সৈয়দ আবদাল আহমদ
বাংলাদেশের অজস্র কবিতায় স্বাধীনতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে দেশবরেণ্য কবি শামসুর রাহমানের (২৩ অক্টোবর ১৯২৯ – ১৭ আগস্ট ২০০৬) স্বাধীনতা নিয়ে লেখা কবিতা মানুষের মনে অনুরণন সৃষ্টি করেছিল। কবি শামসুর রাহমান স্বাধীনতা, বিজয় ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেকগুলো কবিতা লিখেছেন। তার ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ এবং ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতা দুটি অসাধারণ, কালজয়ী।
কবি নেই; কিন্তু তার কবিতায় তিনি সজীব। স্বাধীনতার ৫৪ বছর আমরা উদ্যাপন করেছি গত ২৬ মার্চ। কবি শামসুর রাহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্বাধীনতা নিয়ে তার সেই বিখ্যাত দুটি কবিতার কথা মনে পড়ছে।
কবিতা দুটি তিনি কীভাবে লিখেছেন, সে কথা তিনি নিজেই লিখে গেছেন। ‘কালের ধুলোয় লেখা’ শীর্ষক তার আত্মজীবনীতে শামসুর রাহমান লেখেন, “সকাল দশটা সাড়ে দশটার সময় ঢাকা থেকে চেপে রওনা হলাম নরসিংদীর উদ্দেশে। সেখান থেকে নৌকায় মেঘনা নদী পেরিয়ে পৌঁছাতে হয় আমাদের পাহাড়তলীর আলুঘাটায়। সেখানে কিছু পথ পেরুলেই আমাদের মুন্সিবাড়ী। এটা বলা তো খুবই সহজ মনে হচ্ছে, কিন্তু সেদিন পাহাড়তলী পৌঁছাতে পারাটা তেমন অনায়াস ছিল না। শুরু হলো আমাদের যাত্রা বাসের দুলুনি খেতে খেতে। মনে সংশয়, বিপদের আশঙ্কা পদে পদে। ডেমরার কাছে এক জলাশয়ে দেখতে পেলাম ভাসমান চার-পাঁচটি মৃতদেহ। পাক হানাদারদের করুণ শিকার। চোখ ফিরিয়ে নিলাম সেই দৃশ্য থেকে পলায়নপর আমি।”
আত্মজীবনীতে তিনি লেখেন এভাবে—“এপ্রিল মাসের ৭ অথবা ৮ তারিখ দুপুরের কিছুক্ষণ আগে বসেছিলাম আমাদের পুকুরের কিনারে গাছতলায়। বাতাস আদর বুলিয়ে দিচ্ছিল আমার শরীরে। পুকুরে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে, কিশোর-কিশোরীও ছিল ক’জন, সাঁতার কাটছিল মহানন্দে। হঠাৎ আমার মনে কী যেন বিদ্যুতের ঝিলিকের মতো খেলে গেল। সম্ভবত একেই বলে প্রেরণা। কবিতা আমাকে জড়িয়ে ধরল। আমি চটজলদি আমার মেজ চাচার ঘরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে একটা কাঠপেন্সিল এবং কিছু কাগজ চাইলাম। সে কাঠপেন্সিল এবং রুলটানা খাতা দিল। এই কাঠপেন্সিল এবং খাতা দিয়ে সে যেন নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে করল। আমি সেই কাঠপেন্সিল এবং খাতাটি নিয়ে তাড়াতাড়ি পুকুরের দিকে ছুটলাম। পুকুর মুন্সিবাড়ীর একেবারে গা ঘেঁষে তার অবস্থান ঘোষণা করছে যেন সগর্বে। পুকুরের প্রতিবেশী সেই গাছতলায় আবার বসে পড়ে খাতায় কাঠপেন্সিল দিয়ে শব্দের চাষ শুরু করলাম। প্রায় আধ ঘণ্টা কিংবা কিছু বেশি সময়ে পরপর লিখে ফেললাম দুটি কবিতা—‘স্বাধীনতা তুমি’ এবং ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’।”
তার কবিতা কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে, কলকাতার ... এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে পৌঁছে সে প্রসঙ্গে তিনি ‘কালের ধুলোয় লেখা’ আত্মজীবনীতে লেখেন, “অবরুদ্ধ ঢাকা শহরে একদিন বিকেলে আমাদের বাসায় এসে হাজির হলেন তেজি মুক্তিযোদ্ধা আলম (হাবীবুল আলম বীর প্রতীক) এবং তার সহযোগী শাহাদত চৌধুরী। কিছুক্ষণ ওরা আমার সঙ্গে কথাবার্তা বললেন। আমি তাঁদের কয়েকটি কবিতা পড়ে শোনালাম। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে রচিত কবিতাবলি শুনে ওঁরা কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন বলে স্থির করলেন। কয়েকটি কবিতা শেষ পর্যন্ত শিল্পী আলভীর মাধ্যমে শাহাদত চৌধুরী কলকাতায় শ্রদ্ধেয় আবু সায়ীদ আইয়ুব-এর কাছে পাঠাতে পেরেছিলেন। আবু সায়ীদ ও তার সহধর্মিণী গৌরী আইয়ুবের উদ্যোগ ও উৎসাহে আমার ‘বন্দিশিবির থেকে’ কাব্যগ্রন্থটি কলকাতায় প্রকাশিত হয়। এই বইয়ের দু-চারটি কবিতা কলকাতার সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকায় মজলুম আদিব ছদ্মনামে তখন বেরিয়েছিল। এই ছদ্মনামটি রেখেছিলেন খোদ আবু সায়ীদ আইয়ুব। মজলুম আদিব-এর অর্থ হচ্ছে, নির্যাতিত লেখক।... আমার কয়েকটি কবিতা শার্ট ও প্যান্টের কোথাও কোথাও অংশে লুকিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ পর ওঁরা আমার এখান থেকে বেরিয়ে গেলেন।”
