ইমরান মাহফুজ
আহমদ রফিক ছিলেন ভাষা সংগ্রামী ও লেখক। তিনি কবিতা, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ লিখেছেন, লিখেছেন বিজ্ঞান ও শিল্পকলা বিষয়ে। করেছেন অনুবাদ ও সম্পাদনা। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদকসহ বহু সম্মাননা।
জন্ম ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর নিঃসন্তান আহমদ রফিক থাকতেন একাকী। অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। মারা যান এ বছর ২ অক্টোবর।
২০ ফেব্রুয়ারি এক দুপুরে ঘরোয়া আড্ডায় ব্যক্তিজীবন ও গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সমাজ-রাষ্ট্র নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন কবি
গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন সরকার। তারা মানুষের জীবনের প্রতি কতটা দরদি বলে মনে করেন?
মানুষ যখন ক্ষমতায় ডুবে যায়, তখন আর হুঁশ থাকে না; বেহুঁশ হয়ে যায়।
এটা কি অন্যদের জন্য শিক্ষা?
এটা ঐতিহাসিক সত্য, ইতিহাসের শিক্ষা।
মানুষ কি ইতিহাস থেকে শেখে?
মানুষ ইতিহাস থেকে শেখে, আবার শেখে না।
আপনি বলেছিলেন, আমার বংশে এত দীর্ঘজীবন কেউ পায়নি। এই দীর্ঘজীবন কি আপনাকে পীড়া দেয়? চলে যাওয়ার জন্য কী প্রস্তুতি?
দীর্ঘজীবন তো পীড়াদায়কই। বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তি নানাভাবে বলেছেন, দীর্ঘজীবনের বিড়ম্বনা নিয়ে বেঁচে আছি।
আপনি কি বিড়ম্বনা মনে করেন?
আমি তা মনে করি না। আমি মনে করি, দীর্ঘজীবন মানুষের এক বিরাট প্রাপ্তি।
আপনার দীর্ঘজীবন শেষে বইপত্র-লেখালেখির উত্তরাধিকার কে হবে?
উত্তরাধিকার তো… এটা একটা মুশকিল হয়ে গেছে… বুঝতে পেরেছ… উত্তরাধিকার তো তোমরা। তোমাদের পরে অন্যরা। তারপরে অন্যরা। তারপরে অন্যরা। এই যে তিনবার বললাম, এই তো তিন সত্য। … তোমরা আমাকে নিয়ে চিন্তা করো, ভাবো—এটা ভুলি কেমন করে? ভুলি না, ভুলতে পারি না।
তরুণদের প্রতি আপনি খুব আশাবাদী?
অবশ্যই।
একটা ঐতিহাসিক বিষয়ে জিজ্ঞাসা—প্রভাতফেরি তো প্রভাতে ছিল। সেটা মধ্যরাতে কীভাবে গেল?
মধ্যরাতে গেল খ্রিষ্টীয় (খ্রিষ্টাব্দের) নিয়ম অনুযায়ী। যেহেতু শাসকশ্রেণি তাদের ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী চলে, সেজন্য তারা এটাকে ওভাবে নিয়েছে। যেহেতু শাসকশ্রেণি নিয়েছে, আমরাও সেই ধারায় চলেছি।
আপনারা যে খালি পায়ে সকালবেলা প্রভাতফেরি করেছেন, সেই আবেগ কি এতে রক্ষিত হলো, নাকি হাইজ্যাক হয়ে গেল?
হাইজ্যাক হয়ে গেল। এ নিয়ে আমি একটা আর্টিকেল লিখেছিলাম—‘আমার সেই প্রভাতফেরীটা ফিরিয়ে দাও’।
আমরা শুনেছিলাম, এরশাদ নাকি প্রভাতফেরিতে যাওয়ার পর ছাত্রদের ধাওয়ার শিকার হন। তার পর থেকে মধ্যরাতে নিয়ে যাওয়া হয়?
নাহ, একেবারেই ভুল।
তাহলে কখন থেকে এটা মধ্যরাতে গেল?
এটা একটু দেখে-শুনে বলতে হবে।
স্বাধীনতার পরে, না আগে?
স্বাধীনতার পরে।
স্বাধীনতা আমাদের কী দিয়েছে, আর কী নিয়েছে?
