আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

হাদিকে নিয়ে শেষ পোস্ট, যা লিখেছিলেন এনসিপির নেত্রী রুমী

আমার দেশ অনলাইন

হাদিকে নিয়ে শেষ পোস্ট, যা লিখেছিলেন এনসিপির নেত্রী রুমী

রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে এনসিপির ধানমণ্ডি শাখার নারী নেত্রী জান্নাতারা রুমীর (৩০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন শরিফ ওসমান হাদি।

জুলাই বিপ্লবের এই অগ্রনায়ককে নিয়ে আগের দিন বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে সর্বশেষ একটি পোস্ট দেন রুমী। ওই পোস্টে রুমী লেখেন, ইয়া আল আল্লাহ, হাদিকে ভাইকে আমাদের খুব দরকার।

বিজ্ঞাপন

এর একদিন আগের আরেক পোস্টে একটি ছবি যোগ করে তিনি লিখেন, একদিন ভোর হবে, সবাই ডাকাডাকি করবে কিন্তু আমি উঠব না..কারণ আমি ভোরে উঠি না.!

এদিকে, রুমীর লাশ উদ্ধারের পর আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড প্রশ্ন উঠেছে। তবে প্রশ্ন জোরালোভাবে ওঠার আরও কারণ হলো- কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অ্যাক্টিভিস্টের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ও পেইজ থেকে জান্নাতারা রুমীকে নিয়ে সাইবার বুলিং করা হচ্ছিল। দেওয়া হচ্ছিল হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি। এমনকি তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্যও অনলাইনে ছড়িয়ে দেয় পতিত আওয়ামী লীগের অ্যাক্টিভিস্টরা।

এ নিয়ে নিরাপত্তা চেয়ে এক মাস আগে ধানমন্ডি থানায় একটি জিডি করেন রুমী। চরম নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে গত ১৩ নভেম্বর রাতে এ জিডি করেন তিনি। ওই জিডিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আইনের আওতায় আনার কারণে রুমীকে টার্গেট করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদি। রাজধানীর পল্টনের কালভার্ট রোড এলাকায় ঘাতকরা তাকে গুলি করে। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। গত সোমবার দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকার দ্রুত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন ছিল। সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার পরিবারের সম্মতি নিয়ে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে তার মস্তিষ্ক থেকে গুলি বের করার জন্য অস্ত্রোপচার করেন। কিন্তু তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। হাদি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। একই দিনে জুলাইয়ের সম্মুখসারির দুই বিপ্লবীকে হারিয়ে দেশেরসর্বস্তরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর

খুঁজুন