায় রয়েছে ২২টি। এগুলো নিয়েই বিনা চিকিৎসায় যন্ত্রণায় দিন কাটছে তার। তার সামনে অপেক্ষা করছে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন তার পরিবার।
জানা গেছে, ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌর শহরের গোপালপুর গ্রামের নুহু শেখের ছেলে অমিত হাসান। দরিদ্র ঘরের এই সন্তানের বেড় ওঠার গল্প খুবই করুণ। অর্থাৎ পিছুটান তার ছিল। কিন্তু এই পিছুটান উপেক্ষা করে ৫ আগস্ট তিনি মহেশপুরের শাপলা চত্বরে যোগ দেন হাসিনার পতনের আন্দোলনে। সেদিন পুলিশের ছোড়া গুলির ৩৮টি স্প্লিন্টার অমিতের শরীরে বিঁধে। তার মধ্যে মাথায় রয়েছে ২২টি স্প্লিন্টার। এর তিনটি স্প্লিন্টার মাথার গভীরে ঢুকে আছে।
অমিত আমার দেশকে বলেন, ওই দিন শাপলা চত্বরে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়। স্লোগান চলতে থাকে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনের দাবি নিয়ে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি তাদের ছত্রভঙ্গ করতে এগিয়ে গেলে তারাও সামনের দিকে এগোতে থাকে। এ সময় তাদের দিকে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারাই। এর পর আর কিছুই জানি না।
কথা বলতে বলতে অমিতের খালা জবেদা খাতুন বাইরে থেকে বাড়ি আসেন। তিনি বলেন, অমিতকে নিয়ে বড় বিপদে আছি। পুলিশের গুলিতে মারাত্মক আহত হয় অমিত। তাকে তার সহযোদ্ধারা মহেশপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। ৬ আগস্ট যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ডাক্তার না থাকায় তিনদিন অনেকটা বিনা চিকিৎসায় থাকার পর বাড়ি ফিরে আসে সে। পরদিন মহেশপুরের ছাত্ররা আবারও ঢাকায় নিয়ে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করে। সেখানে ৯ দিন চিকিৎসা শেষে আবারও বাড়ি চলে আসে অমিত। এখন অমিতের সপ্তাহে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার ওষুধ লাগে। টাকার অভাবে তাকে ওষুধ খাওয়াতে পারছি না। মাথার গভীরে গুলির স্প্লিন্টার থাকায় তার নার্ভ অকেজো হয়ে যাচ্ছে, যে কারণে হাত-পায়ের শক্তি ধীরে ধীরে কমে আসছে।
অমিত বলেন, এ পর্যন্ত স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে ১০ হাজার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাঁচ হাজার এবং ডিসি অফিস থেকে ১০ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছি। ঢাকার ডাক্তার বলেছেন আমার মাথায় থাকা গুলির স্প্লিন্টার ২২টার মধ্যে তিনটি মাথার গভীরে ঢুকে আছে, যে কারণে অপসারণ করতে গেলে আমি মারা যাব। এখন যত দিন যাচ্ছে, চলাফেরা করতে তত বেশি কষ্ট হচ্ছে আমার।
এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা আক্তার বলেন, যারা আহত আছেন তাদের নাম গেজেট আকারে আছে। তাদের জন্য আর্থিক অনুদান আসবে। তখন তারা অবশ্যই পাবে। এর বাইরে কিছু বলতে পারছি না।
সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের ডাকা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে ২০২৪ সালের ১০ জুলাই দিনভর অচল হয়ে পড়েছিল দেশের রেলপথ, সড়ক ও মহাসড়ক। সারা দেশের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল । কমপক্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার
৫ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবিতে ২০২৪ সালের ৯ জুলাই সকাল ১০টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। এই অবরোধ কর্মসূচির আওতায় দেশের প্রধান সড়ক ও রেলপথের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা
১ দিন আগে২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশের সর্বস্তরের মানুষের পাশাপাশি কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী ও আলেম সমাজ অসাধারণ ত্যাগ ও সাহসিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
২ দিন আগে৮ জুলাই তারা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে রাজধানীর ১১টি মোড় এবং এক স্থানে রেলপথ অবরোধ করেন। আগের দিন তারা সাতটি স্থানে কর্মসূচি চালিয়েছিলেন। অবরোধের কারণে রাজধানীর বড় অংশে যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছিল।
২ দিন আগে