স্বাধীনতা আমাদের দিয়েছে, আবার নিয়েছেও। দুটোই ঠিক আছে। দেওয়াটাও ঠিক আছে। নেওয়াটাও ঠিক আছে।
আমাদের দুঃখ-বৈষম্য কি নিতে পেরেছে?
এই বেদনা-বৈষম্য তো বাদ দিতে পারেনি। এর প্রেক্ষাপট খুব ব্যাপক। এটা চট করেই পরিবর্তন করা যায় না।
আপনি সবশেষ বইমেলায় কবে গেছেন মনে পড়ে?
বহু আগে, বহু।
আপনার কোন সময়ের বন্ধুদের কথা বেশি মনে পড়ে?
স্কুল-কলেজের বন্ধুদের কথাই বেশি মনে পড়ে।
আপনার মা-বাবার কবর কোথায় আছে?
গ্রামের বাড়িতে।
আপনার শেষ ঠিকানা কোথায় হবে?
এটা একটা সাংঘাতিক প্রশ্ন করলে! আমার শেষ ঠিকানা যে কোথায় হবে, এটা কে বলতে পারবে?
আপনার কোনো অছিয়ত বা সিদ্ধান্ত কি আছে?
নাহ। আমি এসব বিষয়ে নির্বিকার।
তবু আপনার একটা মতামত?
আমার মতামত… আমার মতামত… আমার মতামত…
আপনাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যাব?
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত টানার দরকার নেই। এই কালাম! (দীর্ঘদিনের সাহায্যকারী কালামকে ডাকলেন। কালাম বললেন, স্যারকে কোথাও নিতে পারব না। স্যারের দেহ তো দান করে দিয়েছেন।) এখানেই তো আমার সব নিকটজন, প্রিয়জন। তোমাদের ফেলে যাব কোথায়!
জীবন নিয়ে আপনার কী উপলব্ধি? জীবন মানে কী আপনার কাছে?
জীবন তো একটা বায়োলজিক্যাল ব্যাপার। আর জীবন বললে তো আমি শুধু মানুষের ব্যাপার বুঝি না, জীবন বলতে আমি অনেক কিছু বুঝি। মানুষ মানুষকে নিয়ে থাকবে, মানুষকে নিয়ে চলবে। তুমি আছ আমি আছি; এই তুমি আছ আমি আছি—এটা তো মানুষের জীবনের… কী বলব…এক বিরাট প্রাপ্তি। এর তো কোনো শেষ নেই, সীমানা নেই, সীমানাহীন।
এই যে শাসক বদলায়, এ যায় ও আসে; কিন্তু মানুষের জীবন বদলায় না কেন?
মানুষের জীবন বদলায় না কে বলল?
শাসক তো বদলিয়েছে… অভ্যুত্থান হয়… মানুষের দুঃখ কমে না কেন?
গণঅভ্যুত্থান হয়। শাসক বদল হয়। শাসক বদল হয়ে ভালোর দিকেও যায়, আবার অন্য দিকেও যায়। শাসক বদল হলেই ভালো কিছু, এমন তো কোনো কথা নেই। …তুমি বিশ্বাস করতে পারবে না, একসময় এ ভাবনা আমাকে খুব ভাবিয়েছে যে, আমি তো নিঃসন্তান। আমার পরবর্তী যারা, তারা কি আমাকে মনে রাখবে? রবীন্দ্রনাথের সেই কথা—‘তবুও মনে রেখো।’ এ ব্যাপারগুলো বড় দার্শনিক, বড় বেদনাদায়ক।
আহমদ রফিক ছিলেন ভাষা সংগ্রামী ও লেখক। তিনি কবিতা, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ লিখেছেন, লিখেছেন বিজ্ঞান ও শিল্পকলা বিষয়ে। করেছেন অনুবাদ ও সম্পাদনা। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদকসহ বহু সম্মাননা।
জন্ম ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর নিঃসন্তান আহমদ রফিক থাকতেন একাকী। অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। মারা যান এ বছর ২ অক্টোবর।
২০ ফেব্রুয়ারি এক দুপুরে ঘরোয়া আড্ডায় ব্যক্তিজীবন ও গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সমাজ-রাষ্ট্র নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন কবি
গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন সরকার। তারা মানুষের জীবনের প্রতি কতটা দরদি বলে মনে করেন?
