খুনিদের দিতে ভারত অসহযোগিতা করলে ভারতীয় দূতাবাসের আর কোনো কার্যক্রম চলতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচীব আবদুল্লাহ আল জাবের।
রোববার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের জরুরী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই হুশিয়ারি দেন।
আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব যেভাবে দিল্লির কাছে মাথা নত করেছিল তারা এখনো সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই আমরা সংবাদ মাধ্যমের জানতে পেরেছি যে, তারা বলেছে, খুনি আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে পালিয়েছে। আপনাদের কাছে একটা কথা জানতে চাই যে বাংলাদেশে যারাই এবং যখনই কোন গুম খুন এবং হত্যা হয় -সেই খুনির আশ্রয়দাতা অটোমেটিক্যালি ভারত হয়ে যায়। তো একটা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দায়িত্ব কি -তার পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের যে নিরাপত্তা যারা বিঘ্নিত করে তাদেরকে আশ্রয় দেয়া নাকি তার পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের নিরাপত্তা যাতে কোনভাবে ব্যহত না হয় সেই দিকে সহযোগিতা করা?
তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে জানাতে চাই। যদি সত্যি সত্যিই ভারতে এই খুনি পালিয়ে থাকে। তাহলে যেন অতিদ্রুত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতকে আহ্বান জানানো হয় খুনিকে হস্তান্তরের ব্যাপারে। আর এই ব্যাপারে যদি ভারত অসহযোগিতা প্রকাশ করে তাহলে ইনকিলাব মঞ্চ বাংলাদেশের সকল বাংলাদেশী জনতাকে নিয়ে ঘোষণা করছি যে, বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসের আর কোনো কার্যক্রম চলতে দেয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, যেই রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব কে বিনষ্ট করে দিতে চায়, যারা বারংবার বাংলাদেশের এই মানচিত্রে যারা থাবা বসিয়েছে -তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে এবং এই খুনি পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে যারা এখন পর্যন্ত লালনপালন করছে, সেই রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক থাকবার আর কোনো কারণ হতে পারে না। আমরা বাংলাদেশের জনগণ হিসেবে আপনাদের মাধ্যমে তাদেরকে একটা বার্তা দিতে চাই যে, আপনারা অতিদ্রুত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে যারা বিভিন্নভাবে বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। বহির্বিশ্বে যারা রয়েছেন আপনারা অতিদ্রুত এই প্রতিবেশী এই আধিপত্যবাদের যেই শক্তিটা রয়েছে যারা বাংলাদেশকে অকার্যকার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের কন্ঠস্বর আমরা শুনতে চাই।

