মাসুম খলিলী
মুজতাহিদ ফারুকীর দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘বিরান মসজিদের ইমাম’ একটি প্রতীকনির্ভর, গভীর ভাবসমৃদ্ধ ও চিন্তাসঞ্চারী গল্পগ্রন্থ। ছোট-বড় পাঁচটি গল্পে সাজানো এ বইয়ের প্রতিটি গল্প নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও গঠনশৈলীতৈ সমৃদ্ধ। বইয়ের নাম গল্পটির লেখক রেখেছেন সবার শেষে। অন্য গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, ক্লোন, প্রস্তুতিপর্ব, ক্রসফায়ার ও পোকা।
‘বিরান মসজিদের ইমাম’ গল্পে একজন নিঃসঙ্গ ইমাম, একটি বিরান মসজিদ ও তার সমাজ প্রতিবেশের নিস্তেজ চিত্রের মাধ্যমে মূলত ব্যক্তি ও সমাজের আত্মিক সংকটের স্বরূপ প্রকাশ করেছেন লেখক। গল্পের কেন্দ্রে রয়েছেন এমন একজন, যিনি একটি মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করেন। মসজিদে খুব বেশি মুসল্লি আসে না। জরাজীর্ণ বেড়া ও টিনের ছাউনির ভঙ্গুর বিরান মসজিদ যেন যথার্থ প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি বিস্মৃত ধর্মীয় ও নৈতিক কাঠামোর। মসজিদের মতোই দারিদ্র্যভরা ইমাম আবদুল বাসেতের জীবন। স্ত্রী রাহেলাকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটে তার। কিন্তু সময় থেমে থাকে না।
একদিন বৃষ্টির আভাস দেওয়ার ঘটনায় হঠাৎ ইমামের জীবন, তার মসজিদ এবং এর চারপাশের পরিবেশ আমূল পাল্টে যায়। ইমাম হয়ে যান ভবিষ্যৎ বক্তা, কামেল হুজুর। সমাজপতি শুকুর বেপারি পরিস্থিতির সুযোগ নেন। ইমাম মৌলবি বাসেতের নিয়ন্ত্রণ নিতে তার ব্যক্তিগত জীবন পর্যন্ত প্রসারিত হতে চায় মাতব্বরের হস্তক্ষেপ। দ্বন্দ্বে পড়েন ইমাম, সারা জীবনের সততা-প্রেম-ভালবাসা বিসর্জন দেবেন দুনিয়ার লাভের বিনিময়ে? শেষ পর্যন্ত হার মানেননি ইমাম। স্ত্রী রাহেলা চলে যায় বাসেতকে ছেড়ে, কিন্তু ইমামের জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে সেই জীবনসঙ্গিনীর সঙ্গে মিলনের স্বপ্ন নিয়ে।
গল্পটি সম্ভবত মানুষের আত্মিক শূন্যতা, ধর্মীয় চেতনার শিথিলতা এবং সমাজের উপর্যুপরি ক্ষয়ের প্রতীক। লেখকের বর্ণনার ভঙ্গি চিন্তাশীল পাঠককে বারবার থামায়, ভাবায়। এটি এক নিঃসঙ্গ মানুষের, এক মূল্যবোধের, এক আত্মা-জাগানিয়া চেতনার গল্পÑযে চেতনা সময়ের বিপরীত স্রোতে দাঁড়িয়ে নিজেকে অটল রাখে।
অনেক খ্যাতিমান লেখকই এ ধরনের বিষয় নিয়ে গল্প লিখেছেন। অধিকাংশ গল্পে ধর্মনেতাদের
