
মধ্যযুগের পুঁথি ছিল আধুনিক যুগের উপন্যাসের মতোই বিষয়-আশয়ে ঠাসা। পার্থক্য শুধু সুর-ছন্দ-অন্ত্যমিলের। উপন্যাস রচিত হয় কথার পর কথা সাজিয়ে; আর পুঁথি রচিত হতো সুর-ছন্দ-অন্ত্যমিলের সংমিশ্রণে, যা পড়লে মানুষ সহজেই আকৃষ্ট হতো, এখনো হয়। আকৃষ্ট হওয়ার প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল সুর।
গুরুশিষ্য পরম্পরা
কর্ণফুলী থেকে নাফ দুই নদীর মধ্যবর্তী চট্টগ্রামের এলাকা জীববৈচিত্র্যে যেমন অনন্য, রাজনীতিক বৈশিষ্ট্যেও অনন্য। প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হলো এ অঞ্চল অরণ্যসংকুল, সমুদ্রউপকূলবর্তী ও পর্বতবেষ্টিত। এত বৈচিত্র্য বাংলাদেশের আর কোথাও নেই। মধ্যযুগব্যাপী এ অঞ্চল ছিল আরাকানের অংশ।
প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের মহাসন্ধান ও উদ্ধার শুরু হয় প্রধানত ব্রিটিশ উপনিবেশকালে, ব্রিটিশ শাসনের পৃষ্ঠপোষকতায়। প্রথম পর্বে ব্রিটিশ অনুদানে যারা বাংলা সাহিত্য সংগ্রহ শুরু করেন, তাদের সংগ্রহের একমাত্র বিষয় ছিল হিন্দু লেখকদের বই বা পুঁথি।
মুশকিল হইতেছে, অন্য অনেক বিষয়ের মতো আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদরে নিয়া বাংলাদেশে কথাবার্তা নাই না, বরং কিছু মুখস্থ কথাবার্তাই চালু আছে; এবং এই কথাগুলা আসলে যত না একটা স্পেইস দখল কইরা রাখে, তার চাইতে বেশি উনার কাজ-কামের সিগনিফিকেন্সের জায়গাগুলারে ঢাইকা রাখে বেশি।