মানুষ যখন ক্ষমতায় ডুবে যায়, তখন আর হুঁশ থাকে না; বেহুঁশ হয়ে যায়।
এটা কি অন্যদের জন্য শিক্ষা?
এটা ঐতিহাসিক সত্য, ইতিহাসের শিক্ষা।
মানুষ কি ইতিহাস থেকে শেখে?
মানুষ ইতিহাস থেকে শেখে, আবার শেখে না।
আপনি বলেছিলেন, আমার বংশে এত দীর্ঘজীবন কেউ পায়নি। এই দীর্ঘজীবন কি আপনাকে পীড়া দেয়? চলে যাওয়ার জন্য কী প্রস্তুতি?
দীর্ঘজীবন তো পীড়াদায়কই। বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তি নানাভাবে বলেছেন, দীর্ঘজীবনের বিড়ম্বনা নিয়ে বেঁচে আছি।
আপনি কি বিড়ম্বনা মনে করেন?
আমি তা মনে করি না। আমি মনে করি, দীর্ঘজীবন মানুষের এক বিরাট প্রাপ্তি।
আপনার দীর্ঘজীবন শেষে বইপত্র-লেখালেখির উত্তরাধিকার কে হবে?
উত্তরাধিকার তো… এটা একটা মুশকিল হয়ে গেছে… বুঝতে পেরেছ… উত্তরাধিকার তো তোমরা। তোমাদের পরে অন্যরা। তারপরে অন্যরা। তারপরে অন্যরা। এই যে তিনবার বললাম, এই তো তিন সত্য। … তোমরা আমাকে নিয়ে চিন্তা করো, ভাবো—এটা ভুলি কেমন করে? ভুলি না, ভুলতে পারি না।
তরুণদের প্রতি আপনি খুব আশাবাদী?
অবশ্যই।
একটা ঐতিহাসিক বিষয়ে জিজ্ঞাসা—প্রভাতফেরি তো প্রভাতে ছিল। সেটা মধ্যরাতে কীভাবে গেল?
মধ্যরাতে গেল খ্রিষ্টীয় (খ্রিষ্টাব্দের) নিয়ম অনুযায়ী। যেহেতু শাসকশ্রেণি তাদের ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী চলে, সেজন্য তারা এটাকে ওভাবে নিয়েছে। যেহেতু শাসকশ্রেণি নিয়েছে, আমরাও সেই ধারায় চলেছি।
আপনারা যে খালি পায়ে সকালবেলা প্রভাতফেরি করেছেন, সেই আবেগ কি এতে রক্ষিত হলো, নাকি হাইজ্যাক হয়ে গেল?
হাইজ্যাক হয়ে গেল। এ নিয়ে আমি একটা আর্টিকেল লিখেছিলাম—‘আমার সেই প্রভাতফেরীটা ফিরিয়ে দাও’।
আমরা শুনেছিলাম, এরশাদ নাকি প্রভাতফেরিতে যাওয়ার পর ছাত্রদের ধাওয়ার শিকার হন। তার পর থেকে মধ্যরাতে নিয়ে যাওয়া হয়?
নাহ, একেবারেই ভুল।
তাহলে কখন থেকে এটা মধ্যরাতে গেল?
এটা একটু দেখে-শুনে বলতে হবে।
স্বাধীনতার পরে, না আগে?
স্বাধীনতার পরে।
স্বাধীনতা আমাদের কী দিয়েছে, আর কী নিয়েছে?
স্বাধীনতা আমাদের দিয়েছে, আবার নিয়েছেও। দুটোই ঠিক আছে। দেওয়াটাও ঠিক আছে। নেওয়াটাও ঠিক আছে।
আমাদের দুঃখ-বৈষম্য কি নিতে পেরেছে?
এই বেদনা-বৈষম্য তো বাদ দিতে পারেনি। এর প্রেক্ষাপট খুব ব্যাপক। এটা চট করেই পরিবর্তন করা যায় না।
আপনি সবশেষ বইমেলায় কবে গেছেন মনে পড়ে?
বহু আগে, বহু।
আপনার কোন সময়ের বন্ধুদের কথা বেশি মনে পড়ে?
স্কুল-কলেজের বন্ধুদের কথাই বেশি মনে পড়ে।
আপনার মা-বাবার কবর কোথায় আছে?
গ্রামের বাড়িতে।
আপনার শেষ ঠিকানা কোথায় হবে?