গোপন প্রতারক হিসেবে তুলে ধরার প্রবণতা দেখা যায়। ফারুকী সেটি না করে সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ্বে বিক্ষত একজন নিঃসঙ্গ ইমামের ভেতরের দ্বন্দ্ব ও সঠিক পথে ফিরে আসার চিত্র তুলে এনেছেন। বাংলা ছোটগল্পে এই ইতিবাচক প্রবণতাটিই সম্পূর্ণ নতুন। মুজতাহিদ ফারুকীর ভাষা গভীর, অনুরণিত এবং ঋজু। তিনি গল্পের মধ্য দিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, উত্তর দেন নাÑএটাই তার শক্তি।
বইটিতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ গল্প ‘ক্রসফায়ার’ শুধু একটি ঘটনার বিবরণ নয়, বরং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ব্যক্তির অস্তিত্ববাদী সংকটের এক গভীর প্রতীকী উপস্থাপন। গল্পে এক ‘আসামি’কে তুলে নেওয়া হয়। আসামি জানবে সে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হবে। অথচ বাস্তবে কোনো লড়াই হয় না, সবকিছু পূর্বপরিকল্পিত। গল্পটির ভাষা ঠান্ডা, সংক্ষিপ্ত, সংবেদনশীল। লেখক নাটকীয়তা পরিহার করে, ভয় ও নিরুত্তর চাপটিকে ভাষার ভেতরেই বহন করেন।
মিশেল ফুকো বলেছিলেন, আধুনিক রাষ্ট্র শরীর নিয়ন্ত্রণ করে, জীবন-মৃত্যুর ওপর মালিকানা দাবি করে। ‘ক্রসফায়ার’ গল্পে রাষ্ট্র নিজেই বিচারক, পুলিশ এবং জল্লাদ। আসামি কোনো সামাজিক চুক্তির অধিকারভুক্ত নয়, সে শুধু শাসিত এক শরীর। গল্পটি সরাসরি রাষ্ট্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় না, কিন্তু পাঠককে বাধ্য করে প্রশ্ন তুলতে, কেউ অপরাধী হলেও তার বিচারের সম্মুখীন হওয়ার অধিকারও কি নেই?
‘ক্লোন’ ফারুকীর একটি গুরুত্বপূর্ণ গল্প। এই গল্পে একটি পরিণত বয়সের সন্তান হারানো বাবার হাহাকার এমনভাবে ফুটে উঠেছে, যেন প্রতিটি সন্তানহারা বাবা তার মেয়ে বা ছেলে হারানোর গল্প পড়ছেন। চান মিয়ার অপরূপ মিষ্টি মেয়ে পায়েল তার পড়াশোনার মধ্যেই বিয়ে হলে স্বামীর সঙ্গে আমেরিকা যায়। প্রবাস জীবনে কর্কট রোগের শিকার হয় পায়েল। মেয়ের লাশও শেষবারের মতো দেখতে পাননি বাবা চান মিয়া। পায়েলের প্রতিরূপ আরেক পায়েলের মধ্যে যেন নিজের মেয়েকেই খুঁজে পান চান মিয়া।
মনে করেন, তার মেয়েই বুঝি আবার ফিরে এসেছে। কিন্তু আবার ভাবেন তার বিশ্বাস তো পুনর্জন্মের কথা বলে না। তবু পায়েলকেই মা বলে বুকে টেনে নেন। গভীর আবেগের সঙ্গে বলে ওঠেন, ‘মাও আমার, এতদিন কই আছিলি তুই। কই আছিলি! এই বুড়া বাপের কথা একবারও মনে পড়ে নাই।’ চান মিয়ার এই দীর্ঘশ্বাস যেন সব সন্তানহারা বাবার।
