যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য মিলে রোহিঙ্গাদের জন্য ৯৬ মিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। এ সহায়তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র দেবে ৬০ মিলিয়ন ডলার ও যুক্তরাজ্য ৩৬ মিলিয়ন ডলার।
গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে দেশ দুটি এ ঘোষণা দেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয় এ তথ্য জানান।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সাতটি প্রস্তাব পেশ করে বাংলাদেশ।
নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে ৭৫টি দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানও অংশ নেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রস্তাবগুলো তুলে ধরে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন, গণহত্যা শুরু হওয়ার আট বছর পরও রোহিঙ্গাদের দুর্দশা অব্যাহত রয়েছে। সংকট নিরসনের উদ্যোগের অভাবও রয়েছে। আন্তর্জাতিক তহবিলের উদ্বেগজনক ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের উৎপত্তি মিয়ানমার থেকেই। এর সমাধানও সেখানেই করতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমার এবং আরাকান সেনাবাহিনীর উপর কার্যকর চাপ প্রয়োগ করতে হবে যাতে তারা অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধ করে রাখাইনে তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য কাজ শুরু করে। এটিই সংকটের একমাত্র সমাধান। মিয়ানমারে বৃহত্তর সংস্কারের কাছে এটিকে জিম্মি করে রাখা উচিত নয়।

