আবু সুফিয়ান
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২০২৪ সালের ২ আগস্ট বিকালে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজের ডাকা ‘দ্রোহযাত্রা’ কর্মসূচিতে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে শহীদ মিনার এলাকা। কর্মসূচিতে ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের’ সুষ্ঠু বিচার, গণগ্রেপ্তার বন্ধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা এবং সরকারের পদত্যাগসহ নানা দাবি তুলে স্লোগান দেওয়া হয়।
এ কর্মসূচিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাংস্কৃতিককর্মী, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী, শিল্পী, উন্নয়নকর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা মানুষজন পরিবারের সদস্য ও সন্তানদের নিয়ে অংশ নেন এতে। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া অনেক শিক্ষার্থীর মাথায় ও গায়ে জাতীয় পতাকা দেখা যায়।
দ্রোহযাত্রা কদম ফোয়ারা, হাইকোর্ট মোড়, দোয়েল চত্বর ও টিএসসি ঘুরে শেষ হয় শহীদ মিনারে। সেখানে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে নিহতদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘খুনি সরকারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়।
দ্রোহযাত্রার শেষ দিকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারফিউ প্রত্যাহার, গণগ্রেপ্তার বন্ধ, বন্দিদের মুক্তি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। দাবি পূরণ না হলে ৩ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে গণমিছিল শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
দ্রোহযাত্রার সময় পুলিশ ছিল সতর্ক, সরাসরি বাধা দেয়নি। শিক্ষার্থীরা পুলিশের সামনে সাদা কাগজে লাল কালিতে বিভিন্ন দাবি লিখে তা দেখায়। কিছু পুলিশ সদস্য মুখ ফিরিয়ে তাকিয়ে ছিলেন।
ফেসবুক ও মেসেঞ্জার বন্ধ
এর আগে ১ আগস্ট দুপুর ১২টার পর থেকে মোবাইল ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও মেসেঞ্জার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর পুনরায় সচল হয়। তবে টেলিগ্রাম সার্ভিস বন্ধ ছিল।
সরকারি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে মোবাইল ইন্টারনেটে এই প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ১৭ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ ছিল।
সংঘর্ষ ও সহিংসতা
২ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা গণমিছিল ও বিক্ষোভ-সমাবেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর উত্তরা ও দেশের অন্তত পাঁচ জেলায়। সংঘর্ষ, ভাঙচুর, সংঘাত ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুলিশের একজন সদস্যসহ দুজন নিহত হন।
উত্তরা এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিল চলাকালে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অস্ত্রধারী ছিলেন। সিলেট ও খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ ঘটে। লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হন। নরসিংদীতে জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায়। এসব ঘটনায় অন্তত ৩৭০ জন আহত হন।
খুলনায় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়ে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাঁজোয়া যান দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। হবিগঞ্জে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। শ্রমিক মোস্তাক মিয়া নিহত হন। জেলা প্রশাসন কারফিউ ঘোষণা করে। সিলেটে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগানের গুলি ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে।
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২০২৪ সালের ২ আগস্ট বিকালে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজের ডাকা ‘দ্রোহযাত্রা’ কর্মসূচিতে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে শহীদ মিনার এলাকা। কর্মসূচিতে ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের’ সুষ্ঠু বিচার, গণগ্রেপ্তার বন্ধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা এবং সরকারের পদত্যাগসহ নানা দাবি তুলে স্লোগান দেওয়া হয়।
এ কর্মসূচিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাংস্কৃতিককর্মী, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী, শিল্পী, উন্নয়নকর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা মানুষজন পরিবারের সদস্য ও সন্তানদের নিয়ে অংশ নেন এতে। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া অনেক শিক্ষার্থীর মাথায় ও গায়ে জাতীয় পতাকা দেখা যায়।
দ্রোহযাত্রা কদম ফোয়ারা, হাইকোর্ট মোড়, দোয়েল চত্বর ও টিএসসি ঘুরে শেষ হয় শহীদ মিনারে। সেখানে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে নিহতদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘খুনি সরকারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়।
দ্রোহযাত্রার শেষ দিকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারফিউ প্রত্যাহার, গণগ্রেপ্তার বন্ধ, বন্দিদের মুক্তি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। দাবি পূরণ না হলে ৩ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে গণমিছিল শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
দ্রোহযাত্রার সময় পুলিশ ছিল সতর্ক, সরাসরি বাধা দেয়নি। শিক্ষার্থীরা পুলিশের সামনে সাদা কাগজে লাল কালিতে বিভিন্ন দাবি লিখে তা দেখায়। কিছু পুলিশ সদস্য মুখ ফিরিয়ে তাকিয়ে ছিলেন।
ফেসবুক ও মেসেঞ্জার বন্ধ
এর আগে ১ আগস্ট দুপুর ১২টার পর থেকে মোবাইল ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও মেসেঞ্জার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর পুনরায় সচল হয়। তবে টেলিগ্রাম সার্ভিস বন্ধ ছিল।
সরকারি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে মোবাইল ইন্টারনেটে এই প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ১৭ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ ছিল।
সংঘর্ষ ও সহিংসতা
২ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা গণমিছিল ও বিক্ষোভ-সমাবেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর উত্তরা ও দেশের অন্তত পাঁচ জেলায়। সংঘর্ষ, ভাঙচুর, সংঘাত ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুলিশের একজন সদস্যসহ দুজন নিহত হন।
উত্তরা এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিল চলাকালে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অস্ত্রধারী ছিলেন। সিলেট ও খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ ঘটে। লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হন। নরসিংদীতে জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায়। এসব ঘটনায় অন্তত ৩৭০ জন আহত হন।
খুলনায় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়ে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাঁজোয়া যান দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। হবিগঞ্জে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। শ্রমিক মোস্তাক মিয়া নিহত হন। জেলা প্রশাসন কারফিউ ঘোষণা করে। সিলেটে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগানের গুলি ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে।
জুলাই আন্দোলনে গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো এক যোদ্ধাকে বাদী দেখিয়ে অভিনব কায়দায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মৌলভীবাজার শহরে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন জসিমও। চৌমুহনায় মিছিলকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবুও পিছু হটেনি সাহস নিয়ে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লক্ষ্য
৩১ আগস্ট ২০২৫চব্বিশের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একজন যোদ্ধা তরুণ আলেম মাওলানা শফিকুর রহমান। আন্দোলন ঘিরে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় পতিত আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে তার বাগবিতন্ডার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। রামপুরা এলাকায় আন্দোলনকারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করতে দেখা যায় তাকে।
২৯ আগস্ট ২০২৫তাইমুরের বাবা পুলিশের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভুঁইয়া তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘একজন মানুষকে মারতে কয়টা গুলি লাগে স্যার’। আমার ছেলের কি দোষ ছিল, কেন তাকে এত কষ্ট দিয়ে মারা হলো? কেন তার শরীরে দুইশ গুলি মারা হলো।
১৯ আগস্ট ২০২৫