‘প্রস্তুতিপর্ব’ মুক্তিযুদ্ধের গল্প। এই গল্পে প্রেম-ভালোবাসা, অনাগত সন্তানের প্রতি দায়িত্ব ইত্যাদির চেয়েও দেশের মুক্তি যে অনেক বড়, সেই চেতনা মূর্ত হয়েছে। বিষয় গতানুগতিক হলেও গল্পের গাঁথুনি, ভাষা ও শিল্পসৌকর্যে ব্যতিক্রমী অনেক কিছু ধরা পড়ে।
‘পোকা’ গল্পে সমসাময়িক বাংলাদেশে ‘ব্যাংকলুট’ রোগের গভীর এক মনোবেদনার দিক উঠে এসেছেÑযেখানে জনগণের টাকা লুট করা অভিজাতদের অসহায় শিকারে পরিণত হন একজন ব্যাংকার। এ সময়ের চিরচেনা ঘটনার গভীর বেদনার বিষয়টি অসাধারণ এই গল্পে তুলে এনেছেন গল্পকার।
প্রায় বছর চল্লিশের ব্যবধানে এটি তার দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ। অথচ এর মধ্যে তার একাধিক কাব্য বেরিয়েছে। আমার বিবেচনায় ফারুকীর সমশক্তির গদ্য লেখক তার সময়ে খুব বেশি নেই। ‘বিরান মসজিদের ইমাম’ প্রকাশ করেছে ‘অনশ্বর’। চমৎকার প্রচ্ছদসমৃদ্ধ ৮০ পৃষ্ঠার বইটির দাম ৩৫০ টাকা।
মুজতাহিদ ফারুকীর দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘বিরান মসজিদের ইমাম’ একটি প্রতীকনির্ভর, গভীর ভাবসমৃদ্ধ ও চিন্তাসঞ্চারী গল্পগ্রন্থ। ছোট-বড় পাঁচটি গল্পে সাজানো এ বইয়ের প্রতিটি গল্প নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও গঠনশৈলীতৈ সমৃদ্ধ। বইয়ের নাম গল্পটির লেখক রেখেছেন সবার শেষে। অন্য গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, ক্লোন, প্রস্তুতিপর্ব, ক্রসফায়ার ও পোকা।
‘বিরান মসজিদের ইমাম’ গল্পে একজন নিঃসঙ্গ ইমাম, একটি বিরান মসজিদ ও তার সমাজ প্রতিবেশের নিস্তেজ চিত্রের মাধ্যমে মূলত ব্যক্তি ও সমাজের আত্মিক সংকটের স্বরূপ প্রকাশ করেছেন লেখক। গল্পের কেন্দ্রে রয়েছেন এমন একজন, যিনি একটি মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করেন। মসজিদে খুব বেশি মুসল্লি আসে না। জরাজীর্ণ বেড়া ও টিনের ছাউনির ভঙ্গুর বিরান মসজিদ যেন যথার্থ প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি বিস্মৃত ধর্মীয় ও নৈতিক কাঠামোর। মসজিদের মতোই দারিদ্র্যভরা ইমাম আবদুল বাসেতের জীবন। স্ত্রী রাহেলাকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটে তার। কিন্তু সময় থেমে থাকে না।