এটা একটা সাংঘাতিক প্রশ্ন করলে! আমার শেষ ঠিকানা যে কোথায় হবে, এটা কে বলতে পারবে?
আপনার কোনো অছিয়ত বা সিদ্ধান্ত কি আছে?
নাহ। আমি এসব বিষয়ে নির্বিকার।
তবু আপনার একটা মতামত?
আমার মতামত… আমার মতামত… আমার মতামত…
আপনাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যাব?
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত টানার দরকার নেই। এই কালাম! (দীর্ঘদিনের সাহায্যকারী কালামকে ডাকলেন। কালাম বললেন, স্যারকে কোথাও নিতে পারব না। স্যারের দেহ তো দান করে দিয়েছেন।) এখানেই তো আমার সব নিকটজন, প্রিয়জন। তোমাদের ফেলে যাব কোথায়!
জীবন নিয়ে আপনার কী উপলব্ধি? জীবন মানে কী আপনার কাছে?
জীবন তো একটা বায়োলজিক্যাল ব্যাপার। আর জীবন বললে তো আমি শুধু মানুষের ব্যাপার বুঝি না, জীবন বলতে আমি অনেক কিছু বুঝি। মানুষ মানুষকে নিয়ে থাকবে, মানুষকে নিয়ে চলবে। তুমি আছ আমি আছি; এই তুমি আছ আমি আছি—এটা তো মানুষের জীবনের… কী বলব…এক বিরাট প্রাপ্তি। এর তো কোনো শেষ নেই, সীমানা নেই, সীমানাহীন।
এই যে শাসক বদলায়, এ যায় ও আসে; কিন্তু মানুষের জীবন বদলায় না কেন?
মানুষের জীবন বদলায় না কে বলল?
শাসক তো বদলিয়েছে… অভ্যুত্থান হয়… মানুষের দুঃখ কমে না কেন?
গণঅভ্যুত্থান হয়। শাসক বদল হয়। শাসক বদল হয়ে ভালোর দিকেও যায়, আবার অন্য দিকেও যায়। শাসক বদল হলেই ভালো কিছু, এমন তো কোনো কথা নেই। …তুমি বিশ্বাস করতে পারবে না, একসময় এ ভাবনা আমাকে খুব ভাবিয়েছে যে, আমি তো নিঃসন্তান। আমার পরবর্তী যারা, তারা কি আমাকে মনে রাখবে? রবীন্দ্রনাথের সেই কথা—‘তবুও মনে রেখো।’ এ ব্যাপারগুলো বড় দার্শনিক, বড় বেদনাদায়ক।
গাজা পুনরুদ্ধারের এই সময়ে ‘ফিলিস্তিন সাংস্কৃতিক পুরস্কার’ ঘোষণা করেছে ‘ফিলিস্তিন ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট’। ১৩তম আসরের মূল থিম নির্ধারণ করা হয়েছে—‘জেরুজালেম, গাজা উপত্যকা, গোটা ফিলিস্তিন ও জায়নবাদের বিরোধিতা’।
৩ দিন আগেএকশ বছর আগের কথা। ১৮৮৯ সাল। তুরিনে আজকের মতোই এক দিনে ফ্রিডরিখ নিৎশে কার্লো আলবার্তো পথের ৬ নম্বর বাড়ির ফটক দিয়ে বেরিয়ে আসেন। কখনো হাঁটতে বের হতেন, আবার কখনো পোস্ট অফিসে চিঠিপত্র তুলতে যেতেন।
৪ দিন আগেবাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী আয়োজিত ইসলামি বইমেলায় প্রতিদিনই জড়ো হন হাজারো মানুষ। বিশেষত সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে বইপ্রেমীদের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মতো। আর এই জনস্রোতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একদল স্বপ্নবাজ তরুণের হাতে গড়া ‘লিটলম্যাগ কর্নার’।
৪ দিন আগেইসলাম-পূর্ব সময়ে এক ভয়ংকর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল যেন আরবরা। সমগ্র আরবে চলছিল ভয়াবহ অরাজকতা। গোত্রে গোত্রে শত্রুতা। সারাক্ষণ একে অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টায় রত। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও মারামারি থেকে শুরু করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া; বছরের পর বছর ধরে সেই যুদ্ধ চলা।
৪ দিন আগে