কবি শামসুর রাহমান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পারিবারিক কারণে ঢাকা ছেড়ে ভারতে যেতে পারেননি। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার ভাষায় ‘বন্দিশিবিরে’ দুঃসহ দিন কাটিয়েছেন এবং লুকিয়ে লুকিয়ে মুক্তিযুদ্ধের কবিতা লিখেছেন। সেই কবিতা রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের এবং মুক্তিপাগল বীর বাঙালি জনতাকে উদ্বেলিত করেছে, সাহস জুগিয়েছে। ফলে তার কবিতা মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ‘স্বাধীনতা তুমি’ এবং ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতা দুটিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সজীব প্রতিচ্ছবি হিসেবে বলা যায়। এ কবিতা পড়ে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না।
মুক্তিযোদ্ধা ও চারুশিল্পী শাহাদত চৌধুরী (বিচিত্রা সম্পাদক) এবং হাবীবুল আলম বীর প্রতীক ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা থেকে তার কবিতা সংগ্রহ করে নিয়ে যেতেন। সেগুলো সাইক্লোস্টাইল করে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে ক্যাম্পে ছড়িয়ে দেওয়া হতো। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে আবৃত্তি করা হতো। কলকাতার ‘দেশ’ পত্রিকাতেও ছাপানো হতো।
‘স্বাধীনতা তুমি’ এবং ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ শামসুর রাহমানের দুটি বিখ্যাত কবিতা। এ কবিতা দুটি তিনি তার গ্রামের পুকুরপাড়ে বসে মাত্র আধা ঘণ্টার ব্যবধানে লিখেছিলেন। কী করে লিখেছিলেন, সে কথাও তিনি বলে গেছেন।
একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতের গণহত্যার পর ঢাকার এবাড়ি-ওবাড়িতে পালিয়ে বেড়ানোর পর অন্য অনেকের মতো কবি শামসুর রাহমানও চলে গিয়েছিলেন তার দেশের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা থানার পাড়াতলী গ্রামের মুন্সিবাড়ীতে। ‘কালের ধুলোয় লেখা’ আত্মজীবনীতে তিনি সেখানে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। সুনির্দিষ্ট তারিখের কথা সেখানে লেখেননি। তবে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের কোনো এক দিন বলে উল্লেখ করেছেন। প্রিয় শামসুর রাহমান দৈনিক বাংলায় আমার সম্পাদক ছিলেন। প্রিয় সম্পাদক, আপনার স্মৃতির প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা। আপনি বেঁচে থাকুন কবিতায়।
বাংলাদেশের অজস্র কবিতায় স্বাধীনতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে দেশবরেণ্য কবি শামসুর রাহমানের (২৩ অক্টোবর ১৯২৯ – ১৭ আগস্ট ২০০৬) স্বাধীনতা নিয়ে লেখা কবিতা মানুষের মনে অনুরণন সৃষ্টি করেছিল। কবি শামসুর রাহমান স্বাধীনতা, বিজয় ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেকগুলো কবিতা লিখেছেন। তার ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ এবং ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতা দুটি অসাধারণ, কালজয়ী।
কবি নেই; কিন্তু তার কবিতায় তিনি সজীব। স্বাধীনতার ৫৪ বছর আমরা উদ্যাপন করেছি গত ২৬ মার্চ। কবি শামসুর রাহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্বাধীনতা নিয়ে তার সেই বিখ্যাত দুটি কবিতার কথা মনে পড়ছে।