একদিন বৃষ্টির আভাস দেওয়ার ঘটনায় হঠাৎ ইমামের জীবন, তার মসজিদ এবং এর চারপাশের পরিবেশ আমূল পাল্টে যায়। ইমাম হয়ে যান ভবিষ্যৎ বক্তা, কামেল হুজুর। সমাজপতি শুকুর বেপারি পরিস্থিতির সুযোগ নেন। ইমাম মৌলবি বাসেতের নিয়ন্ত্রণ নিতে তার ব্যক্তিগত জীবন পর্যন্ত প্রসারিত হতে চায় মাতব্বরের হস্তক্ষেপ। দ্বন্দ্বে পড়েন ইমাম, সারা জীবনের সততা-প্রেম-ভালবাসা বিসর্জন দেবেন দুনিয়ার লাভের বিনিময়ে? শেষ পর্যন্ত হার মানেননি ইমাম। স্ত্রী রাহেলা চলে যায় বাসেতকে ছেড়ে, কিন্তু ইমামের জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে সেই জীবনসঙ্গিনীর সঙ্গে মিলনের স্বপ্ন নিয়ে।
গল্পটি সম্ভবত মানুষের আত্মিক শূন্যতা, ধর্মীয় চেতনার শিথিলতা এবং সমাজের উপর্যুপরি ক্ষয়ের প্রতীক। লেখকের বর্ণনার ভঙ্গি চিন্তাশীল পাঠককে বারবার থামায়, ভাবায়। এটি এক নিঃসঙ্গ মানুষের, এক মূল্যবোধের, এক আত্মা-জাগানিয়া চেতনার গল্পÑযে চেতনা সময়ের বিপরীত স্রোতে দাঁড়িয়ে নিজেকে অটল রাখে।
অনেক খ্যাতিমান লেখকই এ ধরনের বিষয় নিয়ে গল্প লিখেছেন। অধিকাংশ গল্পে ধর্মনেতাদের
গোপন প্রতারক হিসেবে তুলে ধরার প্রবণতা দেখা যায়। ফারুকী সেটি না করে সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ্বে বিক্ষত একজন নিঃসঙ্গ ইমামের ভেতরের দ্বন্দ্ব ও সঠিক পথে ফিরে আসার চিত্র তুলে এনেছেন। বাংলা ছোটগল্পে এই ইতিবাচক প্রবণতাটিই সম্পূর্ণ নতুন। মুজতাহিদ ফারুকীর ভাষা গভীর, অনুরণিত এবং ঋজু। তিনি গল্পের মধ্য দিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, উত্তর দেন নাÑএটাই তার শক্তি।
বইটিতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ গল্প ‘ক্রসফায়ার’ শুধু একটি ঘটনার বিবরণ নয়, বরং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ব্যক্তির অস্তিত্ববাদী সংকটের এক গভীর প্রতীকী উপস্থাপন। গল্পে এক ‘আসামি’কে তুলে নেওয়া হয়। আসামি জানবে সে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হবে। অথচ বাস্তবে কোনো লড়াই হয় না, সবকিছু পূর্বপরিকল্পিত। গল্পটির ভাষা ঠান্ডা, সংক্ষিপ্ত, সংবেদনশীল। লেখক নাটকীয়তা পরিহার করে, ভয় ও নিরুত্তর চাপটিকে ভাষার ভেতরেই বহন করেন।
মিশেল ফুকো বলেছিলেন, আধুনিক রাষ্ট্র শরীর নিয়ন্ত্রণ করে, জীবন-মৃত্যুর ওপর মালিকানা দাবি করে। ‘ক্রসফায়ার’ গল্পে রাষ্ট্র নিজেই বিচারক, পুলিশ এবং জল্লাদ। আসামি কোনো সামাজিক চুক্তির অধিকারভুক্ত নয়, সে শুধু শাসিত এক শরীর। গল্পটি সরাসরি রাষ্ট্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় না, কিন্তু পাঠককে বাধ্য করে প্রশ্ন তুলতে, কেউ অপরাধী হলেও তার বিচারের সম্মুখীন হওয়ার অধিকারও কি নেই?
