চলতি বছরের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হওয়ায় তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। রায় পড়া শুরু হয় সকাল ১২টা ৩৪ মিনিটে এবং দুপুর পৌনে তিনটায় তা ঘোষণা করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মোট তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। রায়ের মধ্যে প্রথম অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং দ্বিতীয় অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া আদালত মামলার অন্যান্য প্রমাণ ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
রায়ের পর বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, “জুলাই আবার নতুনভাবে বিজয়ী হয়েছে। ইনসাফের বিজয় হয়েছে। জালিম, খুনি হাসিনা গত ১৬ বছরে গুম, খুন, আয়নাঘর এবং শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। সেই খুনি হাসিনার আজকে মৃত্যুদণ্ড রায় ঘোষিত হয়েছে।”
সাদিক কায়েম আরো বলেন, “এই বিজয়টি বাংলাদেশের সকল মানুষের। এই রায়ের জন্য বাংলাদেশে সকল মানুষ গত এক বছর অপেক্ষা করেছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের কাছে অনুরোধ থাকবে দ্রুত সময়ে যেন এই রায় কার্যকর হয়। খুনি হাসিনা ও তার দোসরদেরকে ভারত থেকে দ্রুত দেশে এনে এই রায় যেন কার্যকর করা হয়। এটা হচ্ছে এই দেশের মুক্তিকামী ছাত্র জনতার দাবি।”