কবিতা দুটি তিনি কীভাবে লিখেছেন, সে কথা তিনি নিজেই লিখে গেছেন। ‘কালের ধুলোয় লেখা’ শীর্ষক তার আত্মজীবনীতে শামসুর রাহমান লেখেন, “সকাল দশটা সাড়ে দশটার সময় ঢাকা থেকে চেপে রওনা হলাম নরসিংদীর উদ্দেশে। সেখান থেকে নৌকায় মেঘনা নদী পেরিয়ে পৌঁছাতে হয় আমাদের পাহাড়তলীর আলুঘাটায়। সেখানে কিছু পথ পেরুলেই আমাদের মুন্সিবাড়ী। এটা বলা তো খুবই সহজ মনে হচ্ছে, কিন্তু সেদিন পাহাড়তলী পৌঁছাতে পারাটা তেমন অনায়াস ছিল না। শুরু হলো আমাদের যাত্রা বাসের দুলুনি খেতে খেতে। মনে সংশয়, বিপদের আশঙ্কা পদে পদে। ডেমরার কাছে এক জলাশয়ে দেখতে পেলাম ভাসমান চার-পাঁচটি মৃতদেহ। পাক হানাদারদের করুণ শিকার। চোখ ফিরিয়ে নিলাম সেই দৃশ্য থেকে পলায়নপর আমি।”
আত্মজীবনীতে তিনি লেখেন এভাবে—“এপ্রিল মাসের ৭ অথবা ৮ তারিখ দুপুরের কিছুক্ষণ আগে বসেছিলাম আমাদের পুকুরের কিনারে গাছতলায়। বাতাস আদর বুলিয়ে দিচ্ছিল আমার শরীরে। পুকুরে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে, কিশোর-কিশোরীও ছিল ক’জন, সাঁতার কাটছিল মহানন্দে। হঠাৎ আমার মনে কী যেন বিদ্যুতের ঝিলিকের মতো খেলে গেল। সম্ভবত একেই বলে প্রেরণা। কবিতা আমাকে জড়িয়ে ধরল। আমি চটজলদি আমার মেজ চাচার ঘরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে একটা কাঠপেন্সিল এবং কিছু কাগজ চাইলাম। সে কাঠপেন্সিল এবং রুলটানা খাতা দিল। এই কাঠপেন্সিল এবং খাতা দিয়ে সে যেন নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে করল। আমি সেই কাঠপেন্সিল এবং খাতাটি নিয়ে তাড়াতাড়ি পুকুরের দিকে ছুটলাম। পুকুর মুন্সিবাড়ীর একেবারে গা ঘেঁষে তার অবস্থান ঘোষণা করছে যেন সগর্বে। পুকুরের প্রতিবেশী সেই গাছতলায় আবার বসে পড়ে খাতায় কাঠপেন্সিল দিয়ে শব্দের চাষ শুরু করলাম। প্রায় আধ ঘণ্টা কিংবা কিছু বেশি সময়ে পরপর লিখে ফেললাম দুটি কবিতা—‘স্বাধীনতা তুমি’ এবং ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’।”
তার কবিতা কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে, কলকাতার ... এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে পৌঁছে সে প্রসঙ্গে তিনি ‘কালের ধুলোয় লেখা’ আত্মজীবনীতে লেখেন, “অবরুদ্ধ ঢাকা শহরে একদিন বিকেলে আমাদের বাসায় এসে হাজির হলেন তেজি মুক্তিযোদ্ধা আলম (হাবীবুল আলম বীর প্রতীক) এবং তার সহযোগী শাহাদত চৌধুরী। কিছুক্ষণ ওরা আমার সঙ্গে কথাবার্তা বললেন। আমি তাঁদের কয়েকটি কবিতা পড়ে শোনালাম। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে রচিত কবিতাবলি শুনে ওঁরা কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন বলে স্থির করলেন। কয়েকটি কবিতা শেষ পর্যন্ত শিল্পী আলভীর মাধ্যমে শাহাদত চৌধুরী কলকাতায় শ্রদ্ধেয় আবু সায়ীদ আইয়ুব-এর কাছে পাঠাতে পেরেছিলেন। আবু সায়ীদ ও তার সহধর্মিণী গৌরী আইয়ুবের উদ্যোগ ও উৎসাহে আমার ‘বন্দিশিবির থেকে’ কাব্যগ্রন্থটি কলকাতায় প্রকাশিত হয়। এই বইয়ের দু-চারটি কবিতা কলকাতার সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকায় মজলুম আদিব ছদ্মনামে তখন বেরিয়েছিল। এই ছদ্মনামটি রেখেছিলেন খোদ আবু সায়ীদ আইয়ুব। মজলুম আদিব-এর অর্থ হচ্ছে, নির্যাতিত লেখক।... আমার কয়েকটি কবিতা শার্ট ও প্যান্টের কোথাও কোথাও অংশে লুকিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ পর ওঁরা আমার এখান থেকে বেরিয়ে গেলেন।”