‘ক্লোন’ ফারুকীর একটি গুরুত্বপূর্ণ গল্প। এই গল্পে একটি পরিণত বয়সের সন্তান হারানো বাবার হাহাকার এমনভাবে ফুটে উঠেছে, যেন প্রতিটি সন্তানহারা বাবা তার মেয়ে বা ছেলে হারানোর গল্প পড়ছেন। চান মিয়ার অপরূপ মিষ্টি মেয়ে পায়েল তার পড়াশোনার মধ্যেই বিয়ে হলে স্বামীর সঙ্গে আমেরিকা যায়। প্রবাস জীবনে কর্কট রোগের শিকার হয় পায়েল। মেয়ের লাশও শেষবারের মতো দেখতে পাননি বাবা চান মিয়া। পায়েলের প্রতিরূপ আরেক পায়েলের মধ্যে যেন নিজের মেয়েকেই খুঁজে পান চান মিয়া।
মনে করেন, তার মেয়েই বুঝি আবার ফিরে এসেছে। কিন্তু আবার ভাবেন তার বিশ্বাস তো পুনর্জন্মের কথা বলে না। তবু পায়েলকেই মা বলে বুকে টেনে নেন। গভীর আবেগের সঙ্গে বলে ওঠেন, ‘মাও আমার, এতদিন কই আছিলি তুই। কই আছিলি! এই বুড়া বাপের কথা একবারও মনে পড়ে নাই।’ চান মিয়ার এই দীর্ঘশ্বাস যেন সব সন্তানহারা বাবার।
‘প্রস্তুতিপর্ব’ মুক্তিযুদ্ধের গল্প। এই গল্পে প্রেম-ভালোবাসা, অনাগত সন্তানের প্রতি দায়িত্ব ইত্যাদির চেয়েও দেশের মুক্তি যে অনেক বড়, সেই চেতনা মূর্ত হয়েছে। বিষয় গতানুগতিক হলেও গল্পের গাঁথুনি, ভাষা ও শিল্পসৌকর্যে ব্যতিক্রমী অনেক কিছু ধরা পড়ে।
‘পোকা’ গল্পে সমসাময়িক বাংলাদেশে ‘ব্যাংকলুট’ রোগের গভীর এক মনোবেদনার দিক উঠে এসেছেÑযেখানে জনগণের টাকা লুট করা অভিজাতদের অসহায় শিকারে পরিণত হন একজন ব্যাংকার। এ সময়ের চিরচেনা ঘটনার গভীর বেদনার বিষয়টি অসাধারণ এই গল্পে তুলে এনেছেন গল্পকার।
প্রায় বছর চল্লিশের ব্যবধানে এটি তার দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ। অথচ এর মধ্যে তার একাধিক কাব্য বেরিয়েছে। আমার বিবেচনায় ফারুকীর সমশক্তির গদ্য লেখক তার সময়ে খুব বেশি নেই। ‘বিরান মসজিদের ইমাম’ প্রকাশ করেছে ‘অনশ্বর’। চমৎকার প্রচ্ছদসমৃদ্ধ ৮০ পৃষ্ঠার বইটির দাম ৩৫০ টাকা।
গাজা পুনরুদ্ধারের এই সময়ে ‘ফিলিস্তিন সাংস্কৃতিক পুরস্কার’ ঘোষণা করেছে ‘ফিলিস্তিন ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট’। ১৩তম আসরের মূল থিম নির্ধারণ করা হয়েছে—‘জেরুজালেম, গাজা উপত্যকা, গোটা ফিলিস্তিন ও জায়নবাদের বিরোধিতা’।
৩ দিন আগেএকশ বছর আগের কথা। ১৮৮৯ সাল। তুরিনে আজকের মতোই এক দিনে ফ্রিডরিখ নিৎশে কার্লো আলবার্তো পথের ৬ নম্বর বাড়ির ফটক দিয়ে বেরিয়ে আসেন। কখনো হাঁটতে বের হতেন, আবার কখনো পোস্ট অফিসে চিঠিপত্র তুলতে যেতেন।
৪ দিন আগেবাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী আয়োজিত ইসলামি বইমেলায় প্রতিদিনই জড়ো হন হাজারো মানুষ। বিশেষত সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে বইপ্রেমীদের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মতো। আর এই জনস্রোতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একদল স্বপ্নবাজ তরুণের হাতে গড়া ‘লিটলম্যাগ কর্নার’।
৪ দিন আগেইসলাম-পূর্ব সময়ে এক ভয়ংকর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল যেন আরবরা। সমগ্র আরবে চলছিল ভয়াবহ অরাজকতা। গোত্রে গোত্রে শত্রুতা। সারাক্ষণ একে অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টায় রত। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও মারামারি থেকে শুরু করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া; বছরের পর বছর ধরে সেই যুদ্ধ চলা।
৪ দিন আগে