কবি শামসুর রাহমান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পারিবারিক কারণে ঢাকা ছেড়ে ভারতে যেতে পারেননি। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার ভাষায় ‘বন্দিশিবিরে’ দুঃসহ দিন কাটিয়েছেন এবং লুকিয়ে লুকিয়ে মুক্তিযুদ্ধের কবিতা লিখেছেন। সেই কবিতা রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের এবং মুক্তিপাগল বীর বাঙালি জনতাকে উদ্বেলিত করেছে, সাহস জুগিয়েছে। ফলে তার কবিতা মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ‘স্বাধীনতা তুমি’ এবং ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতা দুটিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সজীব প্রতিচ্ছবি হিসেবে বলা যায়। এ কবিতা পড়ে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না।
মুক্তিযোদ্ধা ও চারুশিল্পী শাহাদত চৌধুরী (বিচিত্রা সম্পাদক) এবং হাবীবুল আলম বীর প্রতীক ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা থেকে তার কবিতা সংগ্রহ করে নিয়ে যেতেন। সেগুলো সাইক্লোস্টাইল করে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে ক্যাম্পে ছড়িয়ে দেওয়া হতো। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে আবৃত্তি করা হতো। কলকাতার ‘দেশ’ পত্রিকাতেও ছাপানো হতো।
‘স্বাধীনতা তুমি’ এবং ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ শামসুর রাহমানের দুটি বিখ্যাত কবিতা। এ কবিতা দুটি তিনি তার গ্রামের পুকুরপাড়ে বসে মাত্র আধা ঘণ্টার ব্যবধানে লিখেছিলেন। কী করে লিখেছিলেন, সে কথাও তিনি বলে গেছেন।
একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতের গণহত্যার পর ঢাকার এবাড়ি-ওবাড়িতে পালিয়ে বেড়ানোর পর অন্য অনেকের মতো কবি শামসুর রাহমানও চলে গিয়েছিলেন তার দেশের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা থানার পাড়াতলী গ্রামের মুন্সিবাড়ীতে। ‘কালের ধুলোয় লেখা’ আত্মজীবনীতে তিনি সেখানে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। সুনির্দিষ্ট তারিখের কথা সেখানে লেখেননি। তবে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের কোনো এক দিন বলে উল্লেখ করেছেন। প্রিয় শামসুর রাহমান দৈনিক বাংলায় আমার সম্পাদক ছিলেন। প্রিয় সম্পাদক, আপনার স্মৃতির প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা। আপনি বেঁচে থাকুন কবিতায়।
গাজা পুনরুদ্ধারের এই সময়ে ‘ফিলিস্তিন সাংস্কৃতিক পুরস্কার’ ঘোষণা করেছে ‘ফিলিস্তিন ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট’। ১৩তম আসরের মূল থিম নির্ধারণ করা হয়েছে—‘জেরুজালেম, গাজা উপত্যকা, গোটা ফিলিস্তিন ও জায়নবাদের বিরোধিতা’।
৩ দিন আগেএকশ বছর আগের কথা। ১৮৮৯ সাল। তুরিনে আজকের মতোই এক দিনে ফ্রিডরিখ নিৎশে কার্লো আলবার্তো পথের ৬ নম্বর বাড়ির ফটক দিয়ে বেরিয়ে আসেন। কখনো হাঁটতে বের হতেন, আবার কখনো পোস্ট অফিসে চিঠিপত্র তুলতে যেতেন।
৪ দিন আগেবাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী আয়োজিত ইসলামি বইমেলায় প্রতিদিনই জড়ো হন হাজারো মানুষ। বিশেষত সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে বইপ্রেমীদের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মতো। আর এই জনস্রোতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একদল স্বপ্নবাজ তরুণের হাতে গড়া ‘লিটলম্যাগ কর্নার’।
৪ দিন আগেইসলাম-পূর্ব সময়ে এক ভয়ংকর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল যেন আরবরা। সমগ্র আরবে চলছিল ভয়াবহ অরাজকতা। গোত্রে গোত্রে শত্রুতা। সারাক্ষণ একে অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টায় রত। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও মারামারি থেকে শুরু করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া; বছরের পর বছর ধরে সেই যুদ্ধ চলা।
৪ দিন আগে